বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া আবারো অনিশ্চয়তার মুখে পড়ল। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে শুক্রবার (৯ মে) নির্ধারিত নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এর ফলে দেশের চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রধান সংগঠনটির নেতৃত্ব নির্বাচন ফের পিছিয়ে গেল। বৃহস্পতিবার (৮ মে) একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

গত বছরের শেষের দিকে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণে ভোটগ্রহণ সম্ভব হয়নি। পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয় চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি, কিন্তু সেদিনও ভোটগ্রহণ হয়নি। এবার দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও শেষ মুহূর্তে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় তা স্থগিত হলো।

চলচ্চিত্র পরিচালকদের এই নির্বাচন ঘিরে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা চলছে। একাধিক পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, নির্বাচনের অনুমতি নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। কেউ বলছেন, বিএফডিসি কেপিআইভুক্ত এলাকা হওয়ায় সেখানে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। আবার অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণেই নির্বাচন বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

জন্মদিনে নেই উৎসব, মায়ের শোকে বিষণ্ন ওমর সানী

সিদ্দিককে মারধর, পোশাক বিতর্ক নিয়ে যা বললেন মিম

নির্বাচন না হওয়ায় পরিচালকমহলে হতাশা দেখা দিয়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি শক্তিশালী প্যানেল। মুশফিকুর রহমান গুলজার-সাফিউদ্দিন সাফি প্যানেলে সভাপতি ও মহাসচিব পদে তারা প্রার্থী হয়েছেন। এই প্যানেলে আরো আছেন— আবুল খায়ের বুলবুল (সহসভাপতি), সালাউদ্দিন (উপমহাসচিব), সাইমন তারিক (কোষাধ্যক্ষ), আবদুর রহিম বাবু (সাংগঠনিক), রফিক শিকদার (প্রচার ও প্রকাশনা), এস ডি রুবেল (তথ্যপ্রযুক্তি) এবং মুস্তাফিজুর রহমান মানিক (সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া)।

কার্যকরী সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন শাহ আলম কিরণ, ইফতেখার জাহান, মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, বজলুর রাশেদ চৌধুরী, বদিউল আলম খোকন, গাজী মাহাবুব, আনোয়ার সিরাজী, দেওয়ান নাজমুল, জয়নাল আবেদীন ও আতিকুর রহমান লাভলু।

অন্যদিকে, বর্তমান মহাসচিব শাহীন সুমন এবার সভাপতি পদে লড়ছেন, সঙ্গে রয়েছেন শাহীন কবির টুটুল। তাদের প্যানেলে রয়েছেন মনতাজুর রহমান আকবর (সহসভাপতি), কবিরুল ইসলাম রানা (উপমহাসচিব), সেলিম আজম (কোষাধ্যক্ষ), ওয়াজেদ আলী বাবুল (প্রচার ও প্রকাশনা), বন্ধন বিশ্বাস (তথ্যপ্রযুক্তি) এবং সাইফ চন্দন (সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া)।

নেতৃত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা চলচ্চিত্র জগতের সৃজনশীল অঙ্গনে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে— এ সংকটের শেষ কোথায়?

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল নিয়ে তিনটি দল ছাড়া সবাই একমত: আলী রীয়াজ

এক ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রিত্ব করতে পারবেন না বলে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল একমত হলেও বিএনপিসহ তিনটি রাজনৈতিক এতে দ্বিমত পোষণ করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘একজন ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। এ রকম একটি জায়গায় আসার পরে আমরা এখনো ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারিনি। আলোচনার পরে তিনটি দল ভিন্নমত পোষণ করে তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনার কথা বলেছে।’

আজ রোববার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আজকের আলোচনা শেষে কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, সারা দিন আলোচনায় আমরা দুটি বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলেছি। এর একটি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ আরেকটি হচ্ছে সংবিধানে রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে।

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, দীর্ঘ আলোচনা শেষে আমরা সুস্পষ্ট এক জায়গায় এসেছি যে একজন ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এ রকম একটি জায়গায় আসার পরে আমরা এখনো ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারিনি। আলোচনার পরে বিএনপি, এনডিএম ও বিএলডিপি তিনটি দল ভিন্নমত পোষণ করে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার কথা বলেছে। তারা তাদের নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করে আবার আলোচনার কথা বলেছে। তারা মনে করে এই বিষয়ের সাথে অন্যান্য বিষয় যুক্ত-বিশেষ করে এনসিসি গঠন ও উচ্চকক্ষ কীভাবে গঠন হবে। ওই সব বিষয়ে আলোচনার সময় তারা বিষয়টি উপস্থাপন করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরকার ও দলগুলোর সামনে ৪ চ্যালেঞ্জ দেখছেন আলী রীয়াজ
  • প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল নিয়ে বিএনপিসহ তিনটি দল ছাড়া সবাই একমত: আলী রীয়াজ
  • প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল নিয়ে তিনটি দল ছাড়া সবাই একমত: আলী রীয়াজ
  • রাজনৈতিক দলগুলোকে আরেকটু ছাড়ের জায়গায় আসার আহ্বান আলী রীয়াজের
  • পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে সরকার কিছু মৌলিক উদ্যোগ নেবে