ফের স্থগিত চলচ্চিত্র পরিচালকদের নির্বাচন!
Published: 8th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া আবারো অনিশ্চয়তার মুখে পড়ল। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে শুক্রবার (৯ মে) নির্ধারিত নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এর ফলে দেশের চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রধান সংগঠনটির নেতৃত্ব নির্বাচন ফের পিছিয়ে গেল। বৃহস্পতিবার (৮ মে) একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত বছরের শেষের দিকে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণে ভোটগ্রহণ সম্ভব হয়নি। পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয় চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি, কিন্তু সেদিনও ভোটগ্রহণ হয়নি। এবার দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও শেষ মুহূর্তে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় তা স্থগিত হলো।
চলচ্চিত্র পরিচালকদের এই নির্বাচন ঘিরে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা চলছে। একাধিক পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, নির্বাচনের অনুমতি নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। কেউ বলছেন, বিএফডিসি কেপিআইভুক্ত এলাকা হওয়ায় সেখানে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। আবার অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণেই নির্বাচন বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
জন্মদিনে নেই উৎসব, মায়ের শোকে বিষণ্ন ওমর সানী
সিদ্দিককে মারধর, পোশাক বিতর্ক নিয়ে যা বললেন মিম
নির্বাচন না হওয়ায় পরিচালকমহলে হতাশা দেখা দিয়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি শক্তিশালী প্যানেল। মুশফিকুর রহমান গুলজার-সাফিউদ্দিন সাফি প্যানেলে সভাপতি ও মহাসচিব পদে তারা প্রার্থী হয়েছেন। এই প্যানেলে আরো আছেন— আবুল খায়ের বুলবুল (সহসভাপতি), সালাউদ্দিন (উপমহাসচিব), সাইমন তারিক (কোষাধ্যক্ষ), আবদুর রহিম বাবু (সাংগঠনিক), রফিক শিকদার (প্রচার ও প্রকাশনা), এস ডি রুবেল (তথ্যপ্রযুক্তি) এবং মুস্তাফিজুর রহমান মানিক (সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া)।
কার্যকরী সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন শাহ আলম কিরণ, ইফতেখার জাহান, মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, বজলুর রাশেদ চৌধুরী, বদিউল আলম খোকন, গাজী মাহাবুব, আনোয়ার সিরাজী, দেওয়ান নাজমুল, জয়নাল আবেদীন ও আতিকুর রহমান লাভলু।
অন্যদিকে, বর্তমান মহাসচিব শাহীন সুমন এবার সভাপতি পদে লড়ছেন, সঙ্গে রয়েছেন শাহীন কবির টুটুল। তাদের প্যানেলে রয়েছেন মনতাজুর রহমান আকবর (সহসভাপতি), কবিরুল ইসলাম রানা (উপমহাসচিব), সেলিম আজম (কোষাধ্যক্ষ), ওয়াজেদ আলী বাবুল (প্রচার ও প্রকাশনা), বন্ধন বিশ্বাস (তথ্যপ্রযুক্তি) এবং সাইফ চন্দন (সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া)।
নেতৃত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা চলচ্চিত্র জগতের সৃজনশীল অঙ্গনে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে— এ সংকটের শেষ কোথায়?
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
১২–দলীয় জোটভুক্ত লেবার পার্টি ভেঙে ‘ইউনাইটেড লিবারেল পার্টি’ গঠন
১২–দলীয় জোটের সদস্য লেবার পার্টি বাংলাদেশ থেকে বের হয়ে ‘ইউনাইটেড লিবারেল পার্টি (ইউএলপি)’ নামে একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। জোটের নেতারা দলটিকে স্বাগত জানালেও এভাবে দল ভাঙার সংস্কৃতি দেশের রাজনীতির জন্য ভালো না বলেও মন্তব্য করেছেন।
আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে নতুন এই দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। লেবার পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে এ দল গঠন হয়।
আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির বড় দুর্ভাগ্য। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নানা কারণে তাঁরা একতার বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে পারেন না। এ জন্য শুধু এই দল দায়ী নয়। তাঁর নিজের দল জাতীয় পার্টিও বহু ভাগে বিভক্ত। আরও অনেক রাজনৈতিক দল একই নামে ব্র্যাকেটবন্দী হয়ে ভিন্ন পরিচয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আত্মপ্রকাশ করছে। এটা ভালো কথা নয়।
নতুন দলের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, লেবার পার্টি কয়েকবার ভেঙেছে। তবে এবার নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করায় তিনি বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের নির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে এই রাজনীতিবিদ বলেন, এখনো ষড়যন্ত্র বিদ্যমান। নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে। আগামী শুক্রবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১২ দলের এই জোটের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা নতুন দলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ৫ আগস্ট না এলে এই দলের মতো অনেক দলেরই আত্মপ্রকাশ হতো না। তিনি আশা করেন, নতুন দল রাজনীতির মাঠে নিজের সঠিক অবস্থান তুলে ধরবে।
জুলাই ঘোষণাপত্রের মঞ্চে মোস্তফা জামাল হায়দারের মতো নেতার জায়গা না হওয়ার সমালোচনা করে এহসানুল হুদা বলেন, ফ্যাসিস্টদের দোসর, শেখ হাসিনার ছায়ায় থাকা মানুষদের ঠাঁই হয়েছে। এখানে বৈষম্য করা হয়েছে।
ইউএলপির চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ১২–দলীয় জোটের সঙ্গে আছেন। আগামী দিনে যা–ই হোক, তাঁর দ্বারা অনৈতিক কিছু হবে না। জোটের সিদ্ধান্তের তিনি বাইরে যাবেন না। ১২–দলীয় জোটের মতো তিনিও বিএনপির সঙ্গে থাকবেন।
অনুষ্ঠানে ইউএলপির কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. হুমায়ুন কবির; সহসভাপতি শওকত হোসেন চৌধুরী, ফেরদৌস, মুফতি আবদুল্লাহ; ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. আশরাফুল আলম সৈকতের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ১২–দলীয় জোটের অন্য নেতারাও বক্তব্য দেন।