প্রিমিয়ার লিগের দুই ‘বাজে’ দল ইউনাইটেড-টটেনহাম ইউরোপার ফাইনালে
Published: 9th, May 2025 GMT
ভুলে যাওয়ার মতো একটি মৌসুম পার করছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহাম হটস্পার। প্রিমিয়ার লিগে দুই দলেরই অবস্থা যাচ্ছেতাই। পরিস্থিতি এমন যে দুই দলই প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে নিজেদের সবচেয়ে বাজে মৌসুম শেষের অপেক্ষায়। বর্তমানে ইউনাইটেড আছে পয়েন্ট তালিকায় ১৫ তম এবং টটেনহাম ১৬ তম। আরেকটু এদিক সেদিক হলে অবনমন অঞ্চলে নেমে যাওয়ার আশঙ্কাও ছিল।
এমন হতশ্রী মৌসুম কত দ্রুত শেষ হয়, সেদিকেই চোখ ছিল দুই দলের সমর্থকদের। কিন্তু ভুলে যাওয়ার মতো এই মৌসুমটাই শেষ দিকে এসে দুই দলের জন্য অন্যরকম মোড় নিয়েছে। ইউনাইটেড ও টটেনহাম যে এখন ইউরোপা লিগের ফাইনালে।
আগামী ২১ মে রাতে বিলবাওয়ের মাঠ সান মামেসে ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা ক্লাব প্রতিযোগিতা ইউরোপা লিগের ফাইনালে দেখা যাবে ‘ইংলিশ ডার্বি’। অর্থাৎ প্রিমিয়ার লিগে নিচের দিকে থাকা এই দুই দলের যেকোনো একটি ইউরোপা লিগের বিজয়ী দল হিসেবে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুনপ্রিমিয়ার লিগে ‘বাতিল’ ইউনাইটেড–টটেনহামই এখন ইউরোপে ফাইনালের পথে০২ মে ২০২৫অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে সেমিফাইনাল প্রথম লেগ ৩–০ গোলে জিতে ইউরোপা লিগের ফাইনালে এক পা আগেই দিয়ে রেখেছিল ইউনাইটেড। গতকাল রাতে ফিরতি লেগে অবশ্য ইউনাইটেড আগে গোল হজম করে কিছুটা আতঙ্কেই ফেলেছিল ভক্ত–সমর্থকদের। যদিও শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি।
ইউনাইটেডের হয়ে জোড়া গোল করেছেন ম্যাসন মাউন্ট.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ফ ইন ল দ ই দল র ইউর প
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমার সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ে বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন জার্মানির সংসদ সদস্য
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছেন জার্মানির গ্রিন পার্টির সংসদ সদস্য বরিস মিজাতোভিচ। চার দিনের এই সফরের সময় তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বুধবার ঢাকায় জার্মান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জার্মানির পার্লামেন্ট বুন্দেসট্যাগের গ্রিন পার্টির সদস্য বরিস মিজাতোভিচ ২৬ থেকে ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জ্বালানি প্রকল্প, বিশেষ করে এই অঞ্চলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। বরিস মিজাতোভিচ মিয়ানমারের সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। যার লক্ষ্য ছিল এই বিষয়গুলোকে আন্তর্জাতিক আলোচনার সূচিতে ফিরিয়ে আনা। এই লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ সফর শেষে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ভ্রমণ করেন।
বাংলাদেশ সফরে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থা, পরিবেশজনিত উদ্বেগ, কর্মপরিবেশ এবং শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতির মতো বিষয়গুলো নিয়ে বরিস মিজাতোভিচ আলোচনা করেন।
বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে সফরকালে মিজাতোভিচ শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সরবরাহ শৃঙ্খল সম্পর্কিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি উপসাগরীয় অঞ্চলে শ্রম অভিবাসন এবং কর্মপরিবেশ নিয়েও আলোচনা করেন তাঁরা। এ ছাড়া বৈঠকে জাহাজভাঙার চ্যালেঞ্জ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।
এ ছাড়া বরিস মিজাতোভিচ বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে জিআইজেড আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত সম্পর্কে অবগত হন এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কর্মপরিবেশ উন্নত করার সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরের সময় বরিস মিজাতোভিচ কক্সবাজারে যান।
সেখানে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির পরিদর্শন করেন এবং এ অঞ্চলে মানবিক চ্যালেঞ্জ এবং চলমান ত্রাণ কার্যক্রম আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই সফর মানবাধিকার, কর্মপরিবেশ এবং মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে সংলাপ, বোঝাপড়া এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।