গার্মেন্টস শ্রমিক নেতাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি
Published: 9th, May 2025 GMT
গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা সেলিম মাহমুদ ও রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তার ও অন্যান্য শ্রমিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট।
গ্রেপ্তার আল কাদেরী জয়, মিরাজ উদ্দিন, রোকন উদ্দিন, মিম আক্তার, শেফালি, সাদ্দামসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার শ্রমিক নেতাদের অবিলম্বে মুক্তিরও দাবি জানান।
শুক্রবার (৯ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন এবং সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “টিএনজেড’র শ্রমিকরা ঈদের আগে শ্রম ভবনের সামনে টানা অবস্থান করলেও সরকার শ্রমিকদের প্রাপ্য পাওনা আদায় করে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ঈদের একদিন আগে সামান্য কিছু টাকা হাতে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরেছে শ্রমিকরা। সরকার শ্রমিকদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঈদের পরে শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
‘সেই অনুসারে ৭ মে শ্রমিকদের প্রাপ্য বকেয়াসমূহ পরিশোধ করার কথা ছিল। শ্রমিকরা বকেয়া বেতন পাওয়ার আশায় দূর-দূরান্ত থেকে কারখানার গেটে এসে অবস্থান করে। সারাদিন অবস্থান করেও বকেয়া না পাওয়ায় শ্রমিকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ করে, বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ। কারখানা মালিক কর্তৃপক্ষ বা সরকারের পক্ষ থেকে বিকল্প কোনো তারিখ ঘোষণা না করায় স্বাভাবিকভাবেই শ্রমিকরা পরের দিন সকালেও কারখানার সামনে উপস্থিত হয়।
‘সরকার বা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী দায়িত্বহীন মালিক বা তার প্রতিনিধিদের শ্রমিকদের সামনে উপস্থিত করার উদ্যোগ না নিয়ে, মালিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে দ্রুততম সময়ে শ্রমিকের বকেয়া পাওনা পরিশোধের উদ্যোগ গ্রহণের পরিবর্তে ক্ষুধার্ত শ্রমিকদের উপর নির্মমভাবে লাঠিচার্জ করে অসংখ্য শ্রমিক এবং শ্রমিকদের সাথে সংহতি জানাতে যাওয়া শ্রমিক নেতাদের আহত করে যা শ্রমিক অধিকার প্রশ্নে সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তার সাথে অসংগতিপূর্ণ।”
সরকারের দ্বীচারিতাপূর্ণ আচরণের নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, “শ্রমিককে কাজ করিয়ে বেতন পরিশোধে ব্যর্থ মালিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ক্ষুধার্ত শ্রমিককে লাঠিপিটা করা, শ্রমিকের প্রতিবাদের কণ্ঠকে রোধ করতে কারখানা মালিক বা ধনিদের সাথে জোট বেঁধে শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মতো কালো আইনে মামলা দিয়ে হয়রানি করা নিশ্চয় আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ।”
নেতৃবৃন্দ, টিএনজেড’র শ্রমিকদের ওপর হামলার নির্দেশ প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে মালিক-কর্তৃপক্ষের নতুন ঘোষিত তারিখ ২০মে দিনে শ্রমিকদের প্রাপ্য সকল পাওনা পরিশোধ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা সেলিম মাহমুদ ও রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তার ও অন্যান্য শ্রমিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা প্রত্যাহার, আল কাদেরী জয়, মিরাজ উদ্দিন, রোকন উদ্দিন, মিম আক্তার, শেফালি, সাদ্দামসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার শ্রমিক নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জোর দাবি জানান।
তারা বলেন, “বাংলাদেশে শিল্প সম্পর্কের ভারসাম্যপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করতে হলে গাজীপুরের টিএনজেড বা নারায়ণগঞ্জের রবিনটেক্সের মালিকদের মতো শ্রমিক নিপীড়কদের যথাসময়ে আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থসরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরও জাবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।”
ঢাকা/এম/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ ষ ক ষমত পর শ ধ সরক র গ রহণ
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ে নিয়ে যা বললেন পূজা চেরি
শারদীয় দুর্গাপূজা—হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঢাকের তালে, উলুধ্বনির সুরে, আলোকসজ্জার ঝলকে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল প্রতিটি পূজামণ্ডপ। এই আনন্দে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও যুক্ত হন।
গতকাল বিজয়া দশমীর পবিত্র তিথিতে দেবীকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সমাপ্তি ঘটে। পূজামণ্ডপগুলোতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছিলেন ভক্তরা। একে অপরের মুখে সিঁদুর মেখে উল্লাসে মাতেন সনাতনীরা। দুর্গোৎসবের আনন্দ ছুঁয়ে গেছে অভিনেত্রী পূজা চেরিকেও। গতকাল সিঁদুর খেলায় অংশ নেন তিনি।
আরো পড়ুন:
‘সবাই ধরে নেয় আমি ঋষি কাপুরের অবৈধ মেয়ে’
সংসার ভাঙার কারণে স্বামীকে ১১ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে অভিনেত্রীর?
পূজামণ্ডপে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পূজা চেরি। এ সময় জানতে চাওয়া হয়, বিজয়া দশমীর দিনে দেবী দুর্গার কাছে কী চাইলেন? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমার যে গর্ভধারিণী মা মারা গেছেন সে যেন ভালো থাকেন। যেখানেই থাকেন যেন ভালো থাকেন এটাই চেয়েছি এবং দুর্গা মাকে বলেছি ‘তুমি যেন ভালো থেকো’। কারণ আমরা সবাই চেয়ে বেড়াই কিন্তু মাকে একটু জিজ্ঞেস করি না যে, ‘মা তুমি কেমন আছো?”
ব্যক্তিগত জীবনে পূজা চেরি এখনো একা। ফলে তার বিয়ে নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই। বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই অভিনেত্রী বলেন, “এখানে একজন সিঁদুর আমার গালে লাগিয়ে দিচ্ছিল, তখন তারা বলল, ‘প্রার্থনা করি আগামীবার যেন দাদাসহ মণ্ডপে আসতে পারো’।” এ কথা বলে একটু হাসি মুখে পূজা বলেন, “দেখ যাক কী হয়! চিন্তার বিষয় চিন্তা করে দেখি।”
পূজা চেরি শোবিজ অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেছিলেন শিশুশিল্পী হিসেবে। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই অভিনয় গুণে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন তিনি।
ঢাকা/শান্ত