এইচএসসির প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের আবার রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ
Published: 10th, May 2025 GMT
২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে এ বছরের ২৬ জুন থেকে। এ পরীক্ষার অংশগ্রহণ ইচ্ছুক প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের আবার রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ফরম পূরণের সুযোগ পাবেন নিয়মিত শিক্ষার্থীরা। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী ১২ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত আগ্রহীরা রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণ করতে পারবেন।
গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। প্রাইভেটে যারা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি তাদের জন্য এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের জন্য গত ১২ থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের সময় নির্ধারিত ছিল।
আরও পড়ুনকম খরচ এবং সহজে ভিসার কারণে উচ্চশিক্ষায় বেছে নিতে পারেন এই ৫ দেশ০৮ মে ২০২৫এর আগে এ বছরের প্রথমের দিকে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের জন্য নিয়মাবলি প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমান পরীক্ষা ২০২০ সাল এবং তৎপরবর্তী বছরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ২০২৫ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা ২০১৯ এবং তৎপরবর্তী বছরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ২০২৫ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
রেজিস্ট্রেশনের জন্য যা যা অনুসরণ করতে হবে শিক্ষার্থীদের
১.
রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ব্যতীত প্রাইভেট পরীক্ষার্থীরা ২০২৫ সালের পাঠ্যসূচি অনুযায়ী এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এ অংশগ্রহণ করতে পারবে। শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রণীত পরীক্ষা পরিচালনার নিয়মাবলি প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের বেলায়ও প্রযোজ্য হবে।
২.
প্রাইভেট পরীক্ষার্থীকে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত নিম্নলিখিত যেকোনো একটি কলেজের মাধ্যমে নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। তবে শিক্ষক, পুলিশ ও প্রতিরক্ষা বাহিনীতে চাকরিরত ব্যক্তি এবং শারীরিক কিংবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী প্রাইভেট পরীক্ষার্থীকে নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে না।
৩.
প্রাইভেট পরীক্ষার্থীরা যে কলেজের মাধ্যমে নিবন্ধনকৃত বা রেজিস্ট্রেশন করবেন, সে কলেজের জন্য নির্ধারিত কেন্দ্রে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। কোনো অবস্থাতেই কেন্দ্র পরিবর্তন করা যাবে না।
৪.
প্রাইভেট পরীক্ষার্থীরা কেবল মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও ইসলামি শিক্ষা শাখায় পরীক্ষা দিতে পারবেন। যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা আছে (তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি ব্যতীত) সে বিষয়/বিষয়সমূহ নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। প্রাইভেট পরীক্ষার্থীরা চতুর্থ বিষয় গ্রহণ করতে পারবেন না।
৫.
বোর্ডের কোনো কর্মচারী কর্মরত অবস্থায় নিজ বোর্ড থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তবে ইচ্ছা করলে নিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে বাংলাদেশের অন্য যেকোনো বোর্ড থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
৬.
প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত কলেজের অধ্যক্ষের নিকট ৬/১/২০২৫ থেকে ২০/০১/২০২৫ তারিখের মধ্যে প্রয়োজনীয় ফি এবং অন্য দলিলাদিসহ সাদা কাগজে আবেদন করতে হবে।
৭.
প্রাইভেট প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর তালিকাভুক্তি ফি ১০০ টাকা মাত্র। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন (cSIF) করতে হবে। পূরণকৃত অনলাইন (cSIF) তালিকা এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃক সত্যায়িত করে বোর্ডের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দিতে হবে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, মূল নম্বরপত্র তালিকার ক্রমানুসারে সাজিয়ে দিতে হবে।
ক. মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষা পাসের মূল নম্বরপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি দাখিল করতে হবে। যে পরীক্ষার্থীরা ১৯৯৫ সালের আগে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁদের মূল নম্বরপত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে এবং মূল নম্বরপত্রের অপর পৃষ্ঠায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃক Verified and Found Correct লেখা থাকতে হবে। কোনোক্রমেই মাধ্যমিক পরীক্ষা বা সমমানের কোনো সনদ গ্রহণ করা হবে না।
খ. যে পরীক্ষার্থীরা কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁদের মূল নম্বরপত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে এবং মূল নম্বরপত্রের অপর পৃষ্ঠায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃক Verified and Found Correct লেখা থাকতে হবে।
গ. যে পরীক্ষার্থীরা ১৯৯৯ সালের আগে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁদের মূল নম্বরপত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে এবং মূল নম্বরপত্রের অপর পৃষ্ঠায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃক Verified and Found Correct লেখা থাকতে হবে।
ঘ. যে পরীক্ষার্থীরা ২০২০ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হয়েছেন এবং ২০১৬ বা তৎপরবর্তী বছরে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, তাঁদের মূল প্রবেশপত্র জমা দিতে হবে।
ঙ. বাংলাদেশের আওতাধীন অনুমোদিত কোনো কলেজের অধ্যক্ষ বা সেই বোর্ডের কোনো সদস্য অথবা কোনো সরকারি গেজেটেড অফিসারের নিকট হতে প্রার্থীর চরিত্র, আচরণ, প্রার্থিত পরীক্ষার অন্ততপক্ষে দুই বছর আগপর্যন্ত কোনো অনুমোদিত কলেজে শিক্ষার্থী ছিলেন না এবং প্রার্থী কোনো পরীক্ষায় বহিষ্কৃত হননি অথবা হয়ে থাকলেও এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার জন্য অযোগ্য ঘোষিত হননি এ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। অসত্য তথ্য প্রদান করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চ. প্রার্থীর সদ্য তোলা ২ (দুই) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবির সম্মুখভাগে নিজের নাম-স্বাক্ষর করতে হবে এবং তা সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত করে আঠা দিয়ে আবেদন ফরমে আটকিয়ে দিতে হবে।
ছ. শিক্ষক-প্রার্থীদের বেলায় কোনো অনুমোদিত বিদ্যালয়ে চাকরির মেয়াদ বিজ্ঞপ্তি জারির তারিখে অন্তত তিন বছর পূর্ণ হয়েছে এ মর্মে নিজ জেলা শিক্ষা অফিসারের সিল ও স্বাক্ষরযুক্ত সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
জ. পুলিশ ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রার্থীদের বেলায় বিজ্ঞপ্তি জারির তারিখে কমপক্ষে এক বছর ধরে সক্রীয়ভাবে চাকরিতে আছেন মর্মে পুলিশ সুপার/কমান্ডিং অফিসারের সমপর্যায়ের কর্মকর্তার সিল ও স্বাক্ষরযুক্ত সার্টিফিকেট দিতে হবে।
ঝ. কোনো শারীরিক প্রতিবন্ধী কিংবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্রুতলেখক (স্ক্রাইব) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাইলে পরীক্ষা পরিচালনা নীতিমালা মোতাবেক ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীকে শ্রুতলেখক (স্ক্রাইব) নিযুক্ত করতে হবে।২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষা এ বছরের ২৬ জুন থেকে শুরু হবে
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ২০২৫ স ল র এইচএসস ব র ড র পর ক ষ গ রহণ করত র পর ক ষ য ক পর ক ষ সমম ন র কল জ র র জন য প রব ন বছর র ত করত
এছাড়াও পড়ুন:
এইচএসসি পরীক্ষায় শেষ মুহূর্তে মনে রেখো ৭ বিষয়
১. আত্মবিশ্বাস রাখবে
তোমরা সারা বছর পড়াশোনা করেছ, তাই পরীক্ষার সময় অবশ্যই আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে তোমার আত্মবিশ্বাস পুরোপুরি আছে। কারণ, তুমি এইচএসসির পাঠ্যবইগুলো সারা বছর ভালো করে পড়েছ, আবার রিভিশনও দিয়েছ। এখন এইচএসসি পরীক্ষার সময় তোমাকে অবশ্যই আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে—‘আমি পরীক্ষায় ভালো করব। আমি সব প্রশ্নের উত্তর ভালোভাবে উত্তর দিতে পারব।’
২. স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরবে
পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময়সহ প্রতিটি পরীক্ষার্থীকে বাধ্যতামূলক ‘মাস্ক পরিধান’ করতে হবে। সারা দেশে করোনাভাইরাস ও ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির স্বাক্ষরিত ১৬ জুন একটি স্বাস্থ্যবিধি প্রকাশিত হয়েছে।
৩. সুস্থ থাকো, ভালো থাকো
এখন বর্ষাকাল। গরমও পড়ছে, আবার বৃষ্টিও হচ্ছে। আবহাওয়াটা পরিবর্তনমূলক। তাই গরম থেকে হঠাৎ ঠান্ডা লাগতে পারে। রোদে যাওয়া যাবে না। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এইচএসসি পরীক্ষার আগের সময় ও পরীক্ষা চলাকালীন তোমার ১০০ ভাগ সুস্থ থাকা জরুরি। একজন পরীক্ষার্থীর জন্য প্রতিদিন নিয়মিত ঘুম, বেশি রাত না জাগা, সুষম ও পুষ্টিকর খাবার, বেশি বেশি পানি পান করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৪. সাজেশনে আকর্ষণ নয়
এইচএসসি পরীক্ষা এগিয়ে আসছে। তোমার মনে টেনশনও কাজ করছে। কিন্তু পরীক্ষার টেনশন তুমি মন থেকে একেবারে ঝেড়ে ফেলবে। পরীক্ষার আগে বা চলাকালীন অনেক সেন্টার, কোনো শিক্ষক বা ফেসবুক গ্রুপে অনেকে অনেক রকম চটকদার নোটের বলা বলবে। এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণভাবে বলবে। সে কথায় কান না দিয়ে, তুমি যা পড়েছ তার ওপর ১০০ ভাগ আস্থা রাখো। এতে তোমারই লাভ হবে।
৫. দূরে থাকো মুঠোফোন থেকে
এখন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা অনুষঙ্গ হলো মুঠোফোন। এটাই আবার কষ্টের কারণ। পরীক্ষা চলাকালীন মুঠোফোন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারে তোমাকে অনেক সতর্ক থাকতে হবে। মনে রেখো, এসব ডিভাইস বা গেজেট তোমার পরীক্ষার প্রস্তুতি থেকে মনোযোগকে ক্ষতি করতে পারে বা কিছু সময়ের জন্য সরাতে পারে, যা তোমার পরীক্ষার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
৬. নিয়ম জানো, আইন মানো
পরীক্ষার বিষয়ে প্রথমে আইনগুলো জানা প্রয়োজন পরে তা মানতে হবে। নিয়মের মধ্যে থাকলে যেকোনো কঠিন বিষয়ই সহজ ও ভালো হতে পারে। আরও কিছু দরকারি নিয়ম মানতে তোমার প্রবেশপত্রের পেছনের পাতায় দেওয়া থাকে, তা অবশ্যই পড়ে নেবে। প্রতিটি পরীক্ষার দিন নির্ধারিত কক্ষে নিজ আসনে অবশ্যই ৩০ মিনিট সময় আগে ঢুকবে।
৭. ছোট্ট ভুল বড় বিপদ
মনে রেখো তোমার ছোট্ট একটি ভুল অনেক বড় কোনো বিপদের কারণ হতে পারে। তাই তোমাকে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের সময়, পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময়, পরীক্ষা চলাকালীন, পরীক্ষার খাতায় লেখার সময়, পরীক্ষার খাতা–সংক্রান্ত নিয়ম সম্পর্কে সঠিক নিয়ম জেনে নেবে এবং মেনে চলবে। তাই তোমার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, কোন বোর্ড, বিষয় কোড ইত্যাদি ভালো করে বুঝে নিয়ে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো ধরনের কাটাছেঁড়া না করে উত্তর সঠিকভাবে লিখবে।
লেখক: অধ্যাপক মো. আবু মাসুদ, অধ্যক্ষ, ঢাকা কমার্স কলেজ, ঢাকা