আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে আর কোনো আপস নয়: নুরুল হক
Published: 10th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে আর কোনো আপস করা হবে না বলে বললেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক। তিনি বলেন, সরকারকে অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে আসতে হবে। অন্যথায় গণ অধিকার পরিষদ যমুনা ঘেরাও করবে।
যেসব রাজনৈতিক দল ও সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগসহ সারা দেশে কর্মসূচি পালন করছে, তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নুরুল হক এ কথা বলেন।
এ সময় গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সরকার ব্যর্থ দাবি করে নুরুল হক অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনেরও দাবি জানান। ছাত্র প্রতিনিধিরা সরকারে থেকেও এত দিন কেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পদক্ষেপ নেননি, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
নুরুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে আবার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সংকট তৈরি হবে। বড় রাজনৈতিক দল সমঝোতার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে গেলেও বড় আঘাতটা আসবে বিপ্লবীদের ওপর।
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু আগামী নির্বাচন নয়, কোনো নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করতে পারবে না। জাতীয় সংলাপ আহ্বান করে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
এরপর প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিতে গণ অধিকার পরিষদের পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল তাঁর বাসভবন যমুনায় যায়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম ও আবদুজ জাহের এবং যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন। প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব সাব্বির আহমেদ তাঁদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন বলে জানান আবু হানিফ।
স্মারকলিপিতে ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার, আহতদের পুনর্বাসন, শহীদ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, শহীদ ও আহতদের প্রকৃত তালিকা প্রণয়নের অগ্রগতি জানানো এবং হত্যা মামলার আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার প্রসঙ্গ আনা হয় বলে গণ অধিকার পরিষদ জানায়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ল হক আওয় ম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সত্যিই তুমি নেই মা?
প্রিয় মা,
দেখতে দেখতে তোমার যাওয়ার প্রায় এক বছর চার মাস হলো। তুমি নেই ভাবতেই পারছি না। এখনও বোঝার চেষ্টা করছি যে কী হলো আমার জীবনে। আমি কি ঘুম থেকে উঠে দেখব, তুমি পাশের রুমটাতেই আছো? আমাকে ডাকছো? সবকিছু কেমন যেন হয়ে গেল। পেশায় অভিনয়শিল্পী হয়েও অভিনয়ে মনোযোগ দিতে পারছি না ঠিকঠাক। অভিনয়টা হচ্ছে না একেবারেই, চেষ্টা চলছে।
ঈদ মানেই তো আমার প্রিয় মায়ের সঙ্গে মধুর সময়। গত ঈদে সেটি থেকে বঞ্চিত হয়েছি। ঈদে তোমার শাড়ি দিয়ে পাঞ্জাবি বানিয়ে পরেছি। তোমার স্মৃতি চিরজাগরূক রাখতে চাই। মা, জানো যখন ওই শাড়ি পরে তোমার সঙ্গে (কবর জিয়ারত) দেখা করতে যাচ্ছি, নিচে গার্ডরা বলল, এটা আন্টির শাড়ি না, স্যার? ভালো লাগল এই ভেবে যে বিল্ডিংয়ের গার্ডরাও তোমাকে এই ৮-৯ বছর নোটিশ করেছে। এবার তোমার গলার চেইনটা নিজেই পরলাম, কিন্তু আমাদের ওই কমেডি করাটা আর হলো না, যে আমি চাইব আর তুমি বলবে– নে, কিন্তু খুলে দেবে না। তোমার সঙ্গে কত গল্প করা হলো না, আর হবে না। আমার যা কিছু অর্জন, সফলতা– তার পেছনে তো তোমার সংগ্রাম জড়িয়ে আছে। আমার সাফল্যে তোমার চেয়ে কেউ বেশি খুশি হতো না। তুমি থাকতে সব সময় ছায়ার মতো। আগলে রাখতে। সেই তুমি আমার জীবন থেকে সরে গেলে। তোমার সঙ্গে কাটানো মধুর সময় আজ সবই স্মৃতি। শূন্যতা চারদিকে।
ডিসেম্বর এলেই হঠাৎ কাজের মধ্যেই মাথায় চলে আসে– ২৪ জানুয়ারি আবার ফিরে আসছে। সময় বড়ই স্বার্থপর! একটা একটা দিন গুনতাম, আর নিজের অজান্তে ভাবতাম, আমি কি কোথাও ভুল করছি সময়ে হিসাব করতে, নাকি আসলেই এক বছর হয়ে গেছে? লাখো কোটি শব্দ লিখেও এই জীবনে কোনো দিন আমি বোঝাতে পারব না আমার জন্য তুমি কী ছিলে এবং আছো! জীবন চলে যাচ্ছে মা। কিন্তু একটা বিশাল শূন্যতা নিয়ে! বছরের ৩৬৫ দিনের প্রতিটি মুহূর্তে শুধু এ প্রশ্নই করেছি নিজেকে, সত্যিই তুমি নেই মা? নাকি আমি কোথাও ভুল করছি– এটা কোনো দুঃস্বপ্ন নয় তো? তোমাকে হারানোর শোক আজও কাটিয়ে উঠতে পারিনি। মা ভালো থেকো। রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা।
তোমার শুভ