বিদেশি বিশেষজ্ঞ দিয়ে সংস্কার করা হবে শেয়ারবাজার
Published: 12th, May 2025 GMT
দেশের শেয়ারবাজারকে কার্যকর ও বিনিয়োগকারীবান্ধব করতে বিদেশি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মাধ্যমে আগামী তিন মাসের মধ্যে সংস্কার শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ভালো শেয়ারের জোগান বাড়াতে সরকারি কোম্পানির বাইরে সরকারের শেয়ার থাকা বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করারও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
গতকাল রোববার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেন প্রধান উপেদেষ্টা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড.
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শেয়ারবাজারের চলমান অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এভাবে একটি দেশের শেয়ারবাজার চলতে পারে না। বিশেষ ‘সার্জারি’ ছাড়া শেয়ারবাজার ঠিক হবে না। বিএসইসির চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদ প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, সংস্কার কার্যক্রম ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরুর পরই বাজারের স্বার্থান্বেষী মহল তাঁর পদত্যাগের বিষয়ে চাপ দিচ্ছে।
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লুটপাটের মাধ্যমে শেয়ারবাজারকে বেসামাল করে দেওয়ার পেছনে গত কয়েক দশক ধরে যারা জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় না আনতে পারলে মানুষের আস্থা ফিরবে না বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন, শেয়ারবাজারের প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে এমন অবস্থায় ফেরাতে হবে যেন মানুষ আস্থা ফিরে পায়। শেয়ারবাজার যেন লুটেরাদের আড্ডাখানায় পরিণত না হয়।
গত সরকারের রেখে যাওয়া দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি গত ৯ মাসে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও শেয়ারবাজারে এর কোনো প্রতিফলন নেই। লাগাতার দর পতনে হাজার হাজার বিনিয়োগকারী লোকসানে শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছাড়ছেন। এমন প্রেক্ষাপটে করণীয় নির্ধারণে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান, দেশের বড় বড় বেসরকারি কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে হরে তারা কী ধরনের প্রণোদনা চায়, তা জেনে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রেস সচিব বলেন, আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা পাঁচটি প্রধান নির্দেশনা দিয়েছেন। স্বার্থের সংঘাত এড়াতে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পুঁজিবাজার সংস্কারের কথা বলেছেন, যাতে তারা তিন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেন। শেয়ারবাজারে দুর্নীতিতে ও অনিয়মের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। বড় বড় কোম্পানি ব্যাংক থেকে ঋণনির্ভরতা কমিয়ে যাতে পুঁজিবাজার এবং বন্ড বাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করতে পারে, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।
প্রেস সচিব জানান, শেয়ারবাজারে ভালো শেয়ারের জোগান বাড়ানোর জন্য অবিলম্বে সরকারি কোম্পানি এবং ইউনিলিভারসহ যেসব বহুজাতিক কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার আছে, সেগুলোকে তালিকাভুক্ত করার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। এর বাইরে মেঘনা গ্রুপ এবং সিটি গ্রুপের মতো দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীর কোম্পানিকে প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন।
প্রেস সচিব আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে গত ৯ মাসে বিএসইসি শেয়ারবাজার সংস্কারে কী কী সংস্কার করেছে এবং যে বিষয়ে উদ্যোগ চলমান আছে সে বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
জানা গেছে, সভার শুরুতে বিএসইসির চেয়ারম্যান তাঁর উপস্থাপনায় জানান, তাঁর নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে শেয়ারবাজারের বড় বড় রাঘববোয়ালরা খেপেছেন। যাদের নিয়ে কাজ করতে গেছেন, তাদের অনেকের শেয়ারবাজারে কোনো না কোনো স্বার্থ জড়িত। ফলে এখানে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা কঠিন। সংস্কার কার্যক্রম ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরুর পরই বাজারের স্বার্থান্বেষী মহল তাঁর পদত্যাগের বিষয়ে চাপ দিচ্ছে।
শেয়ারবাজারকে কার্যকর করতে ভালো কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারমুখী করতে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হারের ব্যবধান ১০ শতাংশ উন্নীত করার প্রস্তাব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান। এ ছাড়া সাধারণ মানুষকে শেয়ারবাজারে আকৃষ্ট করতে লভ্যাংশ আয়ে উৎসে কর কর্তনকে চূড়ান্ত কর হিসেবে বিবেচনার প্রস্তাব করেন তিনি।
বিএসইসির চেয়ারম্যান জানান, শেয়ারবাজারে ভালো শেয়ারের সরবরাহ নাই বললেই বলে। এ ঘাটতি দূর করতে সরকারের ভালো কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি বহুজাতিক কোম্পানিগুলো সরাসরি তালিকাভুক্ত করা যেতে পারে। তবে ব্যাংক থেকে সহজে বড় অঙ্কের ঋণ ছাড় সুবিধা যতদিন বহাল থাকবে, ততদিন বেসরকারি খাতের কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারমুখী করা যাবে না। বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পে বিনিয়োগ সহজ করতে একটি জাতীয় নীতিমালা তৈরি করা দরকার। ব্যাংকের ওপর চাপ কমিয়ে পুঁজিবাজারকে অর্থায়নের উৎস হিসেবে ব্যবহার করার জন্য এই নীতিমালা দরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, আইডিআরএ ইত্যাদির মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের জন্য একটি জাতীয় সমন্বয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন তিনি।
দেরিতে হলেও শেয়ারবাজার বিষয়ে সরকারের দায়িত্বশীল শীর্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক করায় প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন। সমকালকে তিনি বলেন, গতকাল প্রধান উপদেষ্টা যে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছেন, তা শেয়ারবাজারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর সবগুলোর বাস্তবায়ন দীর্ঘমেয়াদি। শেয়ারবাজারের চলমান সংকটাবস্থা নিরসনে বিনিয়োগকারী এবং শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা তাৎক্ষণিক বা স্বল্পমেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য পদক্ষেপ আশা করে। অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া শেয়ারবাজার সমস্যার সমাধান করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডিএসইর এই পরিচালক।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র ত ল ক ভ ক ত কর শ য় রব জ র র সরক র র শ ব যবস থ বল ছ ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
লিবরা ইনফিউশনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম যাচাইয়ে তদন্ত কমিটি
পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি লিবরা ইনফিউশন লিমিটেডের ব্যবসায়িক কার্যক্রম খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এরই ধরাবাহিকতায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ থেকে সাতটি নির্দেশনা সাপেক্ষে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। তদন্তের বিষয়টি আরএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা রাইজিংবিডি ডটকমকে এ তথ্য দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান, বেড়েছে লেনদেন
হস্তান্তর হবে ঢাকা ব্যাংকের প্রয়াত উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার
গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির উপ- পরিচালক মো. বনি ইয়ামিন খান, সহকারী পরিচালক মো. সাকিল আহমেদ ও ডিএসইর সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. মাসুদ খান।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, গঠিত তদন্ত কমিটি কোম্পানিটির কারখানা, অফিস, আর্থিক হিসাব এবং ব্যবসায়িক অন্যান্য কার্যক্রম তদন্ত করা হবে। এছাড়া সঠিক নথির মাধ্যমে কমিশনের বিধান অনুসারে আয় ও ব্যয় নিশ্চিত করা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি ২০২০ ও ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনের সম্পদ, দায় এবং নগদ অর্থের পরিমাণের সত্য যাচাই করা হবে। এছাড়া আর্থিক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিবেদন মান এবং আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা মান পালন হয়েছে কিনা তা যাচাই করবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংক ও অর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া ঋণের দায়বদ্ধতা যাচাই করবে গঠিত তদন্ত কমিটি।
বিএসইসির তদন্তের আদেশ
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এ মর্মে অভিমত দিয়েছে, পুঁজিবাজার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে লিবরা ইনফিউশনের ১০টি বিষয়ে তদন্ত পরিচালনা করা প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স, ১৯৬৯ (১৯৬৯ সালের অধ্যাদেশ নং XVII) এর সেকশন ২১ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তিনজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ প্রদান করা হলো। তদন্ত কর্মকর্তাদের ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে কমিশনে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
যেসব বিষয় খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি
কোম্পানিটির ২০২০ ও ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পদ, দায়, ইক্যুইটি, মুনাফা এবং নগদ অর্থের পরিমাণের সত্য এবং সুনির্দিষ্ট তথ্য উল্লেখ করেছে কি-না তা যাচাই করা। এছাড়া আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশে আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিবেদন মান এবং আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা মান পালন হয়েছে কিনা তা যাচাই করবে তদন্ত কমিটি।
কোম্পানিটির বিক্রয়, গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত নগদ, বকেয়ার পরিমাণ, ব্যয়, ইনভেন্টরি (মজুদ পণ্য), কাঁচামাল ক্রয় এবং অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয়গুলোর সত্যতা যাচাই করা।
কোম্পানিটির ইউনিট-২-এ স্থায়ী সম্পদের কোনো অবচয় হয়েছে কি-না, তা বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা। ইউনিট-২ এর ভবন নির্মাণ ও পুনর্মূল্যায়নের জন্য ডেফার্ড কর দেখানো হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করা।
সেই সঙ্গে আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এবং ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডের কাছে বকেয়া ঋণের দায়বদ্ধতা ও অবস্থান যাচাই করা। কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে ঋণের দায়বদ্ধতার তথ্য যাচাই করা। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখবে গঠিত তদন্ত কমিটি।
সর্বশেষ আর্থিক অবস্থা
সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশ প্রদান করেনি লিবরা ইনফিউশন। এর আগে সর্বশেষ ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ৮০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ বোনাস ও ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ রয়েছে। এরপর থেকে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে আর কোনো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। ফলে বিগত ৪ বছর ধরে কোম্পানিটি পরিচালনা পর্ষদ শেয়ার হোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে ২০২১ সালের পর প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক কোনো তথ্য নেই।
শেয়ার ধারণ পরিস্থিতি
লিবরা ইনফিউশন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৯৪ সালে। বর্তমানে কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। এ কোম্পানিটির মোট পরিশোধিত মূলধন ২ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২২ লাখ ৫২ হাজার ৮৮০টি। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির উদ্যোক্তাদের হাতে ৩৪.৪২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪.২৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৬১.৩৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৭৯৭.১০ টাকায়।
ঢাকা/মেহেদী