রেকর্ড গ্র্যাজুয়েট নিয়ে বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন
Published: 12th, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন আগামী বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। সমাবর্তনে অংশ নিতে ২২ হাজার ৫৮৬ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করা শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন। বিশ্বের আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে এত গ্র্যাজুয়েট নিয়ে সমাবর্তন হয়নি।
আজ সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম নগরের প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী।
সংবাদ সম্মেলনে এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, সমাবর্তনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি দেওয়া হবে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অতিথিসহ প্রায় ২৫ হাজার মানুষের বসার জন্য প্যান্ডেল তৈরি হচ্ছে। সমাবর্তনে ৪২ জনকে পিএইচডি, ৩৩ জনকে এমফিলসহ মোট ২২ হাজার ৫৮৬ শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেওয়া হবে। প্রধান উপদেষ্টা গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন।
অধ্যাপক এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, সমাবর্তনের বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে অংশগ্রহণকারীদের থেকে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে এই ছয় কোটির মধ্যে দুই কোটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে জমা হবে। সেই হিসাবে প্রায় ১০ কোটি টাকা বাজেট ঘাটতি থাকছে। অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে প্যান্ডেল, সাজসজ্জা ও আসন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও মো.
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সরকারের আরও চার উপদেষ্টা উপস্থিত থাকবেন। তাঁরা হলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে চায় সরকা: খাদ্য উপদেষ্টা
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রয় সংশ্লিষ্ট সব পর্যায়ে অর্থাৎ খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবার টেবিল পর্যন্ত খাদ্যকে জনগণের জন্য নিরাপদ করতে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।
সোমবার (১২ মে) সচিবালয়ে জাইকার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে বাংলাদেশে জাইকার অর্থায়নে পরিচালিত ‘ফুড সেফটি টেস্টিং ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এ দ্রুত প্রকল্প পরিচালক এবং পরামর্শক নিয়োগের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া বৈঠকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জনবল বৃদ্ধি, জাপান ও আসিয়ান দেশগুলোর মতো একক এবং সুবিন্যস্ত খাদ্য ব্যবসা লাইসেন্স ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দশ বছর মেয়াদি ২ হাজার ৪০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ফুড সেফটি টেস্টিং ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ এর আওতায় ঢাকায় একটি ফুড সেফটি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি, চট্টগ্রাম ও খুলনায় দুইটি খাদ্য পরীক্ষাগার, প্রশিক্ষণ ভবন নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় সক্ষমতা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের খাদ্য নিরাপত্তা পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
বৈঠকে খাদ্য উপদেষ্টা ‘ফুড সেফটি টেস্টিং ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এ অর্থায়নে জন্য জাইকাকে ধন্যবাদ জানান এবং এই প্রজেক্টের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
বৈঠকে জাইকার কর্মকর্তারা এবং খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসানসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি