দুই মাথা নিয়ে জন্মানো শিশুর ২ ঘণ্টার পর মৃত্যু
Published: 13th, May 2025 GMT
পঞ্চগড়ে জন্মের দুই ঘণ্টা পরই মারা গেছে দুই মাথাওয়ালা নবজাতক। মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে শিশুটির জন্ম হয়। দুপুর দেড়টার দিকে সে মারা যায় বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আবুল কাশেম।
শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসক নাসরিন পারভীনের তত্ত্বাবধানে সিজারিয়ানের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম দেন সৌরভী আক্তার নামে এক নারী।
সৌরভী আক্তার পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের প্রধানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামীর নাম মাজেদুর রহমান।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে ডিপ্লোমা-বিএসসি নার্সিং শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ১০
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযান
মাজেদুর রহমান বলেন, “এটা আমাদের প্রথম সন্তান ছিল। যখন আল্ট্রাসনোগ্রাম করছিলাম, তখন ডাক্তার বলেছিলেন, জমজ সন্তান হবে। গত শনিবারে আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করি। আজকে সিজারের মাধ্যমে দুই মাথাওয়ালা এক ছেলে শিশুর জন্ম দেন আমার স্ত্রী। দুটি মাথা বাদে বাচ্চাটির অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক ছিল।”
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নাসরিন পারভীন বলেন, “সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আমরা একটা সিজারিয়ান সেকশন সম্পূর্ণ করেছি। কনজয়েনড টুইন পেয়েছি। বাবুর মাথা দুইটা কিন্তু বডি একটাই। টুইন প্রেগন্যান্সির কারণে এক হাজার বাচ্চার মধ্যে একটা বাচ্চা এমন হতে পারে।”
ঢাকা/নাঈম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাদাপাথরে লুটপাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতির পদ স্থগিত
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রের পাথর লুটপাটের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের পদ স্থগিত করা হয়েছে। দলীয় বিজ্ঞপ্তিতে সাদাপাথরে লুটপাটের বিষয়টি উল্লেখ করা না হলেও চাঁদাবাজি ও দখলবাজির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ওই নেতার পদ স্থগিত করা হয়। পাশাপাশি উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল মান্নানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ বিএনপির নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের সব পদ স্থগিত করা হয়েছে। তাঁর স্থলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি হাজী আবদুল মান্নানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।’
বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকারি প্রায় ১৫০ একর জমি দখলের অভিযোগ ছিল। এ নিয়ে গত ১৭ মার্চ প্রথম আলোর শেষ পাতায় ‘দখলসূত্রে সরকারি জমির মালিক বিএনপি নেতা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ১৮ মার্চ সরকারি জমি উদ্ধারে অভিযানে নামে স্থানীয় প্রশাসন। এ সময় প্রায় ৭০ একর জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়। এসব স্থানে থাকা ছোট-বড় ১০০টি পাথর ভাঙার (স্টোন ক্রাশার) যন্ত্র উচ্ছেদের পাশাপাশি প্রায় ৫০টি টিনশেড ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে সরকারি জমি দখলের ঘটনায় গত ১৯ মার্চ সাহাব উদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় জেলা বিএনপি। পাশাপাশি অভিযোগ তদন্তে জেলা বিএনপির সহসভাপতি আশিক উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
জেলা বিএনপির একটি সূত্র জানায়, গত ১০ এপ্রিল ভোলাগঞ্জে পাথর কোয়ারি পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে সরকারি জমি দখল ও লুটপাটের ঘটনায় বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিন ও তাঁর স্বজনেরা জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, উপজেলা সভাপতির নেতৃত্বে এমন অপরাধ সংঘটিত হবে, তা কখনো ভাবা যায় না। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট ও নেতৃত্বের চরম অবমাননা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
ওই নেতার পদ স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য সুস্পষ্ট। চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুটপাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ বিএনপিতে থাকতে পারবে না। সেই সঙ্গে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ যাতে অপকর্ম-লুটপাট করতে না পারে, সে জন্য প্রশাসনকে আগে থেকেই জানানো হয়েছে। প্রশাসন যাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়, সেটি আমরা জানিয়েছিলাম। স্থানীয়ভাবেও সাদাপাথর লুটপাটের বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়। কিন্তু প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’