ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) জটিলতায় আট ঘণ্টা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা বিঘ্নিত হওয়ার পর কেটেছে সেই অবস্থা।  মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এনআইডি মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমাদের সার্ভারে লগইন করার জন্য ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ডের (ওটিপি) প্রয়োজন হয়, তা সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল, এখন সচল হয়েছে। আগামীকাল থেকে আবার আগের মতো কার্যক্রম চলবে।

তিনি জানান, ওটিপি জটিলতার কারণে দিনভর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা এনআইডি সার্ভারে কোনো তথ্য ইনপুট দিতে পারেননি। ফলে এনআইডি সংশোধন, স্থানান্তর, নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তকরণ সংক্রান্ত সেবাগুলো বিঘ্নিত হয়েছে। তবে এনআইডি যাচাই সেবা সচল ছিল।

বর্তমানে ইসির সার্ভারে সাড়ে ১২ কোটির মতো ভোটার রয়েছে। এদের অনেকেই বিভিন্ন কারণে প্রতিদিন আবেদন করেন। এ ছাড়া ভোটার তালিকায় যুক্ত অনেকেই আবেদন করে থাকেন।

এ সংক্রান্ত আবেদনগুলোর বিপরীতে সেবা কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছিল। তবে ওটিপি ছাড়াও ফেস রিকগনিশনের মাধ্যমে সার্ভারে প্রবেশ করা গেছে। এর ফলে কোনো কোনো কর্মকর্তা সেবাদান অব্যাহত রাখেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনআইড এনআইড স ব

এছাড়াও পড়ুন:

বাবার জন্ম ১৯৫০ সালে, ছেলের ১৮৮৭-তে

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) জন্ম সাল ভুল হওয়ায় ছেলে-মেয়েকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাতে পারছেন না জিতু মিয়া নামে এক ব্যক্তি। এনআইডি কার্ডের তথ্য অনুযায়ী, তার বয়স ১৩৮ বছর, আর তার বাবার ৭৫ বছর। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। এনআইডি কার্ডের ভুল সংশোধনে নবীগঞ্জ ইউএনএর কাছে আবেদন জানিয়েছেন ওই ভুক্তভোগী। 

জিতু মিয়া নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ার ভাঙা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মান্দারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। জাতীয় পরিচয়পত্রে তার জন্ম তারিখ ১৮৮৭ সালের ২ মার্চ। অন্যদিকে জিতু মিয়ার বাবা হারিছ মিয়ার জন্ম তারিখ ১৯৫০ সালের ১ মার্চ। অর্থাৎ বাবার চেয়ে ছেলে ৬৩ বছরের বড়। 

ভুক্তভোগী জিতু মিয়া জানান, তিনি দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন। সম্প্রতি তার ১২ বছরের ছেলেকে মাদ্রাসায় ভর্তি করাতে গেলে এনআইডি কার্ডে বয়সের সমস্যা ধরা পড়ে। জন্মনিবন্ধন সঠিক না হওয়ায় মেয়েকেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাতে পারছেন না। তিনি বলেন, লেখাপড়া না করায় এনআইডিতে এত বেশি বয়স দেওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেননি তিনি। আইডি কার্ড সংশোধন করতে গত কয়েক মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদ ও নির্বাচন অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছেন। অনেক অর্থ ব্যয় করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না। আজ (মঙ্গলবার) হবিগঞ্জ জেলা জজ আদালতে তার বয়স এফিডেভিট করে এনআইডি সংশোধন করতে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করে এসেছেন। তিনি বলেছেন, এটা ঠিক করে দেবেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কমিশনার উত্তম কুমার দাসের ভাষ্য, মূলত ২০০৭ সালে যখন সার্ভারে ভোটার তালিকা করা হয়েছিল, তখনই বয়স ভুলের সমস্যাটি হয়েছে। ভুক্তভোগী কেউ আবেদন করলে জন্মনিবন্ধন ছাড়া সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। ওই ব্যক্তির অনলাইন জন্মনিবন্ধনেরও সংশোধন থাকতে হবে। বয়স সংশোধনে জিতু মিয়ার আবেদন তারা পেয়েছেন। কিন্তু জন্মনিবন্ধন ছাড়া কিছু করতে পারছেন না। 

নবীগঞ্জ ইউএনও মো. রুহুল আমিন বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়সের ভুল কোনো ডকুমেন্টস ছাড়া সংশোধনের নিয়ম নেই। ওই ব্যক্তির আবেদন তারা পেয়েছেন। কিন্তু তার কোনো ডকুমেন্টস (প্রয়োজনীয় নথি) নেই, তিনি লেখাপড়া না করায় কোনো সার্টিফিকেট দিতে পারেননি। তাকে সিভিল সার্জনের কাছে থেকে বয়স সম্পর্কিত মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। সিভিল সার্জনের রিপোর্ট পেলে জন্মনিবন্ধন সংশোধন করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। বিষয়টি তিনি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতীয়কে এনআইডি দেওয়ায় ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা 
  • সাড়ে ৮ ঘণ্টা পর সচল হলো এনআইডি কার্যক্রম, সেবা মিলবে বুধবার সকাল থেকে
  • ভারতীয় নাগরিককে এনআইডি দেওয়ার অভিযোগে নির্বাচন কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
  • এনআইডিতে বাবার জন্ম ১৯৫০ সালে, ছেলের ১৮৮৭-তে!
  • বাবার জন্ম ১৯৫০ সালে, ছেলের ১৮৮৭-তে
  • ওটিপি না আসায় এনআইডি সেবায় বিঘ্ন