ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) জটিলতায় আট ঘণ্টা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা বিঘ্নিত হওয়ার পর কেটেছে সেই অবস্থা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এনআইডি মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমাদের সার্ভারে লগইন করার জন্য ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ডের (ওটিপি) প্রয়োজন হয়, তা সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল, এখন সচল হয়েছে। আগামীকাল থেকে আবার আগের মতো কার্যক্রম চলবে।
তিনি জানান, ওটিপি জটিলতার কারণে দিনভর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা এনআইডি সার্ভারে কোনো তথ্য ইনপুট দিতে পারেননি। ফলে এনআইডি সংশোধন, স্থানান্তর, নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তকরণ সংক্রান্ত সেবাগুলো বিঘ্নিত হয়েছে। তবে এনআইডি যাচাই সেবা সচল ছিল।
বর্তমানে ইসির সার্ভারে সাড়ে ১২ কোটির মতো ভোটার রয়েছে। এদের অনেকেই বিভিন্ন কারণে প্রতিদিন আবেদন করেন। এ ছাড়া ভোটার তালিকায় যুক্ত অনেকেই আবেদন করে থাকেন।
এ সংক্রান্ত আবেদনগুলোর বিপরীতে সেবা কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছিল। তবে ওটিপি ছাড়াও ফেস রিকগনিশনের মাধ্যমে সার্ভারে প্রবেশ করা গেছে। এর ফলে কোনো কোনো কর্মকর্তা সেবাদান অব্যাহত রাখেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডাক্তারকে রোগীর থাপ্পড়
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসককে থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে আরিফ হোসেন (১৮) নামে এক মানসিক রোগীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবককে আটক করে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুনে) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর প্রায় এক ঘণ্টা জরুরি বিভাগের নিউরোসার্জারি চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, জরুরি বিভাগের ইমার্জেন্সি অপারেশন থিয়েটারের (কক্ষ-৪) নিউরোসার্জারি বিভাগের এক চিকিৎসকের গালে থাপ্পড় মারেন আরিফ। পরে আনসার সদস্যরা তাকে আটক করে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। এরপর তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে করোনা মোকাবিলায় আইসোলেশন সেন্টার চালু
চট্টগ্রামে ৯ জন করোনা আক্রান্ত
অভিযুক্ত আরিফের বাবা মো. তাজউদ্দিন জানান, তারা নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার কাশিপুর খিল মার্কেট এলাকায় থাকেন। আরিফ একটি ছাপাখানায় কাজ করতেন। কয়েক মাস আগে তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।
তিনি বলেন, “জরুরি বিভাগে টিকিট কেটে ৪ নম্বর কক্ষে ঢোকার পর চিকিৎসক জানতে চান, আমরা কোথা থেকে এসেছি। তখনই আরিফ হুট করে চিকিৎসকের গালে থাপ্পড় মারেন।”
আরিফের মা শিল্পী বেগম বলেন, “আমার ছেলের মাথায় সমস্যা। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। মাথায় সমস্যার কারণে না বুঝে ডাক্তারকে মেরেছে। ডাক্তাররা তাকে পুলিশ দিয়েছেন।”
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) মোস্তাক আহমেদ বলেন, “কর্তব্যরত চিকিৎসকের গায়ে হাত তুলেছেন চিকিৎসা নিতে আসা আরিফ নামে একজন রোগী। এ ঘটনায় পরিবার জানিয়েছে, ওই যুবক মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তবে এটা আগেই জানানো উচিত ছিল। রোগী যদি ধারালো কোনো অস্ত্র দিয়ে হামলা করতেন, তখন কী হতো? এসব ঘটনা এড়াতে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা দরকার।”
ঢাকা/বুলবুল/ইভা