ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) জটিলতায় আট ঘণ্টা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা বিঘ্নিত হওয়ার পর কেটেছে সেই অবস্থা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এনআইডি মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমাদের সার্ভারে লগইন করার জন্য ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ডের (ওটিপি) প্রয়োজন হয়, তা সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল, এখন সচল হয়েছে। আগামীকাল থেকে আবার আগের মতো কার্যক্রম চলবে।
তিনি জানান, ওটিপি জটিলতার কারণে দিনভর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা এনআইডি সার্ভারে কোনো তথ্য ইনপুট দিতে পারেননি। ফলে এনআইডি সংশোধন, স্থানান্তর, নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তকরণ সংক্রান্ত সেবাগুলো বিঘ্নিত হয়েছে। তবে এনআইডি যাচাই সেবা সচল ছিল।
বর্তমানে ইসির সার্ভারে সাড়ে ১২ কোটির মতো ভোটার রয়েছে। এদের অনেকেই বিভিন্ন কারণে প্রতিদিন আবেদন করেন। এ ছাড়া ভোটার তালিকায় যুক্ত অনেকেই আবেদন করে থাকেন।
এ সংক্রান্ত আবেদনগুলোর বিপরীতে সেবা কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছিল। তবে ওটিপি ছাড়াও ফেস রিকগনিশনের মাধ্যমে সার্ভারে প্রবেশ করা গেছে। এর ফলে কোনো কোনো কর্মকর্তা সেবাদান অব্যাহত রাখেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী আর নেই
উপমহাদেশে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী আর নেই।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজশাহী মহানগরীর রানীবাজার এলাকার নিজ বাসভবন ‘মোহিনী নিকেতন’-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
অমরেশ রায় চৌধুরী বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রাজশাহীর পঞ্চবটি শ্মশানে তাকে দাহ করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
১৯২৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর জেলার চৌদ্দরশি গ্রামে সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন অমরেশ রায় চৌধুরী। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন তার মা রাজলক্ষ্মী রায় চৌধুরীর আগ্রহে উপমহাদেশের প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার ফরিদপুরের সুধীর লাল চক্রবর্তীর কাছে তার প্রথম হাতেখড়ি হয়। গুরু সুধীর লালের মৃত্যুর পর তিনি সিরাজগঞ্জের উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতবিদ হরিহর শুক্লার কাছে কয়েক বছর তালিম নেন।
পরবর্তীতে ফরিদপুরের কোটালীপাড়ার সঙ্গীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তীর কাছে ধ্রুপদ, খেয়াল ও ঠুমরিতে দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ নেন। নেত্রকোনার বিশিষ্ট শিল্পী ও সুরকার নিখিলচন্দ্র সেনের কাছে আধুনিক, রাগপ্রধান, অতুলপ্রসাদী, নজরুল সঙ্গীত ও শ্যামা সঙ্গীত শেখেন। পরবর্তীতে সঙ্গীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তীর ছেলে প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী মানস চক্রবর্তীর কাছেও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে তালিম নেন অমরেশ রায় চৌধুরী।
১৯৪৫ সালে বাইশরশি শিবসুন্দরী একাডেমি থেকে ম্যাট্রিক পাসের পর উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি নিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গীত চর্চা চালিয়ে যান অমরেশ রায় চৌধুরী। ছোটবেলা থেকেই রাগসঙ্গীতের প্রতি গভীর অনুরাগ ছিল তার।
১৯৬১ সাল থেকে রাজশাহী মহানগরীর রানীবাজার এলাকায় ‘মোহিনী নিকেতন’-এ বাস করতেন অমরেশ রায় চৌধুরী। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পদক এবং ২০১৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
ঢাকা/কেয়া/রফিক