রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন এবং প্রতীক ফিরে পেতে আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ১ জুন রায় ঘোষণা করবেন আপিল বিভাগ।

বুধবার (১৪ মে) দুপুরে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও আইনজীবী শিশির মনির। ইসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম। গতকাল ১৩ মে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল মামলাটি খারিজ (আইনজীবী হাজির না থাকায়) করে দেয়। এরপর আপিল পুনরুজ্জীবনের জন্য আবেদন করা হয়। পরে গত বছরের ২২ অক্টোবর আদালত বিলম্ব মার্জনা করে আপিলটি শুনানির জন্য রিস্টোর করেন। ফলে নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াই করার পথ খুলে যায়।

=

ঢাকা/এম/

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইনজ ব র আপ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিডিআর বিদ্রোহ: বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আরও ৪০ জনের জামিন মঞ্জুর

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আরও ৪০ আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই ঘটনায় হওয়া হত্যা মামলায় এই ব্যক্তিরা আগেই খালাস পেয়েছেন।

আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের (প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ) বিচারক ইব্রাহীম মিয়া আজ সোমবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।

আইনজীবী আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া আরও ৪০ জনের জামিন বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া ১৭৮ জন বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিন পেয়েছিলেন। এ নিয়ে মোট ২১৮ জামিন পেলেন।

আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জানান, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ২৭৮ জনকে খালাস দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। এর মধ্যে ৬৯ জনের খালাসের রায় চ্যালেঞ্জে উচ্চ আদালতে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর মধ্যে ২০ জনের খালাসের রায় বাতিল হয়। এই হিসাব অনুযায়ী, বিচারিক ও উচ্চ আদালত থেকে হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া আসামির সংখ্যা ২৫০ জনের বেশি। যাঁরা উভয় আদালত থেকে খালাস পান, তাঁদের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত দুই দফায় মোট ২১৮ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন।

পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় বিচারিক আদালত ও হাইকোর্ট ইতিমধ্যে রায় দিয়েছেন। মামলাটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য এখন আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। অন্যদিকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় বিচারিক আদালতে এখনো সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। এ মামলার সাক্ষী ১ হাজার ৩৪৪ জন।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ—বিজিবি) সদর দপ্তর ঢাকার পিলখানায় বিদ্রোহ হয়। সেদিন বিডিআরের কয়েক শ সদস্য পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালান। প্রায় দুই দিনব্যাপী চলা বিদ্রোহে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সব মিলিয়ে ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পিলখানায় বিডিআরের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনরত সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরাও সেদিন নৃশংসতার শিকার হন।

পিলখানায় হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক মামলা হয়। হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আসামি করা হয় ৮৫০ জনকে। দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় মামলা। বিচারিক আদালত ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এই মামলার রায় দেন। রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ে খালাস পান ২৭৮ জন। রায় ঘোষণার আগে চার আসামি মারা যান।

যেকোনো হত্যাকাণ্ডের মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হাইকোর্টে অনুমোদনের জন্য আসে। পিলখানা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষে তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। রায়ে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় ২২৮ জনকে। খালাস পান ২৮৩ জন। হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ আসামি মারা যান।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ২২৬ আসামির পক্ষে পৃথক ৭৩টি আপিল ও লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করা হয়েছে। অন্যদিকে হাইকোর্টের রায়ে যাঁরা খালাস পেয়েছেন এবং যাঁদের সাজা কমেছে, এমন ৮৩ আসামির বিষয়ে ২০টি লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এই শুনানি হবে আপিল বিভাগে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রামে ২৭ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইনজীবীর মামলা
  • চট্টগ্রামে ২৭ সাংবাদিকসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • আইনজীবীদের দুয়োধ্বনি, দৌড়ে গারদে ঢুকলেন সাবেক এমপি মমতাজ
  • মাগুরা শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম ২১ দিনে শেষ, রায় শনিবার
  • হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল ইতিহাসে এটাই প্রথম
  • মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন
  • মাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন
  • মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন
  • বিডিআর বিদ্রোহ: বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আরও ৪০ জনের জামিন মঞ্জুর