যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তরে উঠে এসেছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ইস্যুটি। এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপ-মুখপাত্র (প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপার্সন) টমি পিগট বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আমরা সচেতন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের কোনো একটি দলের চেয়ে অন্যকে বেশি সমর্থন করি না। আমরা সমর্থন করি একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং একইসঙ্গে সবার সাথে স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া।’

প্রধান উপ-মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশসহ সব দেশকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ জমায়েত ও সংগঠন করার অধিকারকে সম্মান জানানোর আহ্বান জানাই।’

এরপর ‘উগ্রপন্থাকে উৎসাহিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার’ বিষয়ে একটি প্রশ্ন করেন প্রশ্নকর্তা সাংবাদিক।

জবাবে টমি পিগট বলেন ‘আমরা ৫০ বছর ধরে গড়ে তোলা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অংশদারিত্বকে গুরুত্ব দেই। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করে এ অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে’ আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে গত সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র আওয় ম ল গ ন ষ দ ধ কর আওয় ম সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সংসদ নির্বাচনের বাজেটে কার্পণ্য করা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনো কার্পণ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেখানে আমরা কোনো কার্পণ্য করব না। 

বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিএপি ও ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এলএনজির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলএনজি আসলে আমরা হয়ত সারের সরবরাহ বাড়াতে পারব। রংপুরে ৩০টি স্কুল রিনোভেন্ট করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, এনবিআরকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেনকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, যে প্রজ্ঞাপন আপনারা দেখেছেন, দ্যাট ইজ ফাইনাল। এর পরে কোনো প্রজ্ঞাপন নেই, আগেও কোনো প্রজ্ঞাপন নেই। আমি প্রজ্ঞাপন জারি করার লোক। আই এম নট এ ডিসিশন মেকার। ওনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমি প্রজ্ঞাপন জারি করেছি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আলোচনার দরকার আছে কি নেই, সে বিষয়ে কথা বলার আগেই ওনারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন ওনাদের দাবি-দাওয়া আছে কি নেই, সেটা বুঝলে পরে আমরা বসব।

বন্দরে স্থবিরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুরোপুরি বন্ধ ছিল না। পণ্য যা বন্দরে ঢুকেছে, সেগুলো এখন জাহাজিকরণ হবে। ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা হয়নি। তবে, খুব বেশি একটা ক্ষতি হয়নি।

আন্দোলনকারীদের প্রতি ইঙ্গিত করে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আপনি নাই বলে কোনো কাজ থেমে থাকবে, এটা বাংলাদেশে হবে না, পৃথিবীর কোনো দেশে হয় না।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ