বিডিআর বিদ্রোহ: কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন ২৭ জন
Published: 15th, May 2025 GMT
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ২৭ জন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তাঁরা মুক্তি পান। এ সময় কারা ফটকে তাঁদের আত্মীয়স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত সোমবার ৪০ আসামির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
মুক্তিপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২ জন, কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ থেকে ৫ জন এবং পার্ট-২ থেকে ১০ জন রয়েছেন।
কারা সূত্র জানায়, জামিনের কাগজপত্র গত মঙ্গলবার বিকেলে কারাগারে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে আজ সকালে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। এ নিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ২১৮ জন জামিনে মুক্তি পেলেন। এর আগে হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া ১৭৮ জন জামিন পেয়েছিলেন।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ আল মামুন বলেন, গত মঙ্গলবার বিকেলে বন্দী ২৭ সাবেক বিডিআর সদস্যের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে কাগজপত্র যাচাই–বাছাই করে আজ সকালে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। এতে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সব মিলিয়ে ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিদ্রোহের ঘটনায় পরদিন ও ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি পৃথক মামলা হয়।
হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ৮৫০ জনকে আসামি করা হয়, যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা হিসেবে বিবেচিত। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। খালাস পান ২৭৮ জন। মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য আপিল বিভাগে শুনানি চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত গেল ২৬ পণ্যবাহী ট্রাক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলছে। এ অবস্থার মধ্যেই আজ শনিবার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে গেল আটা ও মাছের ২৬টি ট্রাক। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, ২৬টি ট্রাকের কাগজপত্র আগের দিন স্বাক্ষর করা হয়েছিল।
আখাউড়া স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় গেল আজ শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ২৩টি ট্রাকে করে ৯২ মেট্রিক টন মাছ এবং তিনটি ট্রাকে করে ৬৬ মেট্রিক টন আটা। এছাড়া দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার হয়েছে। আজ বিকেল পর্যন্ত এ পথে প্রায় দুই শতাধিক যাত্রী আসা যাওয়া করেছে।
সরেজমিনে স্থলবন্দরে দেখা যায়, কর্মচাঞ্চল্য নেই বন্দরে। ব্যবসায়ীদেরও আনাগুনা তেমন একটা চোখে পড়েনি। বন্দরের শূন্যরেখায় আগরতলায় যেতে মাছ ও আটা ভর্তি ট্রাক সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। কাস্টমস অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, কর্মকর্তারা অলস বসে আছেন। একজন অন্যজনের সঙ্গে গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা সদরুল হাসান চৌধুরী বলেন, আজ শনিবার কর্মবিরতিতে থাকায় কাস্টমস কর্মকর্তারা নতুন কোনো কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেনি। গতকাল (শুক্রবার) স্বাক্ষরিত কাগজপত্রের ভিত্তিতে আজ কিছু পণ্য ভারতে পাঠানো গেছে।
স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেসার আহমেদ ভূঁইয়া জানান, যেসব পণ্যের কাগজপত্র আগেই সম্পন্ন ছিল, সেগুলোই রপ্তানি করা হয়েছে। তবে ‘কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে নতুন করে আজ কোনো পণ্য ভারতে যায়নি।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, শুক্রবারের প্রস্তত কিছু ট্রাক আজ শনিবার সকালে ভারতে গেছে পণ্য নিয়ে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, আজ ২৬টি ট্রাকে করে আটা ও হিমায়িত মাছ নিয়ে আগরতলা বন্দরে গেছে। এর মধ্যে ২৩টি ট্রাকে করে ৯২ মেট্রিক টন হিমায়িত মাছ ও তিনটি ট্রাকে করে ৬৬ মেট্রিক টন আটা ভারতের আগরতলায় রপ্তানি হয়েছে।