ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন প্রশাসকের সাথে সাক্ষাত করেছেন। এসময় তারা সিটি কর্পোরেশনের আহত কর্মকর্তাদের খোঁজ-খবর নেন।

তাদের উপর অটোচালকদের নির্মম হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, যেই অটো চালক সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমোদন ও সুবিধা নিয়ে রাস্তায় চলাচল করছে তারাই কিনা আবার হামলা করছে এটা খুবই নিন্দনীয়। তাছাড়াও তাদের পিছনে কোন অপশক্তি কাজ করছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখার আহবান জানান।

এছাড়াও নেতৃবৃন্দ নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে পরিবেশবান্ধব ও জনগণের সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। শহরের যানযটের জন্য অবৈধ অটো রিক্সাকে দায়ী করে বলেন, দ্রুত এদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষকরে, অটো পার্টস আমদানীকারক ও প্রস্তুতকারদেরকে দমন করাে উচিত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সেক্রেটারি মুহা.

সুলতান মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জ শহর শাখা দক্ষিণের সভাপতি মুহা. শফিকুর রহমান ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

“শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ইন্ধন থাকতে পারে তৃতীয় পক্ষের”

নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের চাষাড়া ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়কে আজ বুধবার ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে যা ঘটেছে তা উদ্বেগজনক। স্বেচ্ছায় সড়কে শৃংখলার দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটো-ইজিবাইক চালকদের সংঘবদ্ধ হিংস্র হামলা প্রমান করে এটা পূর্ব পরিকল্পিত।

কিছু কিছু অটো চালক তাদের গাড়ির সিটের নিচে করে লাঠি ও লোহার রড  নিয়ে এসেছে। হামলার পরও প্রকাশ্যে একাধিক শিক্ষার্থীকে গণধোলাই দিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে অটো চালকরা। প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী ও পথচারীদের তথ্যমতে, অনেক অটো চালককে মনে হয়েছে কিশোরগ্যাং সন্ত্রাসী, নেশাখোরের মতো। তারা অন্যদের চেয়ে বেশি মারমুখী ছিল।

অটো চালকদের কেউ কেউ থামানোর চেষ্টা করলেও আরেকটি পক্ষের হিংস্রতা দেখে মনে হচ্ছিল তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন থাকতে পারে এই ঘটনায়।

হামলার পর উল্টো অটো চালকরা নিজেদের উপর হামলার অভিযোগ তুলে দীর্ঘ দুই ঘন্টা নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোড ব্লক করে রাখে। এতে করে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে হাজার হাজার যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হলো, সড়ক বন্ধ করা হলো, রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ ডানপন্থী-বামপন্থী রাজনৈতিকরা। নিশ্চুপ অতি বিপ্লবীরাও। 

মজার বিষয় হলো-স্বেচ্ছাশ্রমে রৌদে পুড়ে-বৃষ্টিতে ভিজে সড়কে শৃংখলা ফেরাতে শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব পালন হয়তো কারো কারো কাছে পছন্দ হচ্ছিলো না। কারণ, চাষাড়ায় অটো ঢুকতে দেয়াটাই ছিল অটো চালকদের দাবি। সেখান পর্যন্ত গেলে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া ও আয় বেশী হয়। এটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাঁদাবাজরাও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

এই চাঁদাবাজ ও অটো বাণিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছে কতিপয় অসাধু ট্রাফিক পুলিশ, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, কথিত সাংবাদিক ও মাস্তানদের সমন্বয়ে একটি চক্র। এই চক্রের কারণে কখনোই অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটো রিকসা, ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করা যায়নি। হয়তো যাবেও না। 

শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

লেখক -
বিল্লাল হোসেন রবিন
সহসভাপতি
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের বন্দর উপজেলা কমিটি গঠন
  • সোনারগাঁয়ে সিরাত বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
  • ত্বকী হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিলে আবার সময় নিল র‍্যাব
  • নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব পরিদর্শনে জাতীয় প্রেস ক্লাব সম্পাদক
  • সিদ্ধিরগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনের রূপকার সাংবাদিক আবদুল অদুদের সাথে মতবিনিময়
  • রুপগঞ্জে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে এসি আই সল্টকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
  • “শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ইন্ধন থাকতে পারে তৃতীয় পক্ষের”
  • ১৩ ঘণ্টা পর রংপুরের রেল যোগাযোগ সচল
  • ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
  • হেরোইন বিক্রির অভিযোগে ধামরাইয়ে গ্রেপ্তার ৩