চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসহকারী প্রকৌশলী পদে আবেদনকারী প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সময়সূচি অনুযায়ী ১৭ মে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩ হাজার ৪৬৯ প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

আরও পড়ুনরূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, মূল বেতন ১২৬০০০ থেকে ২১০০০০ টাকা১৩ ঘণ্টা আগে

এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৭ মে বেলা দুইটা থেকে একযোগে পাঁচটি কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রগুলো হলো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় (১১০০), চট্টগ্রাম বন্দর মহিলা কলেজ (৬০০), চট্টগ্রাম বন্দর কলেজ (৭০০), চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ উচ্চবিদ্যালয় (৬০০) ও বন্দর উত্তর আবাসিক এলাকা প্রাথমিক বিদ্যালয় (৪৬৯)।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে লগইন করে প্রার্থীরা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের মোবাইলে এ–সংক্রান্ত এসএমএস পাঠানো হবে। প্রার্থীদের অনুকূলে ডাকযোগে কোনো ইন্টারভিউ কার্ড প্রেরণ করা হবে না।

আরও পড়ুনমহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে নবম গ্রেডে চাকরির সুযোগ৬ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে আম নামানো শুরু

রাজশাহীর বিখ্যাত আমের জন্য অপেক্ষার অবসান হলো। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল থেকে নগর ও আশপাশের উপজেলার বাগানগুলোতে শুরু হয়েছে গাছপাকা গুটি আম নামানোর কার্যক্রম। 

পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে নামানো হবে হিমসাগর, গোপালভোগ, আম্রপালি, ল্যাংড়া, ফজলি, আশ্বিনাসহ বিভিন্ন জাতের আম।

বাগানিদের মতে, এবার আমের ফলন গতবারের চেয়ে কিছুটা বেশি হলেও বাজারমূল্য তুলনামূলক কম। তবে সময়মতো আম পাড়ার সুযোগ পাওয়ায় সন্তুষ্ট তারা।

গত আট বছরের মতো এবারও অপরিপক্ক আম বাজারজাতকরণ ঠেকাতে জাতভেদে আম নামানোর নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণা করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। এই সময়সূচিই ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ নামে পরিচিত। সেই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শুক্রবার (১৫ মে) থেকে গুটি আম পাড়া শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী নগর, পুঠিয়া ও বাঘা উপজেলার বিভিন্ন বাগানে গিয়ে দেখা যায়, আমচাষিরা গাছপাকা গুটি আম নামিয়ে বানেশ্বর হাটসহ বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন।

রাজশাহী নগরের ক্যান্টনমেন্ট এলাকার এক বাগানে আম নামাচ্ছিলেন চাষি আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, “আমাদের বাগানে এখন যেসব আম নামানো হচ্ছে, সবই গুটি জাতের। এর মধ্যে আছে সাগরিকা, চোষা বা চোরষা, বৈশাখী ও চাপড়া। এসব আমকে অনেকেই আঁটি আমও বলেন। এই গুটি জাতের প্রায় ৩০০ রকমের আম আছে। যেগুলো অন্য জাতের চেয়ে আগেভাগেই পাকতে শুরু করে।”

তিনি আরও বলেন, “এবার যে সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে, তা সময়মতোই কার্যকর হওয়ায় আমাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। গাছে আমও ভালোভাবে পেকেছে।”

জেলার বাঘা উপজেলার আমচাষি আনোয়ার হোসেন পলাশ বলেন, “প্রথমদিন বাগান থেকে বড় আকারের গুটি আম মণপ্রতি বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। আর ছোট আমের দাম ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে। গত বছরের তুলনায় এবার শুরুতেই দাম কিছুটা কম।”

তিনি আরও বলেন, “এবার এলাকার অন্য বাগানগুলোতে আমের ফলন ভালো হলেও আমার বাগানে কিছুটা কম হয়েছে। তবুও বাজারে যে চিত্র দেখা যাচ্ছে, তাতে দাম কমে শুরু হওয়ায় আমরা একটু হতাশ।”

ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, গোপালভোগ আম নামানো যাবে ২২ মে থেকে। লখনা (লক্ষণভোগ) ও রানীপছন্দ ২৫ মে থেকে, হিমসাগর ও খিরসাপাত ৩০ মে থেকে, ল্যাংড়া ও ব্যানানা ম্যাংগো ১০ জুন থেকে, আম্রপালি ও ফজলি ১৫ জুন থেকে, বারি-৪ আম ৫ জুলাই, আশ্বিনা ১০ জুলাই এবং গৌড়মতি ১৫ জুলাই থেকে, এছাড়া কাটিমন ও বারি আম-১১ জাতের আম পাকলেই নামাতে পারবেন চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে ছালমা জানিয়েছেন, চলতি বছর রাজশাহীতে ১৯ হাজার ৬০৩ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৬ মেট্রিক টন। গত মৌসুমে আমের চাষ হয়েছিল ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে।

ঢাকা/কেয়া/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচনের সময়সীমা ডিসেম্বর অতিক্রম করা যৌক্তিক হবে না: বাসদ
  • কুয়েটে আবার অস্থিরতা, তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
  • রাজশাহীতে আম নামানো শুরু
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের সংশোধিত রুটিন প্রকাশ