ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় অন্তত ৭৫০ ‘সন্দেহভাজন বাংলাদেশি’কে আটক রাখা হয়েছে, যাদের পুশইন করা হতে পারে। বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে, রাজস্থান থেকে ‘বাংলাদেশি সন্দেহে’ আটক ১৪৮ জনকে আজ বৃহস্পতিবার আগরতলায় নেওয়া হয়। সেখানে আরও ছয় শতাধিক ‘সন্দেহভাজন বাংলাদেশি’ আটক ছিলেন। এদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারতের নানা রাজ্যে ‘অনুপ্রবেশকারী’ খোঁজার অভিযান শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে ‘অবৈধভাবে’ ভারতে বসবাসকারী ‘বাংলাদেশি সন্দেহে’ অনেককে আটক করা হয়। অনেকে নির্যাতনের অভিযোগ করছেন। এদের বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ। সমকালের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৫ দিনে পুশইনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪২।

রাজস্থান পুলিশের বরাত দিয়ে জয়পুর থেকে বিবিসি জানায়, বুধবার পর্যন্ত ১০০৮ জনকে ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটক করা হয়েছে। চারটি ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’ তাদের রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৬১ জনকে পুলিশ চিহ্নিত করেছে ‘বাংলাদেশি’ বলে। বাকিদের ভারতীয় পরিচয়পত্র দেখে ছেড়ে দিচ্ছে পুলিশ। 

এদিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার আরও ৩০ জনকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ। কুলাউড়া সীমান্ত দিয়ে আসা ১৪ জনের মধ্যে চারজন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চরবিটারি এবং ১০ জন ফুলবাড়ি উপজেলার ধনীরাম গ্রামের বাসিন্দা। বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে বিকেলে বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি।

হিলি সীমান্তে ড্রোন উদ্ধার

দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে ধানক্ষেত থেকে একটি ড্রোন উদ্ধার করেছে বিজিবি ও থানা পুলিশ। হাকিমপুর থানার ওসি এস এম জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত বুধবার বিকেলে ক্ষেতে ড্রোন পড়ে থাকতে দেখে তা বাড়ি নিয়ে যান কৃষক। রাত ১০টার দিকে পুলিশ ও বিজিবি গিয়ে সেটি থানায় নিয়ে আসে।

(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি)

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ প শইন

এছাড়াও পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্ত থেকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছেন বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে।

ওই ব্যক্তির নাম বদরউদ্দীন (৩০)। তিনি জেলার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর গ্রামের স্কুল পাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে।

আরো পড়ুন:

পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ল শিশুটি, বিজিবির সহায়তায় জীবনরক্ষা 

দুর্গাপূজা বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য ও মিলনমেলার প্রতীক: বিজিবির মহাপরিচালক

বুধবার (১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ভারতের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বদরউদ্দীন মানব পাচারে জড়িত। বুধবার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাঁচ থেকে ছয় জনকে ভারতে পাচার করছিলেন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা ধাওয়া করলে বদরউদ্দীনের সঙ্গে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। তবে, ধরা পড়েন তিনি। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে নোনাগঞ্জ ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিএসএফ সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে বিজিবি পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’’

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিএসএফ এক জনকে ধরে নিয়ে গেছে বলে লোকমুখে শুনেছি।’’

মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, ‘‘অসমর্থিত সূত্রে জানতে পেরেছি, বিএসএফ এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।’’

ঢাকা/মামুন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর, সবাই কয়রার বাসিন্দা
  • সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো মৃত বাবার মুখ দেখলেন মেয়ে
  • জীবননগর সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
  • চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ