শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আগামীকাল শুক্রবার জুম্মার নামজের পর জবি শিক্ষার্থীদের গণ অনশন ঘোষণা করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে ‘জবি ঐক্যের’ পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.

রইছউদ্দীন এ ঘোষণা দেন।

অধ্যাপক ড.রইছ উদ্দীন বলেন, আমরা সরকারের নিকট আমাদের অধিকার আদায়ের দাবি জানিয়েছিলাম। তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়েছে। কিন্তু আমাদের অধিকারের বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেনি। এমনকি ৩৫ ঘণ্টা পার হলেও কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি প্রশাসন। সরকার থেকে কোন বার্তা আসেনি। 

তিনি বলেন, দাবি আদায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কাল জুম্মার পরে গণ অনশন শুরু করবে। এতে সকল সাবেক ও বর্তমান জবিয়ানদের অংশ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এদিন শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে আন্দোলন স্থলে শুরু হবে জবিয়ান সমাবেশ। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে পুলিশ কর্তৃক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ মে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস পালনের ঘোষণা দেন তিনি।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় সংবাদ সম্মেলনে তারা এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। রাত সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১–এর নিচে তারা আমরণ অনশন শুরু করে।

এর আগে গতকাল বেলা দুইটায় উপাচার্য শুচিতা শরমিনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা না হলে দক্ষিণবঙ্গকে অচল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে লিংকার্স’– এ রাত ১০টায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার ঘোষণা দেন উপাচার্য শুচিতা শরমিন। তাঁর এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে গত রাতে আকস্মিক সংবাদ সম্মেলন করে আমরণ অনশন শুরুর ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করার সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে। টানা ২৮ দিন আন্দোলন চালিয়েও যাঁকে পাওয়া যায়নি, তাঁর সঙ্গে আর কোনো আলোচনার সুযোগ নেই।

আরও পড়ুনবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম১৮ ঘণ্টা আগে

শিক্ষার্থীদের পক্ষে আন্দোলনরত নেতা সুজয় শুভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘যতক্ষণ না আমাদের প্রাণের দাবি উপাচার্য শুচিতা শরমিনের পদত্যাগ পূরণ হচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ আমরণ অনশনে বসে থাকবে। প্রয়োজনে প্রাণের বিনিময়েও আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কমুক্ত করব।’ এ সময় তিনি বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষকে এই ন্যায্য আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

আরও পড়ুনউপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এবার একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা, একাংশের শিক্ষকদের সংহতি০৮ মে ২০২৫

অনশনরত শিক্ষার্থী ইমন হাওলাদার বলেন, ‘উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিকে কেন্দ্র করে আমরা আমরণ অনশনে বসেছি। এরপরও যদি উপাচার্য গদিতে বসতে চান, তবে আমাদের রক্তের ওপর দিয়েই বসতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের এক দফা বাস্তবায়িত হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আমরণ অনশন চলমান থাকবে।’

উপাচার্যের পদত্যাগে দেওয়া ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা আজ মঙ্গলবার দুইটায় শেষ হবে। এরপর পরবর্তী ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শুক্রবার সকাল ১০টায় সমাবেশ, জুমার পর গণ-অনশনের ঘোষণা
  • ববির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে অপসারণ
  • বরির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে অপসারণ
  • বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন