রেলসেতুতে ১৩ বগি রেখে যাওয়া ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ উদ্ধার, চলাচল স্বাভাবিক
Published: 18th, May 2025 GMT
ঢাকার কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জগামী ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ১৩টি বগি রেলসেতুর ওপর রেখেই চলে গিয়েছিল ইঞ্জিন। শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নেত্রকোনা সদরের চল্লিশা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এর প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর রিলিফ ট্রেন এসে এ বগিগুলো উদ্ধার করায় ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
নেত্রকোনার সাতপাই রেলস্টেশনের মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, স্প্রিং ভেঙে যাওয়ায় ইঞ্জিনটি স্টেশনে ফিরে আসে। পরে নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ রেলওয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় বগি উদ্ধারকাজ শুরু হয় এবং রাত ১২টার দিকে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
ওই ট্রেনের যাত্রী ইন্দ্র বলেছেন, ‘‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন হঠাৎ করে চল্লিশা ব্রিজের ওপর থেমে যায়। ইঞ্জিনটি বগিগুলো রেখে চলে যায়, এতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে সময় কাটান।’’
অন্য যাত্রীরা জানান, ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি নেত্রকোনা সদরের চল্লিশ এলাকায় এসে রেল ব্রিজে ওঠার পর হঠাৎ একটি শব্দ এবং ঝাঁকুনি অনুভব করেন তারা। পরে ট্রেনের গতি আস্তে আস্তে কমতে থাকে এবং এক সময় স্থির হয়ে যায়। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ট্রেনের ইঞ্জিন দাঁড়িয়ে থাকা বগিগুলো রেখে চলে গেছে।
ঢাকা/সোহেল/রেজা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হনগঞ জ ন ত রক ন
এছাড়াও পড়ুন:
নেত্রকোনায় প্রাইভেট পড়তে বেরিয়ে স্কুলছাত্র নিখোঁজ
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে সৈয়দ মশিউর রহমান ওরফে তাজিম (১৩) নামের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দৌলতপুর এলাকায় বাসা থেকে প্রাইভেট পড়ার জন্য বেরিয়ে সে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় মোহনগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
নিখোঁজ সৈয়দ মশিউর রহমান ওই এলাকার সৈয়দ সোলায়মান কবীর খোকন ও তানিয়া কবীর দম্পতির ছেলে। সে মোহনগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
মশিউর রহমানের পরিবার জানায়, গতকাল রাত সাড়ে সাতটার দিকে মশিউর রহমান একই এলাকায় সুফিয়া সুলতান মহিলা মাদ্রাসার কাছে এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে বের হয়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ। ওই শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মশিউর রাতে প্রাইভেট পড়তে আসেনি।
মশিউর রহমানের বাবা দন্তচিকিৎসক সৈয়দ সোলায়মান কবীর বলেন, ‘শুক্রবার রাত নয়টা পর্যন্ত বাসায় না আসায় শিক্ষকের কাছে ফোন করে জানতে পারি, সেখানেও সে যায়নি। আত্মীয়স্বজনের বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ হওয়ার সময় তার শরীরে খয়েরি রঙের গেঞ্জি, প্যান্ট ও স্যান্ডেল ছিল।’
এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে জানিয়ে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধানে পুলিশ কাজ করছে। দেশের বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে।