ঈদের আগে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল চান শিক্ষার্থীরা
Published: 22nd, May 2025 GMT
দুয়েক দিনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করে ঈদুল আজহার ছুটির আগেই তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশার সঙ্গে আলোচনার সময় তারা এই দাবি জানান। বিকাল সোয়া ৩টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিষয়টি তুলে ধরেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস অতিবাহিত হলেও এই রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত প্রশাসন ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। একটি গোষ্ঠী চায় এই ডাকসু নির্বাচন বন্ধ করতে।
আরো পড়ুন:
বৃষ্টি উপেক্ষা করে সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তায় উপ-কমিটি গঠন
মুসাদ্দিক বলেন, সর্বশেষ প্রশাসন একটি টাইমলাইন ঘোষণা করেছিল। কিন্তু সে অনুযায়ী তারা তা করতে পারেনি। আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে, তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
ডাকসু কোনো সমস্যা না, এটি সকল সমস্যার সমাধান বলে মন্তব্য করে মুসাদ্দিক বলেন, শিক্ষার্থীদের ছাত্র সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার তৎপরতা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে ছাত্র-জনতা আবার রাজপথে নেমে আসবে। দয়া করে ডাকসু ও নিরাপত্তা ইস্যু মুখোমুখি দাঁড় করাবেন না। নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা হলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে আসত না।
আরেক শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, “এই মুহূর্তে ক্যাম্পাসে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ডাকসু চাচ্ছে। যদি ডাকসু দেওয়া না হয়, তাহলে খুব শিগগির আমরা গণআন্দোলন গড়ে তুলব।”
তিনি বলেন, সাম্য ভাইয়ের হত্যাকে কেন্দ্র করে যে নিরাপত্তাহীন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, সেটাকে ডাকসুর মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। ডাকসু হলে এই সমস্যা আর হবে না।
জুবায়ের বলেন, “প্রশাসন আমাদের আজ জানিয়েছে যে, তারা এই বিষয় নিয়ে কাজ করছে। তবে আমরা তাদের এই আশ্বাসে সন্তুষ্ট নই।”
ঢাকা/সৌরভ/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যমজ কন্যা শিশুদের পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ, বাবা-মা পুলিশি হেফাজতে
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ৬ মাস বয়সী যমজ দুই কন্যা শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্দী এলাকার বিলের বাড়িতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত দুই শিশু লামিয়া ও সামিহা স্থানীয় বাসিন্দা মো. সোহাগ (২৮) ও শান্তা আক্তার (২৪) দম্পতির মেয়ে।
এদিকে দুই শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যার ঘটনার পর বাবা সোহাগ ও মা শান্তা আক্তার একে-অপরকে দোষারোপ করে বক্তব্য দিচ্ছে। ফলে এ নিয়ে ধ্রুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে শ্রীনগর থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। ঘটনার তদন্তের স্বার্থে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত শিশুদের বাবা সোহাগ ও মা শান্তাকে থানায় নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
স্থানীয় গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, এই দম্পতির মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এর জের ধরে দুই যমজ শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রামবাসীর ভাষ্য, ঘটনার পর বাবা সোহাগের অভিযোগ, তাদের মা শান্তা সন্তানদের পুকুরে ফেলে দিয়েছে। অপরদিকে মা শান্তা দাবি করেছেন, বাবা সোহাগই সন্তানদের পানিতে ফেলে হত্যা করেছে।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশু দুইটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত শিশুদের বাবা ও মাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে।