যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে বিএনপিকর্মী লিটন হোসেনকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (১১ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে হত্যা করা হয়। নিহত লিটন হোসেন ওই গ্রামের আজগর আলীর ছেলে।

শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন নিহত লিটন হোসেন তাদের দলীয় কর্মী বলে জানান। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,  লিটন  রাতে তার বাড়ির পাশে বসেছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী মমিনুর রহমানসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী পূর্বশত্রুতার জেরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে লিটনের উপর হামলা চালায়। তারা লিটনকে বুকে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

মিরপুর থেকে সন্ত্রাসী সানির গলাকাটা লাশ উদ্ধার 

ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ২৭ দিন পর আসামি গ্রেপ্তার

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে লিটনকে হত্যা করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে। 

গত ৭ জুন ঈদের দিন রাতে আব্দুল হাই নামে এক বিএনপিকর্মীকে বোমা মেরে হত্যা করা হয়। 

ঢাকা/রিটন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ব এনপ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জকসু নির্বাচন চায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে করার দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা বলেন, বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহুল প্রতীক্ষিত জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে একধরনের উত্তেজনা ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তফসিলে নির্বাচনের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অনেকাংশে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা অভিযোগ করেন, জকসু নির্বাচনের যে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। ডিসেম্বর বছরের শেষ মাস। এ সময় শিক্ষার্থীরা সারা বছরের একাডেমিক চাপ শেষে ছুটি কাটাতে বাড়ি যায়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ সময় ক্যাম্পাসে থাকে না। নির্বাচনের জন্য এমন সময় নির্ধারণের একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে ভোটারদের অংশগ্রহণ সীমিত করা।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা আরও বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষার্ধে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করতে পারে। এমন সময়ে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ থাকতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীভ বলেন, ‘একটি সুস্থ ও সর্বোচ্চ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হয়ে থাকবে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন, যা সংকটে জর্জরিত এই ক্যাম্পাসের ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা রাখে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ