নওগাঁ শহরে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ঢাকা বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শহরের বালুডাঙ্গা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে থাকা প্রায় ১০ বিঘা সরকারি জমি ইতোমধ্যেই পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও উপসচিব টি এম এ মমিন।

শহরের প্রধান প্রবেশপথে অপরিকল্পিত বাসস্ট্যান্ডটির কারণে যানজট লেগেই থাকে। সরু সড়কের দুই পাশে বাস রাখায় অন্য যান চলাচল ব্যাহত হয়। এতে প্রতিদিনই শহরবাসী ও পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দিনের অধিকাংশ সময় যানজট থাকায় নষ্ট হয় শত শত কর্মঘণ্টা। নাগরিক সমাজ একাধিকবার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। 

সমকাল সুহৃদ সমাবেশের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী চন্দন কুমার দেব বলেন, নওগাঁ শহরের গলার কাঁটা এই বাসস্ট্যান্ড। রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে এতদিন এটি সরানো হয়নি। অবশেষে সঠিক সিদ্ধান্তটি এসেছে।

নওগাঁ পৌর প্রশাসক টি এম এ মমিন জানান, এরই মধ্যে বালুডাঙ্গা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে আন্তঃজেলা বাস চলাচল করছে। কিন্তু শুধু ঢাকা ও বগুড়াগামী বাসগুলো শহরের গেটেই অবস্থান করায় তাজের মোড় থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিন যানজট লেগেই থাকে। এই এলাকায় জেলা স্টেডিয়াম, ফায়ার সার্ভিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ে। বর্তমান জেলা প্রশাসক যোগদানের পর বিষয়টি অগ্রাধিকার তালিকায় এনে দ্রুত পদক্ষেপ নেন। জমি হস্তান্তরসহ প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। শহরবাসীর সহযোগিতা পেলে শিগগিরই বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তর সম্ভব হবে।

নওগাঁ শহরকে যানজটমুক্ত, নিরাপদ ও বাসযোগ্য আধুনিক মডেল শহরে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রশাসনের এমন উদ্যোগে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তারা দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবের দাবি জানিয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নওগ শহর র

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ