কখন হাঁটা ভালো, সকালে নাকি বিকেলে
Published: 18th, June 2025 GMT
হাঁটা সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। ওজন কমাতে, হার্ট সুস্থ রাখতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ বা রক্তের চর্বি কমাতে যত ধরনের শরীরচর্চা আমরা করি, এসবের মধ্যে সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর হলো হাঁটা। আনন্দদায়ক ব্যায়ামও বটে। অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে, কখন হাঁটা ভালো। সকালে হাঁটলেই বেশি ফল মিলবে নাকি বিকেলে হাঁটব? দ্বিধা কাটাতে জেনে নেওয়া যাক কোন সময় হাঁটলে সবচেয়ে বেশি উপকার।
সকালে হাঁটার উপকারিতাসকালে হাঁটা মানে আপনার শরীর ও মনে একটি রিসেট বোতাম টিপে দেওয়া। এই সময়ের হাঁটাচলায় ফুসফুস তাজা বাতাসে ভরে ওঠে।
বেশির ভাগ মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠেই হাঁটতে বের হতে পছন্দ করেন। সকালের শান্ত পরিবেশ, নির্মল বাতাস, পাখির কিচিরমিচির ডাক শুধু যে শরীর ভালো রাখে, তা নয়; মন হয় প্রশান্ত। সারা দিনের কাজের স্পৃহা বাড়াতে যা খুব জরুরি।
খালি পেটে বা নাশতার আগে হাঁটার কারণে ফ্যাট বার্ন বেশি হয়। সকালে কর্টিসল লেভেল বেশি থাকে, তাই যাঁদের পেটে চর্বি বেশি, তাঁদের ওজন কমাতে সকালে হাঁটা অনেক বেশি কার্যকর।
সকালের মিষ্টি রোদ কিন্তু শুধু আপনার মনই ভালো করবে না, ভিটামিন ডির অভাবও মেটাবে। ভিটামিন ডি আপনার হাড়ের গঠন ও ত্বকের জন্য উপকারি।
যাদের সকালে হাঁটার অভ্যাস, তাঁরা রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে ভোরে ওঠেন। ফলে শরীরের সারকাডিয়ান রিদম ভালো থাকে।
মর্নিংওয়াকে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখসহ অনেক রোগবালাই দূরে থাকে।
সারা দিন নানা কাজের ব্যস্ততায় বা হঠাৎ করেই অফিসের কোনো মিটিং বা পারিবারিক কাজ আপনার বিকেলের হাঁটার পরিকল্পনা সহজেই নষ্ট করে দিতে পারে। তাই সকালে যদি নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস একবার হয়ে যায়, তাহলে দিনটা একটা রুটিনের মধ্যে নিয়ে আসা সহজ হয়ে যায়।
আরও পড়ুননিয়মিত হাঁটার জুতা কেমন হওয়া উচিত২৭ মার্চ ২০২৫বিকেলে হাঁটার উপকারিতাএকেকবেলা হাঁটায় একেক রকম উপকার মিলবে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ পূর্তি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক
পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের ‘কবর’ কবিতা বাংলা সাহিত্যের এক অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। ১৯২৫ সালে লেখা অমর এ কবিতার শতবর্ষ এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ‘কবর’ কবিতা তৎকালীন সময়ের সমাজের চিত্রকে তুলে ধরেছে।
‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত ‘শতবর্ষে কবর’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে এ কথা বলেন বক্তারা। শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
‘শতবর্ষে কবর’ গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন মফিজ ইমাম মিলন। ৪৮ জন লেখকের লেখা নিয়ে প্রকাশিত এই গ্রন্থ প্রকাশ করেছে নয়নজুলি প্রকাশনাী।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের বক্তব্যে উঠে আসে জসীমউদ্দীনের অবিস্মরণীয় সৃষ্টি ‘কবর’ কবিতার নানান প্রসঙ্গ। কবিতাটি ১৯২৫ সালে ‘গ্রাম্য কবিতা’ পরিচয়ে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল কল্লোল পত্রিকার তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যায়।
আলোচকেরা বলেন, ‘কবর’ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বিপুল সাড়া জাগিয়েছিল। কবিতাটি দীনেশচন্দ্র সেন, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। এমনকি ‘কবর’ পড়ে দীনেশচন্দ্র সেন ‘অ্যান ইয়াং মোহামেডান পোয়েট’ শিরোনামে একটি আলোচনাও লিখেছিলেন ফরওয়ার্ড পত্রিকায়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আববার বলেন, ‘কবর’ কবিতার শত বছর পূর্তির ঘটনা একটা গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। কবিতাটির শতবর্ষ নিয়ে বই প্রকাশ ব্যতিক্রমী প্রয়াস।
এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি শহরে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের মতো সংগঠন থাকা উচিত। একটা বৃহত্তর পরিবারের মতো কাজ করে তারা। তিনি বলেন, এ ধরনের নাগরিক সমাজ রাষ্ট্রের বাইরে থেকে দেশ ও সমাজ সম্পর্কে ভাবে। এটা বিশাল শক্তি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জালাল আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক আন্দালিব রাশদী, পক্ষিবিশারদ ইনাম আল হক, কথাসাহিত্যিক ফারুক মঈন উদ্দীন। গবেষক, সাংবাদিক ও ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন নয়নজুলি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলী খান, অধ্যাপক এম এ সামাদ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ কাকলী মুখোপাধ্যায়, ডেইলি স্টারের সাহিত্য সম্পাদক ইমরান মাহফুজ প্রমুখ।
‘শতবর্ষে কবর’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘কবর’ কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে। স্বাগত বক্তব্য দেন ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেন।