যাঁরা এনসিসি গঠনের বিপক্ষে, তাঁরা ফ্যাসিবাদী কাঠামোয় থেকে যেতে চান: নাহিদ ইসলাম
Published: 18th, June 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কয়েকটি রাজনৈতিক দল জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। আমরা বলতে চাই, যাঁরা এনসিসি গঠনের বিপক্ষে, তাঁরা মূলত ফ্যাসীবাদী কাঠামোয় থেকে যেতে চান।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরে নাহিদ ইসলাম বলেন, তাঁর দল এনসিসি গঠনের প্রস্তাবকে সমর্থন জানায়। তবে গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে তাঁদের দ্বিমত রয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠকের বিরতিতে তিনি এ কথা বলেন।
যাঁরা এনসিসি গঠনের বিরোধিতা করছেন, তাঁদের বিকল্প প্রস্তাব পেশ করার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানতে চাই, আপনারা কি আগের ফ্যাসিবাদী কাঠামোয় থেকে যেতে চান? মানবাধিকার কমিশন থাকার পরও বিগত ১৬ বছরে তারা কোনো কথা বলেনি। দুদক ও নির্বাচন কমিশন তাদের কার্যক্রমে বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়। কারণ, তারা একটি দল ও ব্যাক্তির আজ্ঞাবহে পরিণত হয়েছিল।’
এনসিপির এই নেতা জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে এনসিসি গঠনের বিষয়ে মতামত দেওয়ার আহ্বান জানান।
এনসিসি গঠনকে ক্ষমতার ভারসাম্য হিসেবে উল্লেখ করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগের অসম ক্ষমতা হ্রাস করতেই আমাদের নতুন বাংলাদেশের যাত্রা। তাই আমরা এনসিসি গঠনের পক্ষে মত দিয়েছি। তবে এখানে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান নিয়োগের ক্ষমতা থাকা উচিত নয়। পাশাপাশি এনসিসিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে রাখা উচিত নয়। এটা নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম গঠন র ব এনস স
এছাড়াও পড়ুন:
এক পত্রের পরীক্ষায় প্রশ্ন অন্য পত্রের, ৬ জনকে অব্যাহতি
যশোর বোর্ডের অধীনে কুষ্টিয়ার আদর্শ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের ঘটনায় কেন্দ্র সচিবসহ ছয়জনকে পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিতরণ করা ভুল প্রশ্নপত্র নতুন করে ছাপার কাজ চলছে। এ ঘটনায় যশোর শিক্ষা বোর্ড ও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (১১ জুলাই) শিক্ষা বোর্ড থেকে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছে। তদন্ত কমিটি বলছে, প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে আসার আগে যে ধাপগুলো আছে, সেই হিসেবে এক পরীক্ষার প্রশ্ন আরেক পরীক্ষায় আসা অনেকটা অসম্ভব বলা যায়।
ট্রেজারিতে প্যাকেটবন্দির সময় যদি সতর্কতার সঙ্গে কাজগুলো করা হয়, তাহলে এ ধরনের ঘটার সম্ভাবনা থাকে না। এ ক্ষেত্রে দায়িত্বে থাকা কলেজের চার শিক্ষকের ভুলের কারণেই এমনটা হয়েছে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর শিক্ষা বোর্ডের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত টিম আদর্শ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে আসে। সেখানে বেলা ৩টা পর্যন্ত তারা অবস্থান করেন। এরপর তদন্ত কাজ শেষ করে বের হয়ে যান।
এর আগে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আজব আলী জোয়ার্দ্দারকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করে নতুন করে তিন সদস্যের পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।
অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ও কেন্দ্র সচিব সালাহ্ উদ্দিন, পরিচালনা কমিটির সদস্য রাজু উদ্দিন আহমেদ, সেলিম উদ্দিন, আব্দুর জব্বার, হারুনার রশিদ ও ট্যাগ অফিসার।
কেন্দ্র সচিব ও আদর্শ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সালাহ্ উদ্দিন বলেন, ‘‘তদন্ত কমিটি লিখিতভাবে কিছু না জানালেও ওই চার শিক্ষকসহ আমাকে কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”
এ বিষয়ে মো. মিজানুর রহমান বলেন, “যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের দ্বিতীয় পত্রের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নতুন করে ছাপার কাজ চলছে। আজকে রাতের মধ্যে প্রশ্নপত্র সব জায়গায় পৌঁছে যাবে। এছাড়া কেন্দ্রের পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে থাকা ছয়জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”
যশোর বোর্ডের তদন্ত টিম আজ কেন্দ্র ঘুরে গেছে। এর পাশাপাশি জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরআগে বৃহস্পতিবার আদর্শ মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে মানবিক বিভাগের যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের প্রথম পত্রের পরীক্ষা ছিল। সৃজনশীল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ৩০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার প্রশ্ন বিতরণ করা হয়।
ঢাকা/কাঞ্চন/এস