বাংলাদেশের বাজারে স্পার্ক সিরিজের নতুন স্মার্টফোন এনেছে টেকনো। ‘টেকনো স্পার্ক গো ২’ মডেলের ফোনটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পাশাপাশি ইনফ্রারেড রিমোট কন্ট্রোল সুবিধা থাকায় সহজেই টিভি, এসিসহ বিভিন্ন স্মার্টযন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দুটি সংস্করণে বাজারে আসা ৬৪ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটিতে যথাক্রমে ৩ ও ৪ গিগাবাইট র‍্যাম রয়েছে, যা সর্বোচ্চ ৮ গিগাবাইট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায়। সংস্করণভেদে ফোনটির দাম ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ১০ হাজার ৯৯৯ টাকা। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে টেকনো বাংলাদেশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ১৫গো অপারেটিং সিস্টেমে চলা ৬.

৬৭ ইঞ্চি এইচডি প্লাস পর্দার ফোনটিতে টি৭২৫০ প্রসেসর থাকায় একসঙ্গে একাধিক কাজ দ্রুত করা যায়। ৫ হাজার এমএএইচ ব্যাটারি সুবিধার ফোনটির পেছনে ফ্ল্যাশসহ ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। সেলফি তোলার জন্য রয়েছে ফ্ল্যাশসহ ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ফলে কম আলোতেও ভালো মানের ছবি তোলা যায়।

ডিটিএস সাউন্ড সিস্টেমের ডুয়াল স্পিকারযুক্ত ফোনটিতে এআই জিসি পোর্ট্রেট, ওয়ান ক্লিক সামারি, ডকুমেন্ট সামারি, এলা স্মার্ট সার্চ, ফটো বেইজড প্রবলেম সলভিং, এআই রাইটিং, ইমেজ টু ডকুমেন্ট কনভার্শনসহ বেশ কিছু এআই সুবিধা রয়েছে। ফলে সহজেই ইন্টারনেটে তথ্য খোঁজার পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি ও ভিডিও সম্পাদনা করা যায়। সাইড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরযুক্ত ফোনটিতে ওটিজি কানেকটিভিটি সুবিধাও রয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ফ নট ফ নট ত

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ষণ মামলার বাদীকে বিয়ে করার অনুমতি পেলেন নোবেল

ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। নোবেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার বুধবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) ইলা মনি।

নোবেলের আইনজীবী জসীম উদ্দিন ও এসআই ইলা মনি প্রথম আলোকে জানান, ধর্ষণ মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া আসামি নোবেলের পক্ষ থেকে আদালতে লিখিতভাবে বিয়ে করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। বাদী ও আসামি উভয় পক্ষের সম্মতি সাপেক্ষে বিয়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত ২০ মে থেকে কারাগারে আছেন গায়ক নোবেল। সেদিন নোবেলের আইনজীবী আদালতের কাছে দাবি করেছিলেন, যে নারী ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন, তিনি তাঁর স্ত্রী। তিনি ধর্ষণ করেননি।

ওই নারীকে স্ত্রী হিসেবে দাবি করলেও আদালতে কাবিননামা জমা দিতে পারেননি নোবেলের আইনজীবী জসীম উদ্দিন। ওই নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয় নোবেলের বিরুদ্ধে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘কণ্ঠশিল্পী নোবেল ওই নারীকে বিয়ে করেছেন, এমন কোনো কাগজপত্র আমাদের কাছে জমা দিতে পারেননি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, যাত্রাবাড়ীর কোনো একটি বাসায় ওই নারীর সঙ্গে নোবেলের মৌখিকভাবে বিয়ে পড়ানোর একটি ঘটনা রয়েছে; কিন্তু বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রি কাবিননামা নেই।’

ডেমরা থানার পুলিশ আদালতকে লিখিতভাবে জানিয়েছিল, সাত বছর আগে (২০১৮) ফেসবুকে নোবেলের সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয়। তিনি মোহাম্মদপুরের একটি ভাড়া বাসায় থেকে রাজধানীর একটি কলেজে স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষে পড়তেন। তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হতো। গত বছরের ১২ নভেম্বর ডেমরায় নোবেলের স্টুডিও দেখানোর জন্য ওই নারীকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত আটটার দিকে তিনি (নারী) বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে তাঁর মুঠোফোন কেড়ে নেন নোবেল। পরে মুঠোফোনটি ভেঙে ফেলেন। এরপর তাঁকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের সেই ভিডিও ধারণ করেন নোবেল। পরে ভয় দেখিয়ে সাত মাস ধরে ওই বাসায় তাঁকে আটকে রাখা হয়।

পুলিশ আদালতকে আরও জানিয়েছিল, ওই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তাঁর (নারী) মা–বাবা ঢাকায় আসেন। পরে ওই নারীকে নোবেলের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।

পরে ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।

আরও পড়ুনসেই নারীকে স্ত্রী বলে দাবি নোবেলের, আদালত বললেন কাবিননামা এনেছেন?২০ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ