কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির এই স্মার্টফোন দিয়ে টিভি ও এসিও নিয়ন্ত্রণ করা যায়
Published: 18th, June 2025 GMT
বাংলাদেশের বাজারে স্পার্ক সিরিজের নতুন স্মার্টফোন এনেছে টেকনো। ‘টেকনো স্পার্ক গো ২’ মডেলের ফোনটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পাশাপাশি ইনফ্রারেড রিমোট কন্ট্রোল সুবিধা থাকায় সহজেই টিভি, এসিসহ বিভিন্ন স্মার্টযন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দুটি সংস্করণে বাজারে আসা ৬৪ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটিতে যথাক্রমে ৩ ও ৪ গিগাবাইট র্যাম রয়েছে, যা সর্বোচ্চ ৮ গিগাবাইট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায়। সংস্করণভেদে ফোনটির দাম ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ১০ হাজার ৯৯৯ টাকা। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে টেকনো বাংলাদেশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ১৫গো অপারেটিং সিস্টেমে চলা ৬.
ডিটিএস সাউন্ড সিস্টেমের ডুয়াল স্পিকারযুক্ত ফোনটিতে এআই জিসি পোর্ট্রেট, ওয়ান ক্লিক সামারি, ডকুমেন্ট সামারি, এলা স্মার্ট সার্চ, ফটো বেইজড প্রবলেম সলভিং, এআই রাইটিং, ইমেজ টু ডকুমেন্ট কনভার্শনসহ বেশ কিছু এআই সুবিধা রয়েছে। ফলে সহজেই ইন্টারনেটে তথ্য খোঁজার পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি ও ভিডিও সম্পাদনা করা যায়। সাইড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরযুক্ত ফোনটিতে ওটিজি কানেকটিভিটি সুবিধাও রয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাপের ভয় নিয়ে ডাম্বুলায়, আছে ‘নাগিন’ আতঙ্কও
শিরোনাম দেখে ভাববেন না বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট লড়াইয়ের মোটিভ হিসেবে জায়গা করে নেওয়া নাগিন ড্যান্স নিয়ে কিছু বলা হচ্ছে। এই সাপ সত্যি সাপ!
কলম্বোর প্রেসবক্সে একদিন ডাম্বুলার সাপ নিয়ে প্রশ্নে ভ্রু কুঁচকে ফেললেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের মিডিয়া ম্যানেজার প্রসন্ন রদ্রিগো। যেন ভেবে পাচ্ছিলেন না, ডাম্বুলা নিয়ে এমন কথা কীভাবে ছড়াল!
প্রশ্নটা ছিল, ‘ডাম্বুলায় নাকি অনেক সাপ! হোটেলের খাটের তলায়ও সাপ থাকে। কথাটা কি ঠিক?’
আরও পড়ুনজাকের আলী কাল খেলবেন, যদি...৩০ মিনিট আগেপ্রসন্ন উত্তরে যেটা বললেন, তার জন্য ঠিক প্রস্তুত ছিলাম না। তাঁর কথায় বিস্ময়, ‘ডাম্বুলায় অনেক সাপ! কে বলল?’ তারপর দিলেন আরও ভয়ংকর তথ্য, ‘বিষধর সাপ তো শ্রীলঙ্কার সব জায়গায়তেই আছে, ডাম্বুলায়ও আছে। ডাম্বুলা আলাদা নয়।’ সাপের জন্য ডাম্বুলাকে বিশেষ কোনো শ্রেণিতে ফেলতে তিনি রাজি নন ঠিক আছে, কিন্তু সঙ্গে ওটা কী বললেন? সাপ শ্রীলঙ্কার সব জায়গাতেই! তার মানে কি কলম্বো–ক্যান্ডিও নিরাপদ নয়!
প্রসন্নর কথা যে সত্যি তা কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামেই চাক্ষুষ করেছে সবাই। বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজের এক ম্যাচে মাঠের বাউন্ডারি রশির পাশেই দেখা গেছে বিশালাকৃতির এক সাপ। স্থানীয় লোকজন যদিও বলেছেন, সেটি বিষধর ছিল না; তবু সাপ তো!
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট মাঠে সাপ ঢোকার ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। ঘন বর্ষণ বনাঞ্চলের (রেইনফরেস্ট) দেশটিতে সমুদ্র যেমন আছে, পাহাড়–জঙ্গলও অনেক। শহরাঞ্চলেই রাস্তার পাশে ঝোপ–জঙ্গল–পাহাড়। সাপখোপ থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে কিছুই এখানে অপরিকল্পিত নয়, অযত্নেও নেই। কাজেই হুট করে আপনাকে আঁতকে দিয়ে সামনে সাপ হাজির হয়ে যাবে, বিষয়টি তেমন নয়। গুইসাপের দেখা অবশ্য নিয়মিতই পাওয়া যাচ্ছে শ্রীলঙ্কায় আসার পর থেকে। কলম্বোর ব্যস্ততম এলাকার টিম হোটেল সিনামন গ্র্যান্ডের বাগানকেও মনে হয়েছে তাদের নিরাপদ আবাসস্থল।
আরও পড়ুনবাবা চেয়েছিলেন পুলিশ বানাতে, তানভীর এখন ক্রিকেটের স্বপ্নের দুনিয়ায়৫১ মিনিট আগেযা–ই হোক, ডাম্বুলা কেন সাপের জন্য মুখে মুখে এমন খ্যাতি পেয়ে গেল, সেটা বের করা দরকার। ২০১০ ও ২০১৭ সালের দুই সফর মিলিয়ে রনগিরি ডাম্বুলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দল মোট পাঁচটি ওয়ানডে খেলেছে। সর্পাতঙ্ক তখনো ছিল, কিন্তু সাপ নিয়ে ভয় পাওয়ার মতো কোনো ঘটনা কারও কাছ থেকে শোনা যায়নি।
তবে এখানে বিষধর সাপের ভয় আছে, সেটা ২০০৪ সালে প্রথমবার ডাম্বুলায় এসেও শুনেছিলাম। এশিয়া কাপে ভারত–শ্রীলঙ্কা ম্যাচ কাভার করতে এক রাতের জন্য আসা হয়েছিল ঘন সবুজ শহরটিতে। অনেক কষ্টে খুঁজে পাওয়া নিতান্তই সাধারণ মানের এক কটেজে ওঠার পর শুরুতেই কটেজ ম্যানেজারের সাবধান বাণী শুনতে হয়েছিল। আশপাশে নাকি অনেক সাপ। চলাফেরা সাবধানে করতে হবে। এমনকি রাতে ঘুমানোর সময়ও সতর্ক থাকতে হবে।
বলের মতো জয়টাও ডাম্বুলায় এভাবে মুঠোবন্দী করার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে বাংলাদেশকে