ছেলের ‘কাটা পা’ নিয়ে ন্যায়বিচারের খোঁজে অসহায় বাবা
Published: 19th, June 2025 GMT
শেরপুরের নকলায় শ্রেণিকক্ষে সহপাঠীর সঙ্গে কথা–কাটাকাটির জেরে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এতে ওই শিক্ষার্থীর বাঁ পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলতে হয়। এ ঘটনায় মামলার পরও কেউ গ্রেপ্তার হননি। পরে ন্যায়বিচারের খোঁজে ছেলের ‘কেটে ফেলা পা’ নিয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেছেন অসহায় বাবা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম শাকিল মিয়া (১৫)। সে নকলা উপজেলার গণপদ্দী ইউনিয়নের বারইকান্দি দক্ষিণপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে এবং বারইকান্দি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাসখানেক আগে শ্রেণিকক্ষে শাকিলের সঙ্গে তার এক সহপাঠীর কথা–কাটাকাটি হয়। তখন ওই সহপাঠীকে একটি চড় মারে শাকিল। এ ঘটনার জেরে ১৫ জুন সহপাঠীর পরিবারের সদস্যরা শাকিলের ওপর হামলা করে বাঁ পা ও হাত কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় শাকিলকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শাকিলের বাঁ পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলতে হয়।
এ ঘটনার পর ১৬ জুন ওই সহপাঠী (১৫), তার ভাই মো.
শাকিলের বড় বোন কোকিলা বেগম বলেন, ‘এক মাস আগে ক্লাসে শাকিলকে শালা ডাকে ওই সহপাঠী। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে শাকিল ওই সহপাঠীকে চড় মারে। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ভাইরে ওরা পঙ্গু কইরা দিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।’ শাকিলের মা ভানু বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে পঙ্গু কইরা দিছে। অহন ছেলেডার জীবন কী অইবো? আমি অপরাধীর বিচার চাই।’
শাকিলের বাবা আমির হোসেন বলেন, কথা–কাটাকাটির মতো তুচ্ছ ঘটনার জেরে তাঁর ছেলেকে কুপিয়ে পঙ্গু করা হয়েছে। মামলা করার পরও গ্রেপ্তার না করায় তিনি বাধ্য হয়ে কাটা পা নিয়ে বিচারের দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় গেছেন। তিনি দোষীদের গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করছেন।
জানতে চাইলে নকলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কাশেম প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশের দুটি দল কাজ করছে। আশা করছেন, দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারবেন। তিনি বলেন, গতকাল ওই ছেলের বাবা ‘কাটা পা’ নিয়ে এসেছিলেন। পরে কাটা পা–টি নিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানের সরকার পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের ৭২ বছরের আগের ভূমিকায় কি নামছেন ট্রাম্প
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা ঠিক অনুমান করা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করা কোনো বিষয় নয়। তিনি ‘আমেরিকার জন্য একেবারেই সহজ লক্ষ্য’।
গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমরা এখনই তাঁকে সরিয়ে দিচ্ছি না (মানে, হত্যা করছি না!), তবে আমাদের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে।’
ইসরায়েল চাইছে, ইরানে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রও যুক্ত হোক। তা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন চিন্তাভাবনা করছে। ইসরায়েলের অভিযানকে সহায়তা দিতে মার্কিন যুদ্ধবিমান ও অস্ত্র ব্যবহার করা হবে কি না, তা নিয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে অব্যাহতভাবে আলোচনা করছেন ট্রাম্প।
কিন্তু ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশ নেওয়া নিয়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। এর মধ্যেই তাঁর ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ (এমএজিএ) আন্দোলনের ভেতরেই ভাঙন শুরু হয়েছে।
ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যানন ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক টাকার কার্লসনের মতো সমর্থকেরা বলছেন, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের উদ্দেশ্য শুধু পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস করা নয়। সরকার বদলই এই ধরনের হামলার মূল লক্ষ্য।
ইরানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক