মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার একটি বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছিল ৫২ জন পরীক্ষার্থী, কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নেয় ৪৮ জন। বিদ্যালয়টির একজন শিক্ষক প্রথম আলোকে জানান, বাকি চারজনের পরীক্ষার আগে বিয়ে হয়েছে। এই তথ্য তাঁরা জানতে পারেন, যখন দেখেন পরীক্ষার আগমুহূর্তেও ওই পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র নিতে আসছে না। পরে জানতে পারেন, কোনো কোনো ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে পরীক্ষার কয়েক দিন আগে। তখন বুঝিয়েও আর লাভ হয়নি।

এবারের এসএসসি পরীক্ষায় মানিকগঞ্জ জেলায় অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যতজনের তথ্য পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ বিয়ের কারণে অনুপস্থিত ছিল বলে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ১৩টি জেলার মধ্যে এই হার সবচেয়ে বেশি মানিকগঞ্জে, এর পরেই আছে মাদারীপুর। এই জেলায় যতজন অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর তথ্য পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে ৫৪ শতাংশের বাল্যবিবাহ হয়েছে। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য জেলায় এই হার ৩৯ শতাংশ থেকে ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত।

গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় নিজেদের বোর্ডের অধীন পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে এমন তথ্য পেয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। গত বুধবার প্রতিবেদনটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।

জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার প্রতিবেদনটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিবছরই অনেক পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকে, কিন্তু কারণ জানা হয় না। এর মধ্যে এবার পরীক্ষার ফরম পূরণ করে অংশ না নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল অন্যবারের তুলনায় বেশি। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এই পরীক্ষার প্রথম দিনেই অনুপস্থিত ছিল ২৬ হাজার ৯২৮ পরীক্ষার্থী। অথচ গত বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রথম দিনে অনুপস্থিত ছিল ১৯ হাজার ৩৫৯ পরীক্ষার্থী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের বোর্ডের অধীন পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেয় ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এ জন্য অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের তথ্য নির্ধারিত গুগল ফরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় ৬ হাজার ৩৮৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে খসড়া প্রতিবেদনে ১ হাজার ২০৩ জনের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছিল। পরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির সময় ১ হাজার ৩৫০ জন অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর তথ্য পাওয়া যায়, যার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। তথ্য পাওয়া এসব পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৪১ শতাংশের (৫৪৯) বিয়ে হয়ে গেছে। এর মধ্যে ৯৭ শতাংশই ছাত্রী। ৩ শতাংশ ছেলে পরীক্ষার্থী বিয়ে করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, অনুপস্থিতির প্রধান কারণ বাল্যবিবাহ।

আইনানুযায়ী, বাংলাদেশে মেয়েদের ১৮ বছর ও ছেলেদের ২১ বছরের নিচে বিয়ে হলে সেটিকে বাল্যবিবাহ বলা হয়। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বয়স সাধারণত ১৮ বছরের নিচে হয়। অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে।

কোন জেলায় কত বিয়ে

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনুপস্থিত মোট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যে ১ হাজার ৩৫০ জনের তথ্য পাওয়া গেছে, তার মধ্যে ৬৯ জন মানিকগঞ্জ জেলার। তাদের মধ্যে ৪৫ জন বিয়ের কারণে পরীক্ষার্থীয় অনুপস্থিত ছিল।

বিয়ের কারণে পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকা মানিকগঞ্জ জেলার এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। তিনি জানান, পরিস্থিতি ভালো না, এ জন্য মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। আর তাঁর মেয়ের বয়স ১৯ বছর হয়ে গেছে। এখন বিয়ের পর মেয়ে পড়াশোনা করবেন কি না, সেটি তাঁর স্বামী ঠিক করবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তথ্য পাওয়া অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মাদারীপুরে ৯২ জনের মধ্যে ৫০ জন, ঢাকায় ৩৪১ জনের মধ্যে ৯০ জন, গাজীপুরে ১০৮ জনের মধ্যে ৫৩ জন, নরিসংদীতে ১১০ জনের মধ্যে ৫২ জন, নারায়ণগঞ্জে ১০৯ জনের মধ্যে ৪৭ জন, ফরিদপুরে ১০১ জনের মধ্যে ৩৭ জন, শরীয়তপুরে ৮২ জনের মধ্যে ৩৬ জন, গোপালগঞ্জে ৮৪ জনের মধ্যে ৩৫, কিশোরগঞ্জে ৮১ জনের মধ্যে ৩৫, টাঙ্গাইলে ৭৯ জনের মধ্যে ৩০, রাজবাড়ীতে ৪৫ জনের মধ্যে ২০ এবং মুন্সিগঞ্জে ৪৯ জনের মধ্যে ১৯ পরীক্ষার্থী বিয়ে হওয়ার কারণে এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। এ ছাড়া বাকি পরীক্ষার্থীরা অসুস্থতা, ভালো প্রস্তুতি না থাকা, পারিবারিক অসচ্ছলতা, বিদেশে চলে যাওয়া, মৃত্যু, মামলাসহ বিভিন্ন কারণে পরীক্ষা দেয়নি।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেও তাদের মধ্যে একটি অংশ পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকতেই পারে, কিন্তু অনুপস্থিতির কারণগুলোর মধ্যে এমন কিছু বিষয় দেখা যাচ্ছে, যা নিয়ে অধিকতর অনুসন্ধান ও উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজন আছে। যেমন বাল্যবিবাহের কারণে ৪১ শতাংশের অনুপস্থিতি এবং ২২ জন মেয়ে শিক্ষার্থীর গর্ভধারণের কারণে অনুপস্থিতি নিঃসন্দেহে একটি উদ্বেগের বিষয়। আবার প্রায় ৭ শতাংশের মতো পরীক্ষার্থী পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়ার কারণে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। ১০ বছর পড়াশোনার পর ফরম পূরণ করেও আর্থিক সংকটে পরীক্ষা দিতে না পারা দুর্ভাগ্যজনক। সমাজ ও রাষ্ট্রের কার্যকর সহায়তাব্যবস্থা থাকলে এদের ভাগ্য ভিন্ন রকম হতে পারত।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড বলছে, অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডসহ এই কার্যক্রমকে নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা গেলে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার কারণ ও করণীয় নির্ধারণের ক্ষেত্রে তা ভূমিকা রাখবে।

আরও পড়ুনএসএসসিতে অনুপস্থিতির বড় কারণ বাল্যবিবাহ ১৬ জুন ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র থ দ র ন পর ক ষ র থ পর ক ষ র থ র পর ক ষ য় অ ম ন কগঞ জ র এসএসস র পর ক ষ বছর র প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

সোনালী ব্যাংকের এককালীন শিক্ষাবৃত্তি, পাবে সমাজের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা

সোনালী ব্যাংক পিএলসি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে দেশের দরিদ্র মেধাবী, অনগ্রসর ও প্রত্যন্ত অঞ্চল তথা হাওর বা দ্বীপ বা চর, কৃষক, দিনমজুর,ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, এতিম ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের এককালীন শিক্ষাবৃত্তি ২০২৪ দেবে। গত বছর দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ৮৫০ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি-২০২৩ প্রদান করেছে সোনালী ব্যাংক।

আবেদন যোগ্যতা—

ক. ২০২৪ সালে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে এইচএসসি বা সমমান পর্যায়ে অধ্যয়নরত,

খ. ২০২৪ সালে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে স্নাতক বা সমমান পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

আরও পড়ুনউচ্চমাধ্যমিকের ক্ষতি হয় এমন পরিবর্তন মানা হবে না৩ ঘণ্টা আগেকাদের কত জিপিএ লাগবে—

১. এইচএসসি বা সমমান পর্যায়ে অধ্যয়নরত মেধাভিত্তিক কোটায় শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ–৫, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের ক্ষেত্রে জিপিএ–৪.৫০, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে জিপিএ–৪.৫০ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম জিপিএ–৩.৫০ পেতে হবে।

২. স্নাতক বা সমমান পর্যায়ে অধ্যয়নরত মেধাভিত্তিক কোটায় শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ–৫, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের ক্ষেত্রে জিপিএ–৪.৫০, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে জিপিএ–৪.৫০ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম জিপিএ–৩.৫০ পেতে হবে।

কারা আবেদন করতে পারবেন—

১. শুধু দরিদ্র বা এতিম বা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী বা অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা, যাঁদের মা–বাবা বা অভিভাবকের মাসিক আয় সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকার (মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ব্যতীত) বেশি নয়, তাঁরাই আবেদন করতে পারবেন।

২. সচ্ছল ব্যক্তির সন্তানদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকেরা ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে পাচ্ছেন উচ্চতর স্কেল ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫বৃত্তির পরিমাণ—

বৃত্তির পরিমাণ এককালীন ১০ হাজার টাকা।

প্রাথমিকভাবে মনোনীতদের নিচের কাগজ দিতে হবে—

১. প্রাথমিক বাছাইয়ে মনোনীত আবেদনকারী কর্তৃক প্রিন্ট করা Online Application Form (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বা বিভাগীয় প্রধানের স্বাক্ষর ও সিলমোহরযুক্ত সুপারিশসহ),

২. বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বা বিভাগীয় প্রধানের অধ্যয়ন সনদ,

৩. একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, সনদ এবং নাগরিকত্ব সনদের সত্যায়িত কপি,

৪. জন্মনিবন্ধন সনদ বা এনআইডির সত্যায়িত কপি,

৫. ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন থেকে শিক্ষার্থীর অভিভাবকের মাসিক আয়সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র (অভিভাবকের পেশা ও মাসিক আয় উল্লেখ থাকতে হবে) এবং চাকরিরত অভিভাবকদের পদবি ও বেতন স্কেল উল্লেখসহ সংশ্লিষ্ট অফিস বেতনের প্রত্যয়নপত্র,

৬. বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সনদ,

৭. প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদপ্তর বা জেলা সমাজসেবা কার্যালয় বা উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে প্রতিবন্ধী সনদের সত্যায়িত কপি,

৮. ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সনদ বা প্রত্যয়নপত্র,

৯. তৃতীয় লিঙ্গের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সনদ বা প্রত্যয়নপত্র ।

আবেদনের শেষ তারিখ—

শিক্ষাবৃত্তির আবেদন করার শেষ তারিখ: ১০ অক্টোবর ২০২৫।

আরও পড়ুন‘রাজার অতিথি’ হওয়ার সুযোগ কমনওয়েলথ স্কলারশিপে, আবেদন কীভাবে ৬ ঘণ্টা আগেআবেদন করার ওয়েবসাইট—

১. সোনালী ব্যাংকের ওয়েবসাইট –এ Online Application Form পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

২. প্রাথমিকভাবে মনোনীত আবেদনকারীদের তালিকা যথাসময়ে সোনালী ব্যাংক পিএলসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

* বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইটে:

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, দিনে ২০০ টাকা ভাতা, সুযোগ পেতে করুন আবেদন৮ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সোনালী ব্যাংকের এককালীন শিক্ষাবৃত্তি, পাবে সমাজের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা
  • নিয়োগ পরীক্ষায় কক্ষ পরিদর্শকের তালিকায় ভুয়া নাম দিয়ে সম্মানীর টাকা ভাগাভাগি
  • চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি-২০২৬ রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণের তারিখ, প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের করণীয়