নাটকটি নিয়ে ট্রল প্রসঙ্গে নীহা বলেন, ‘নাটকের ছোট্ট একটা ক্লিপিংস দেখে মানুষ কি না কি বিচার করে ফেলছে। এখন বেশির ভাগেরই মানসিকতা এমন। আমরা পুরো বিষয়টা না জেনে মতামত দিয়ে দিই। তাই বলব, স্রেফ মলাট দেখেই পুরো বই সম্পর্কে মত দেবেন না। আগে পুরো জিনিসটা দেখা উচিত। যাঁরা ট্রল করেছেন, পুরো দেখার পর তাঁদের অনেকে নাটকটি যে ভালো, সে কথা বলেছেন।’

‘অপূর্ব–অভিজ্ঞতা’
টেলিভিশন নাটকের আলোচিত অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। দুই দশকের বেশি অভিনয়ের সঙ্গে আছেন। ছোট পর্দার সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া শিল্পীও তিনি। ‘মেঘবালিকা’, ‘মন দুয়ারী’র পর এবারের ঈদে অপূর্বর সঙ্গে ‘ঘ্রাণ’ নাটকে কাজ করেছেন নীহা। নাটকটি তাঁর প্রিয় তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। অপূর্বর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা বিষয়ে নীহা বলেন, ‘সব সময় অপূর্ব ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করতে বেশ ভালো লাগে। এত আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেন, তাঁর সঙ্গে কে না কাজ করতে চায়? আমি হয়তো ঠিকঠাক বোঝাতে পারছি না। এটা বলব, অপূর্ব ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করার স্বপ্ন সবারই থাকে। এত ভালো অভিনয় করেন, এত সহযোগিতাপ্রবণ। অনেক কিছু শেখারও আছে। আমরা যত সিনিয়র শিল্পীর সঙ্গে কাজ করব, অনেক কিছু শিখতে পারব।’

‘ঘ্রাণ’ কেন এত প্রিয়
ঈদের ছুটিতে দেশের বাইরে থাকায় সিনেমা দেখতে না পারলেও ইউটিউবে ঠিকই কয়েকটি নাটক দেখেছেন নাজনীন নীহা। জানালেন, প্রিয় প্রজাপতি দেখা হয়েছে, খুবই ভালো লেগেছে। ক্ষতিপূরণও দেখেছেন। নিজেরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় ‘ঘ্রাণ’।

‘ঘ্রাণ’ নাটকের পোস্টার.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জকসু নির্বাচন চায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে করার দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা বলেন, বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহুল প্রতীক্ষিত জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে একধরনের উত্তেজনা ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তফসিলে নির্বাচনের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অনেকাংশে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা অভিযোগ করেন, জকসু নির্বাচনের যে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। ডিসেম্বর বছরের শেষ মাস। এ সময় শিক্ষার্থীরা সারা বছরের একাডেমিক চাপ শেষে ছুটি কাটাতে বাড়ি যায়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ সময় ক্যাম্পাসে থাকে না। নির্বাচনের জন্য এমন সময় নির্ধারণের একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে ভোটারদের অংশগ্রহণ সীমিত করা।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা আরও বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষার্ধে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করতে পারে। এমন সময়ে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ থাকতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীভ বলেন, ‘একটি সুস্থ ও সর্বোচ্চ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হয়ে থাকবে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন, যা সংকটে জর্জরিত এই ক্যাম্পাসের ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা রাখে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ