মার্কিন হামলার পর ইরানকে আবারও আলোচনায় ফিরতে বলায় ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের কড়া সমালোচনা করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। 

আজ রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে আরাঘচি বলেন, ‘গত সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ছিলাম আমরা, ইসরায়েল সেই কূটনীতি ধ্বংস করেছে। চলতি সপ্তাহেও আমরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলছিলাম, তখন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে বোমা ফেলে সেই কূটনীতিকে উড়িয়ে দিয়েছে।’ খবর আল জাজিরার

তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘এখন ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা আবার ইরানকে আলোচনায় ফিরতে বলছে। কিন্তু যে আলোচনা কখনো আমরা ছাড়িইনি, নষ্ট করিনি সেখানে আমরা আবার কীভাবে ফেরত যাবো?’

এখন আপনি কী উপসংহার টানবেন? ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি বলছেন, ইরানকে ‘আলোচনায় ফিরতে’ হবে।”

বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি চরমভাবে ক্ষুব্ধ ইরান। সেই ক্ষোভই প্রতিফলিত হয়েছে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল য ক তর ষ ট র ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বেশ অগ্রগতি দেখছে জামায়াত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় জামায়াতে ইসলামী বেশ অগ্রগতি দেখছে বলে জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, গত দু–তিন দিনে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে বেশ অগ্রগতি হয়েছে এবং অনেকগুলো মৌলিক বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি।’

সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনয়নের পদ্ধতি, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ, সংরক্ষিত নারী আসনের কাঠামো ও শর্তাবলি এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অনেকটা একমত হওয়ার কথাও জানান জামায়াত নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের বৈঠকের পঞ্চম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের বিষয়ে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন ব্যক্তি হিসেবে তাঁর জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন—এ বিষয়ে প্রায় সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি দল এটি সমর্থন করেছে। দু–একটি ছোট দল ভিন্নমত জানালেও বিষয়টি নিয়ে তাঁরা আরও আলোচনা করবে বলেছে।

জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘আমাদের মূল উদ্দেশ্য দুটি—একটি হলো ক্ষমতার মেয়াদ সীমিত করা এবং অন্যটি হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। এই দুটি লক্ষ্য সামনে রেখে আমরা মেয়াদসংক্রান্ত ঐকমত্যে পৌঁছেছি।’

সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, কমিশনের পক্ষ থেকে তারা তিনটি বিষয়—সাম্য, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও মানবিক মর্যাদাকে সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে সংযোজিত করতে চান। তাঁরা এটার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। আর ১৫তম সংশোধনী পুরোপুরি বাতিল করে ৫ম সংশোধনীকে পুনর্বহাল করার কথা বলেছেন।

জামায়াতে ইসলামীর এই নেতা বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সময় সংবিধান সংশোধনীতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম ও আল্লাহর ওপরে বিশ্বাস এবং পূর্ণ আস্থা কথাটি ছিল। সেটির সঙ্গে এই নতুন চারটি পয়েন্ট যোগ করার ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। এ বিষয়ে কিছু কিছু দল, বিশেষ করে যারা বাম ঘরনার, তারা আপত্তি জানিয়েছে। এটা খুব স্বাভাবিক। তারা তো দল হিসেবে সে রকম একটা ফিলোসফিতে (দর্শনে) বিশ্বাস করে। কিন্তু আমরা মনে করি, বাংলাদেশের মেজর (প্রধান) রাজনৈতিক দল যেগুলো আছে, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ অন্যান্য সব ইসলামিক দল এবং আও অনেকগুলো দল এটার সঙ্গে আমরা একমত হয়েছি।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রোববারের আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, গণসংহতিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।

সম্পর্কিত নিবন্ধ