জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ইকরামুল হক সাজিদের স্মরণে গড়ে তোলা হবে আধুনিক আইসিটি ট্রেনিং সেন্টার, ইনকিউবেশন সেন্টার এবং ইনোভেশন হাব।

রোববার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের সচিব শিশ হায়দার চৌধুরী।

আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, জুলাই আন্দোলনে শহীদ সাজিদের আত্মত্যাগ গোটা জাতিকে গর্বিত করেছে। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে সাজিদের স্মরণে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক এই কেন্দ্রগুলো স্থাপন করব।

তিনি বলেন, এই আইসিটি ট্রেনিং সেন্টার, ইনকিউবেশন সেন্টার ও ইনোভেশন হাব শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পেশাদারি ও উদ্ভাবনী ক্ষমতাও বাড়াবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সাবেক সভাপতি মো.

ফোরকান উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুর মুর্শিদ ভূঁইয়া, আইসিএবি’র উপদেষ্টা লতিফুল হাদী, ব্র্যাক ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান মোল্লা, সিডিবিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল মতলেব এবং ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ফাইন্যান্সিয়াল কন্ট্রোলার মো. আবদুল ওহাব মিয়া।

বিভাগীয় শিক্ষক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, জুলাইয়ে আমার ছাত্র সাজিদ শহীদ হয়েছে। তার স্মরণে বিভাগে একটি ল্যাব ও ইনোভেশন হাব করা হবে। আজ এটা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করা হয়েছে। খুব দ্রুতই কাজ শুরু করা হবে।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন, বিভাগের শিক্ষকমণ্ডলী এবং নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীরা। তারা সচিবের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানান এবং সাজিদের আত্মত্যাগকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইস ট ট র ন স ন ট র র স মরণ আইস ট

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমার সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ে বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন জার্মানির সংসদ সদস্য

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছেন জার্মানির গ্রিন পার্টির সংসদ সদস্য বরিস মিজাতোভিচ। চার দিনের এই সফরের সময় তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

বুধবার ঢাকায় জার্মান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জার্মানির পার্লামেন্ট বুন্দেসট্যাগের গ্রিন পার্টির সদস্য বরিস মিজাতোভিচ ২৬ থেকে ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জ্বালানি প্রকল্প, বিশেষ করে এই অঞ্চলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। বরিস মিজাতোভিচ মিয়ানমারের সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। যার লক্ষ্য ছিল এই বিষয়গুলোকে আন্তর্জাতিক আলোচনার সূচিতে ফিরিয়ে আনা। এই লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ সফর শেষে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ভ্রমণ করেন।

বাংলাদেশ সফরে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থা, পরিবেশজনিত উদ্বেগ, কর্মপরিবেশ এবং শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতির মতো বিষয়গুলো নিয়ে বরিস মিজাতোভিচ আলোচনা করেন।

বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে সফরকালে মিজাতোভিচ শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সরবরাহ শৃঙ্খল সম্পর্কিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি উপসাগরীয় অঞ্চলে শ্রম অভিবাসন এবং কর্মপরিবেশ নিয়েও আলোচনা করেন তাঁরা। এ ছাড়া বৈঠকে জাহাজভাঙার চ্যালেঞ্জ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।

এ ছাড়া বরিস মিজাতোভিচ বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে জিআইজেড আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত সম্পর্কে অবগত হন এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কর্মপরিবেশ উন্নত করার সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরের সময় বরিস মিজাতোভিচ কক্সবাজারে যান।

সেখানে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির পরিদর্শন করেন এবং এ অঞ্চলে মানবিক চ্যালেঞ্জ এবং চলমান ত্রাণ কার্যক্রম আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই সফর মানবাধিকার, কর্মপরিবেশ এবং মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে সংলাপ, বোঝাপড়া এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ