চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় আটটি স্বর্ণের বারসহ মোহাম্মদ মমিন (৩৫) নামের এক পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি। রোববার রাতে পৌরসভার ইসলামপুর পিচ মোড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা স্বর্ণের আনুমানিক বাজার দর প্রায় ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন বিজিবির ৫৮ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মুন্সী ইমদাদুর রহমান।

আটক পাচারকারী মোহাম্মদ মমিন জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের তেঁতুল মণ্ডলের ছেলে।

বিজিবি জানায়,  জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর বিওপির বিজিবি সদস্যরা সীমান্তের ৬৯/২-এস পিলারের দেড় কিলোমিটার ভিতরে বিশেষ অভিযান চালায়। এ সময় মমিন নামের এক ব্যক্তি বাইসাইকেলে চড়ে ভারতে পাচারের জন্য আটটি স্বর্ণের বার ও স্বর্ণের একটি ছোট টুকরো নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিজিবির সন্দেহ হওয়ায় ওই ব্যক্তিকে আটক করে তল্লাশি চালিয়ে স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা স্বর্ণের ওজন ১ কেজি ১৬৬ দশমিক ২০ গ্রাম।

বিজিবির সহকারী পরিচালক মুন্সী ইমদাদুর রহমান জানান, আটক মমিনের বিরুদ্ধে মামলা করে জীবননগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। জব্দ স্বর্ণ আদালতের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ বননগর স বর ণ র ব র স বর ণ র ব র জ বননগর

এছাড়াও পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গায় চোরাচালানের সোনা আত্মসাৎ নিয়ে বিরোধ–অপহরণ, যশোরে উদ্ধার ৫

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা সীমান্তে সোনার চালান আত্মসাৎ নিয়ে বিরোধের জেরে অপহৃত বাবা-ছেলেসহ পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের কুল্লা গ্রামের রেজাউল ইসলামের খামারের একটি গুদামের ভেতর থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার ব্যক্তিরা হলেন জীবননগরের গোয়ালপাড়া গ্রামের আনারুল ইসলাম (৫২), তাঁর ছেলে শফিউল ইসলাম (২৭), স্বপন হোসেন (৪০), আবুল হোসেন (৩০) ও হাসান মণ্ডল (২৭)।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ, সাইবার ক্রাইম অপরাধ প্রতিরোধ দল, পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও জীবননগর থানা-পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে। আজ সকালে ঘটনাস্থল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জামাল আল নাসের প্রথম আলোকে বলেন, চুয়াডাঙ্গায় ফিরে অভিযানের বিষয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানানো হবে।

জীবননগর থানা-পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সোনার একটি চালান আত্মসাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোয়ালপাড়া গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। যা পরে জানাজানি হয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর আনারুল ও তাঁর ছেলে শফিউল এবং পরদিন স্বপন, আবুল ও হাসানকে কৌশলে অপহরণ করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁদের সন্ধান না পাওয়ায় ২১ অক্টোবর জীবননগর থানায় একটি অপহরণের মামলা করা হয়।

হাসান মণ্ডলের বাবা শওকত আলী বাদী হয়ে ওই মামলায় গোয়ালপাড়া গ্রামের ছয়জনকে আসামি করেন। তাঁরা হলেন তিন ভাই আবদুল মজিদ (৪০), আবদুস সামাদ (৪৫) ও বিপ্লব হোসেন (৫০); লালন মণ্ডল (৪২), শাহিন উদ্দিন (৩২) ও মিজানুর রহমান (৩০)।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার ভোরে জীবননগর থানা-পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে হরিহরনগর গ্রাম থেকে আজিজুল হক (৪৫) ও আমিরুল ইসলামকে (৩৭) সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের দেওয়া তথ্য পর্যালোচনাসহ বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোরে যশোরে অভিযান চালানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুয়াডাঙ্গায় চোরাচালানের সোনা আত্মসাৎ নিয়ে বিরোধ–অপহরণ, যশোরে উদ্ধার ৫