চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে দেড় কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ একজন গ্রেপ্তার
Published: 23rd, June 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটটি সোনার বারসহ মোমিন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার পিচমোড়ে গয়েশপুর সীমান্ত চৌকির (বিওপি) টহল দল এ অভিযান চালায়।
বিজিবির মহেশপুর ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার সহকারী পরিচালক মুন্সী ইমদাদুর রহমানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জব্দ সোনার ওজন ১ কেজি ১৬৬ দশমিক ২০ গ্রাম। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর মূল্য ১ কোটি ৬৩ লাখ ৪৬ হাজার ১০৮ টাকা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) অধীন গয়েশপুর সীমান্ত চৌকির (বিওপি) হাবিলদার শিশিরের নেতৃত্বে একটি টহল দল গতকাল রাত আটটার দিকে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের ইসলামপুর পিচমোড়ে অভিযান চালায়। এ সময় একই ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের তেতুল মণ্ডলের ছেলে মো.
জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, সোনার পাচার মামলাসহ মো. মোমিন নামের একজনকে রোববার দিবাগত মধ্যরাতে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ বননগর
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানে গোলাগুলি, একজনের মরদেহ উদ্ধার
সুনামগঞ্জে জগন্নাথপুর উপজেলার একটি গ্রামে অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের ধরতে সেনাবাহিনীর অভিযানকালে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রোববার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাত ১১টার দিকে এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত সেনাবাহিনী ওই গ্রাম ঘিরে রেখেছে বলে জানা গেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম আবু সাঈদ (৩১)। তিনি পার্শ্ববর্তী দিরাই উপজেলার তারপাশা গ্রামের তাজ মিয়ার ছেলে। আবু সাঈদ পেশায় মোটর মেকানিক।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা বর্তমান চেয়ারম্যান যুবলীগের নেতা একরার হোসেন ও একই গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমানের মধ্যে গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। এর জেরে দুদিন ধরে গ্রামে উত্তেজনা চলছিল। উভয় পক্ষের মধ্যে গত শুক্রবার পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগেও দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও গুলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্র প্রদর্শন হয়েছে প্রকাশ্যে।
রোববার বিকেলে সেনাবাহিনীর একটি দল অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের ধরতে ওই গ্রামে অভিযান চালায়। খবর পেয়ে হাতিয়া থেকে সন্ত্রাসীরা নৌকায় করে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার গাদালিয়া গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেনাবাহিনী সেখানে গিয়ে ওই গ্রামে ঘেরাও দিলে সেখানে আশ্রয় নেওয়া সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এ সময় সেনাবাহিনী গুলি চালায়। পরে ওই এলাকায় আবু সাঈদের লাশ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুঞা রোববার রাত ১১টায় বলেন, আমাদের কাছে আসলে কোনো তথ্য নেই। এটি হাওরের দুর্গম একটি এলাকা। সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছেন। পুলিশ জগন্নাথপুর থেকে রওনা হয়েছে। নৌকায় যেতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগবে।
সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, গত ২০ জুন ২০২৫ তারিখ, দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা একরার আহমেদের লোকজনের সঙ্গে একই ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমানের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গুলাগুলির ঘটনা ঘটে এবং একজন গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়াও একরার আহমেদ ও তার অনুসারীরা প্রায়ই বর্ণিত এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আসছিল। এ ধরনের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ থেকে আজ রোববার (২২ জুন) তারিখে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল অস্ত্রধারীদের ধরতে হাতিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। বিকেলে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি দেখে এক পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনীও গুলি চালায়। পরবর্তীতে একরার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালাতে শুরু করে। টহল দল ওই স্থানে গিয়ে একজনের মরদেহ দেখতে পায়। এই ব্যক্তি কার গুলিতে মারা গেছেন নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বর্তমানে যৌথবাহিনী ওই এলাকায় অস্ত্রধারীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। এখনও (রাত সাড়ে ১১ টা) ওখানে অভিযান চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।