রোববার সন্ধ্যা। ঘড়ির কাঁটা তখন সাড়ে সাতটা ছুঁইছুঁই। ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, সনি স্কয়ার-চলচ্চিত্রের আলো ঝলমলে এক সন্ধ্যা। ‘তাণ্ডব’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী ঘিরে জমেছে তারকামুখর আসর। অতিথিরা আসছেন একে একে। নির্ধারিত সময়ের আগেই সিনেমার কলাকুশলীরা হয়ে উঠেছেন উৎসবের অংশ। লাল টুকটুকে পোশাকে অপার সৌন্দর্যে হাজির সাবিলা নূর-এই ছবির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে তার আবির্ভাব যেন এক নতুন সূর্যোদয়।

নির্মাতা রায়হান রাফি তখন সিনেমা হলে প্রবেশ করে অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত। ঠিক এমন এক মুহূর্তে শাকিব খানকে ঘিরে দর্শকের কৌতূহল যখন তুঙ্গে, নির্মাতা রাফি সাবিলা নূরকে সঙ্গে নিয়ে প্রেস টেবিলের সামনে এসে দাঁড়ান। উপস্থিত সংবাদকর্মীদের দিকে এক হৃদয়গ্রাহী দৃষ্টিতে তাকিয়ে সাবিলা শুরু করেন তার অনুভবের গল্প।

‘এই সিনেমা আমার প্রথম বাণিজ্যিক ছবি। সেখানে নির্মাতা হিসেবে পেয়েছি রায়হান রাফিকে, আর সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছি আমাদের চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় তারকা, শাকিব খানকে। এটা আমার অভিনয়জীবনের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। শুটিংয়ের সময় এক মুহূর্তের জন্যও তিনি বুঝতে দেননি আমি নতুন, আমার প্রথম। বরং যে আন্তরিকতা, সহযোগিতা আর সম্মান পেয়েছি, তা আজীবন স্মৃতিতে থাকবার মতো।’

তবে এই আনন্দের ভেতরেও রয়েছে একটা ক্ষতের দাগ। মুক্তির এক সপ্তাহের মাথায় ‘তাণ্ডব’ সিনেমাটি পাইরেসির শিকার হয়। ভেতরে জমে থাকা ক্ষোভ প্রকাশ করে সাবিলা বলেন, ‘এই সময়টা আমাদের সিনেমার নবজাগরণের সময়। দেশের ভেতরে তো বটেই, বিদেশেও প্রশংসা কুড়োচ্ছে আমাদের ছবি। এমন একটা মুহূর্তে একটি মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র যদি পাইরেসির শিকার হয়, তাহলে সেটা শুধু দুঃখজনক নয়, সাংস্কৃতিক অপরাধ। এই কাজ যারা করে, তারা শিল্পের শত্রু।’

কিছুটা আবেগের সঙ্গে যোগ করেন, “এই সিনেমা থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি-ভালোবাসা, শিক্ষা, আত্মবিশ্বাস। ভবিষ্যতে কী হবে, জানি না। তবে চেষ্টার কোনো কমতি থাকবে না। ভালো গল্পের সঙ্গে থাকবো, সৎ কাজ করে যেতে চাই। আর বাকিটা নির্ভর করছে দর্শকের ভালোবাসার ওপর। কারণ, ‘তাণ্ডব’-এ তারা আমাকে যেভাবে গ্রহণ করেছেন, সেটা হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।”

শাকিব খানও পরে বক্তব্যে বিস্ময় ও ক্ষোভ মিলিয়ে বলেন, “সেই জাতি সবচেয়ে উন্নত, যারা সাংস্কৃতিক দিক থেকে এগিয়ে থাকে। আমাদের সিনেমা এগিয়ে যাচ্ছে, আর ঠিক তখনই এর পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে পাইরেসির মাধ্যমে। ‘বরবাদ’-এর ক্ষেত্রেও আমরা সেটা দেখেছি। ‘তাণ্ডব’-এর ক্ষেত্রে তো আরও আগেই ঘটেছে। তবু আমি কৃতজ্ঞ দর্শকদের কাছে- পাইরেসির পরেও তারা হলে গিয়ে সিনেমা দেখেছেন, দেখাচ্ছেন। এটা এক প্রকার সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ। সিনেমাকে বাঁচাতে হলে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।”

প্রদর্শনীর আসরটি রূপ নেয় এক শিল্পী-সমাবেশে। উপস্থিত ছিলেন অভিনয়শিল্পী গাজী রাকায়েত, ফজলুর রহমান বাবু, এ কে আজাদ সেতু, সালাহউদ্দিন লাভলু, সুমন আনোয়ার, মুকিত জাকারিয়া ও সদ্য অভিষিক্ত নায়িকা সাবিলা নূর।

এ ছাড়া সন্ধ্যাকে সৌন্দর্যময় করে তুলতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, দীপা খন্দকার, তমা মির্জা, মন্দিরা চক্রবর্তী, সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা, জেফার রহমান এবং নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীসহ আরও অনেকে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ধানুশের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উসকে দিলেন ম্রুণাল

মুম্বাইয়ে ‘সন অব সরদার ২’ ছবির বিশেষ প্রদর্শনীর পর ভারতীয় অভিনেতা ধানুশ ও ম্রুণাল ঠাকুরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দুজনের বন্ধুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ভক্তদের চোখ এড়ায়নি। এরপরই শুরু হয় গুঞ্জন, দুজন কি প্রেম করছেন?

আরও পড়ুনপ্রেমে ব্যর্থতার ‘যন্ত্রণায়’ কলেজে ফেল করেছিলেন জনপ্রিয় এই তারকা২৯ জুলাই ২০২৫

গুঞ্জনের পালে এবার লেগেছে নতুন হাওয়া। সম্প্রতি ধানুশের দুই বোন কার্তিকা কার্তিক ও বিমলা গীথাকে ইনস্টাগ্রামে অনুসরণ করছেন ম্রুণাল। আর এতেই জল্পনা আরও ঘনীভূত হয়। একে সম্পর্কের সম্ভাব্য ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন নেটিজেনরা।
এর আগে ১ আগস্ট ম্রুণালের জন্মদিনের পার্টিতেও উপস্থিত ছিলেন ধানুশ। শুধু তা–ই নয়, ধানুশের পরবর্তী সিনেমা ‘তেরে ইশ্ক মে’-এর একটি ঘরোয়া আয়োজনেও অভিনেত্রীকে দেখা যায়।

এদিকে নিউজ ১৮-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দক্ষিণি সিনেমায় ম্রুণাল ঠাকুরের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিই দুজনকে আরও কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। প্রতিবেদনে এক ঘনিষ্ঠ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘হ্যাঁ, এটা সত্যি যে তাঁরা ডেট করছেন। তবে এটা একদম নতুন, এখনই তা জনসমক্ষে আনার ইচ্ছা নেই। তবে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাতে সংকোচবোধ করছেন না।’
ধানুশ এর আগে রজনীকান্তের কন্যা নির্মাতা ঐশ্বরিয়া রজনীকান্তকে বিয়ে করেছিলেন। ২০২২ সালে তাঁরা আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২৪ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। ২০ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে।


তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ