পেয়েছি অনেক, ভবিষ্যতে কী হবে জানি না: সাবিলা নূর
Published: 23rd, June 2025 GMT
রোববার সন্ধ্যা। ঘড়ির কাঁটা তখন সাড়ে সাতটা ছুঁইছুঁই। ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, সনি স্কয়ার-চলচ্চিত্রের আলো ঝলমলে এক সন্ধ্যা। ‘তাণ্ডব’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী ঘিরে জমেছে তারকামুখর আসর। অতিথিরা আসছেন একে একে। নির্ধারিত সময়ের আগেই সিনেমার কলাকুশলীরা হয়ে উঠেছেন উৎসবের অংশ। লাল টুকটুকে পোশাকে অপার সৌন্দর্যে হাজির সাবিলা নূর-এই ছবির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে তার আবির্ভাব যেন এক নতুন সূর্যোদয়।
নির্মাতা রায়হান রাফি তখন সিনেমা হলে প্রবেশ করে অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত। ঠিক এমন এক মুহূর্তে শাকিব খানকে ঘিরে দর্শকের কৌতূহল যখন তুঙ্গে, নির্মাতা রাফি সাবিলা নূরকে সঙ্গে নিয়ে প্রেস টেবিলের সামনে এসে দাঁড়ান। উপস্থিত সংবাদকর্মীদের দিকে এক হৃদয়গ্রাহী দৃষ্টিতে তাকিয়ে সাবিলা শুরু করেন তার অনুভবের গল্প।
‘এই সিনেমা আমার প্রথম বাণিজ্যিক ছবি। সেখানে নির্মাতা হিসেবে পেয়েছি রায়হান রাফিকে, আর সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছি আমাদের চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় তারকা, শাকিব খানকে। এটা আমার অভিনয়জীবনের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। শুটিংয়ের সময় এক মুহূর্তের জন্যও তিনি বুঝতে দেননি আমি নতুন, আমার প্রথম। বরং যে আন্তরিকতা, সহযোগিতা আর সম্মান পেয়েছি, তা আজীবন স্মৃতিতে থাকবার মতো।’
তবে এই আনন্দের ভেতরেও রয়েছে একটা ক্ষতের দাগ। মুক্তির এক সপ্তাহের মাথায় ‘তাণ্ডব’ সিনেমাটি পাইরেসির শিকার হয়। ভেতরে জমে থাকা ক্ষোভ প্রকাশ করে সাবিলা বলেন, ‘এই সময়টা আমাদের সিনেমার নবজাগরণের সময়। দেশের ভেতরে তো বটেই, বিদেশেও প্রশংসা কুড়োচ্ছে আমাদের ছবি। এমন একটা মুহূর্তে একটি মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র যদি পাইরেসির শিকার হয়, তাহলে সেটা শুধু দুঃখজনক নয়, সাংস্কৃতিক অপরাধ। এই কাজ যারা করে, তারা শিল্পের শত্রু।’
কিছুটা আবেগের সঙ্গে যোগ করেন, “এই সিনেমা থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি-ভালোবাসা, শিক্ষা, আত্মবিশ্বাস। ভবিষ্যতে কী হবে, জানি না। তবে চেষ্টার কোনো কমতি থাকবে না। ভালো গল্পের সঙ্গে থাকবো, সৎ কাজ করে যেতে চাই। আর বাকিটা নির্ভর করছে দর্শকের ভালোবাসার ওপর। কারণ, ‘তাণ্ডব’-এ তারা আমাকে যেভাবে গ্রহণ করেছেন, সেটা হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।”
শাকিব খানও পরে বক্তব্যে বিস্ময় ও ক্ষোভ মিলিয়ে বলেন, “সেই জাতি সবচেয়ে উন্নত, যারা সাংস্কৃতিক দিক থেকে এগিয়ে থাকে। আমাদের সিনেমা এগিয়ে যাচ্ছে, আর ঠিক তখনই এর পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে পাইরেসির মাধ্যমে। ‘বরবাদ’-এর ক্ষেত্রেও আমরা সেটা দেখেছি। ‘তাণ্ডব’-এর ক্ষেত্রে তো আরও আগেই ঘটেছে। তবু আমি কৃতজ্ঞ দর্শকদের কাছে- পাইরেসির পরেও তারা হলে গিয়ে সিনেমা দেখেছেন, দেখাচ্ছেন। এটা এক প্রকার সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ। সিনেমাকে বাঁচাতে হলে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।”
প্রদর্শনীর আসরটি রূপ নেয় এক শিল্পী-সমাবেশে। উপস্থিত ছিলেন অভিনয়শিল্পী গাজী রাকায়েত, ফজলুর রহমান বাবু, এ কে আজাদ সেতু, সালাহউদ্দিন লাভলু, সুমন আনোয়ার, মুকিত জাকারিয়া ও সদ্য অভিষিক্ত নায়িকা সাবিলা নূর।
এ ছাড়া সন্ধ্যাকে সৌন্দর্যময় করে তুলতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, দীপা খন্দকার, তমা মির্জা, মন্দিরা চক্রবর্তী, সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা, জেফার রহমান এবং নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক শহীদ তিতুমীর একাডেমী ২৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
২৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করলো ফতুল্লা এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ তিতুমীর একাডেমি।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার শহীদ তিতুমীর একাডেমি'র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার টি.এম. রাহসিন কবির এবং বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের এমপি প্রার্থী মাওলানা আবদুল জব্বার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাহসিন কবির বলেন, ইভটিজিংয়ের ব্যাপারে আমি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি বলবো, এবং আপনারা জেনে রাখবেন ধুমপান থেকে মাদকের শুরু, প্রতিষ্ঠানের সামনে কেউ যদি বিশৃঙ্খল করে এজন্য ৯৯৯ এ যোগাযোগ করবেন, আমরা ১ ঘন্টার মধ্যে ব্যাবস্থা নিবো।
মাদক মরনব্যধী, এটাকে মূলোৎপাটন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। কারন এই সমাজ মাদকের রাহু গ্রাসে শেষ হতে পারে না। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরোও বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। এজন্য তোমাদেরকে প্রথমে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে এদেশকে আমরা নতুন করে সাজানোর সুযোগ পেয়েছি।
তাই দূর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তোমরা এগিয়ে যাবে,এটা আমার প্রত্যাশা।সর্বোপরি তোমরা ভালোভাবে পড়াশোনা করবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষাবিদ মাওলানা আবদুল জব্বার বলেন, এই অঞ্চলের মানুষের যখন কোনো উপায় ছিলো না,তখন তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার অবদান ছিল. ঠিক তেমনি তিতুমীরের সেই অবদানকে কাজে লাগাতে পারলে তোমরা স্বার্থক হবে।
শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরোও বলেন,ছাত্রদের ৩৬ জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়েছে,ছাত্রদের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশকে জুলুম, নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। এই দেশকে ন্যায় ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামো তৈরী করতে ছাত্রদের এগিয়ে আসতে হবে।
ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,কাজে কর্মে পড়াশোনায় তোমরা এগিয়ে যাবে এটাই আমার প্রত্যাশা।তিনি উপস্থিতি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা যদি দেশ গঠনে মনোনীত হতে পারি,তাহলে নেতা হিসেবে নয় আপনাদের সেবক হিসেবে কাজ করবো, ইনশাআল্লাহ।
উক্ত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শহীদ তিতুমীর একাডেমি'র প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি সফি উদ্দিন আহমেদ বাদল,ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শহীদ তিতুমীর একাডেমির অধ্যক্ষ শফিউদ্দিন আহামদ,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ ইসহাক খান,আই,ই,টি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আলমগীর কবির,এডভোকেট মনিরুজ্জামান শাহীন,এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর দেওয়ান, জাহাঙ্গীর কবির পোকন,নাজনীন জাহান প্রমূখ।