কলম্বো টেস্টের দলে আরও দুই বোলার নিল শ্রীলঙ্কা
Published: 23rd, June 2025 GMT
বাংলাদেশের বিপক্ষে গলে সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র করেছে শ্রীলঙ্কা। কলম্বোয় ২৫ জুন সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নামবে দুই দল। ওই টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করেছে স্বাগতিকরা। দলে ডাক পেয়েছেন আরও দুই বোলার।
গল টেস্টের জন্য ১৮ জনের দল দিয়েছিল স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। ওই টেস্ট শেষে অবসর নিয়েছেন অ্যাঞ্জেল ম্যাথুস। তার জায়গায় বাঁ-হাতি পেসার বিশ্ব ফার্নান্দোকে দলে নিয়েছে লঙ্কানরা। সঙ্গে দলে যুক্ত করা হয়েছে স্পিনার দুনিথ ভেল্লালাগেকে।
তাদের দু’জনকে নিয়ে ১৯ জনের দল দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। অর্থাৎ কাউকে বাদ না দিয়ে কলম্বো টেস্টে দুই বোলার বাড়িয়েছে স্বাগতিকরা। তবে দুনিথ লাল বলে পরিচিত মুখ নন। তিনি সাদা বলে রহস্য স্পিনার হিসেবে পরিচিত। পাকিস্তানের বিপক্ষে গত বছর টেস্ট অভিষেক হলেও কোন উইকেট পাননি।
বিশ্ব ফার্নান্দো কার্যকরী পেসার। তিনি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের গত চক্রে বাংলাদেশ সফরে দারুণ বোলিং করেছিলেন। ২৭ টেস্টে ৭৯ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁ-হাতি। শ্রীলঙ্কার পেস আক্রমণে কাসুন রাজিথা, মিলান রত্নায়েকে, আসিথা ফার্নান্দো আছেন। স্পিন আক্রমণে প্রবাথ জয়সুরিয়া ও থারিন্ডু রত্নায়েকের সঙ্গে আছেন আকিলা ধনাঞ্জয়াও।
শ্রীলঙ্কার কলম্বো টেস্টের দল: ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, পাথুম নিশাঙ্কা, অসাথে ফার্নান্দো, পাসিন্দু সোরিয়াবান্দারা, পবন রত্নায়েকে, লাহিরু উদারা, দিনেশ চান্ডিমাল, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, সোনাল দিনুশা, থারিন্ডু রত্নায়েকে, প্রবাথ জয়সুরিয়া, আকিলা ধনাঞ্জয়া, মিলান রত্নায়েকে, আসিথা ফার্নান্দো, কাসুন রাজিথা, ঈষিতা বিজেসুন্দারা, বিশ্ব ফার্নান্দো, দুনিথা ভেল্লালাগে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কলম ব
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমার সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ে বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন জার্মানির সংসদ সদস্য
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছেন জার্মানির গ্রিন পার্টির সংসদ সদস্য বরিস মিজাতোভিচ। চার দিনের এই সফরের সময় তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বুধবার ঢাকায় জার্মান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জার্মানির পার্লামেন্ট বুন্দেসট্যাগের গ্রিন পার্টির সদস্য বরিস মিজাতোভিচ ২৬ থেকে ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জ্বালানি প্রকল্প, বিশেষ করে এই অঞ্চলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। বরিস মিজাতোভিচ মিয়ানমারের সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। যার লক্ষ্য ছিল এই বিষয়গুলোকে আন্তর্জাতিক আলোচনার সূচিতে ফিরিয়ে আনা। এই লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ সফর শেষে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ভ্রমণ করেন।
বাংলাদেশ সফরে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থা, পরিবেশজনিত উদ্বেগ, কর্মপরিবেশ এবং শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতির মতো বিষয়গুলো নিয়ে বরিস মিজাতোভিচ আলোচনা করেন।
বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে সফরকালে মিজাতোভিচ শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সরবরাহ শৃঙ্খল সম্পর্কিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি উপসাগরীয় অঞ্চলে শ্রম অভিবাসন এবং কর্মপরিবেশ নিয়েও আলোচনা করেন তাঁরা। এ ছাড়া বৈঠকে জাহাজভাঙার চ্যালেঞ্জ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।
এ ছাড়া বরিস মিজাতোভিচ বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে জিআইজেড আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত সম্পর্কে অবগত হন এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কর্মপরিবেশ উন্নত করার সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরের সময় বরিস মিজাতোভিচ কক্সবাজারে যান।
সেখানে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির পরিদর্শন করেন এবং এ অঞ্চলে মানবিক চ্যালেঞ্জ এবং চলমান ত্রাণ কার্যক্রম আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই সফর মানবাধিকার, কর্মপরিবেশ এবং মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে সংলাপ, বোঝাপড়া এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।