ক্লাব বিশ্বকাপে ব্রাজিল যেখানে ১০০–তে ১০০
Published: 23rd, June 2025 GMT
শেষ হয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ড। ৩২ দলের প্রত্যেকটি এরই মধ্যে ২টি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে। আর এই ৩২ ম্যাচ শেষে সাফল্যের দিক থেকে ইউরোপিয়ান পরাশক্তিদের ছাপিয়ে গেছে ব্রাজিলের ক্লাবগুলো। এমনকি এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচ খেলে একটি ম্যাচেও হারেনি ব্রাজিলের কোনো ক্লাব। অর্থাৎ ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলো এখন পর্যন্ত শতভাগ অপরাজিত আছে।
এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচ না হারার পাশাপাশি ব্রাজিলের চারটি ক্লাব নিজ নিজ গ্রুপের শীর্ষ স্থানও দখলে রেখেছে। যেমন গ্রুপ ‘এ’তে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামিকে টপকে সবার ওপরে আছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাস।
দুই দলেরই পয়েন্ট অবশ্য দুই ম্যাচে সমান চার। কিন্তু গোল ব্যবধানে মায়ামির চেয়ে এগিয়ে ব্রাজিলের সফলতম ক্লাবটি। গ্রুপের শেষ ম্যাচে আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে ইন্টার মায়ামির মুখোমুখি হবে পালমেইরাস।
আরও পড়ুন‘হে মহারাজ, এসো আমাদের সমতলে’—ক্লাব বিশ্বকাপে ‘আন্ডারডগ’দের গর্জন২০ জুন ২০২৫একইভাবে গ্রুপ ‘বি’তে সবার ওপরে আছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোতাফোগো। তারা পেছনে ফেলেছে ইউরোপ-সেরা পিএসজি এবং স্পেনের বড় শক্তি আতলেতিকো মাদ্রিদকে।
দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে বোতাফোগোর পয়েন্ট এখন ৬। এই গ্রুপ থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত করার পথে পিএসজিকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে বোতাফোগো। আজ রাতে গ্রুপের শেষ ম্যাচে বোতাফোগোর প্রতিপক্ষ আতলেতিকো।
‘ডি’ গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো। দুই ম্যাচের দুটিতেই জেতা ফ্ল্যামেঙ্গো হারিয়েছে ইউরোপ ও প্রিমিয়ার লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়ন চেলসিকে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে বুধবার ফ্ল্যামেঙ্গোর প্রতিপক্ষ লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি।
গ্রুপ ‘এফ’-এ সবার ওপরে আছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স। তাদের পেছনে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। দুই দলের পয়েন্ট অবশ্য দুই ম্যাচে সমান ৪। কিন্তু গোল ব্যবধানে ডর্টমুন্ডের চেয়ে এগিয়ে ফ্লুমিনেন্স।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্কুলে নাচ-গানের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিরোধ পরিহারের আহ্বান ৫১ নাগরিকের
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও নাচের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জুলাই অভ্যুত্থানের সফলতায় বিভক্তি তৈরির অপপ্রয়াস উল্লেখ করে এ নিয়ে বিরোধ পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন ৫১ জন নাগরিক।
সোমবার তাঁদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংগীতবিষয়ক শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে একটি পক্ষের লাগাতার বক্তব্য, বিবৃতি, কর্মসূচি গভীর উদ্বেগ তৈরি করছে। আমরা মনে করি, সংগীতের শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে তাদের বিরোধিতা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বিপরীত।’
জুলাই আন্দোলনে সব শ্রেণি–পেশা এবং ধর্ম ও মতের মানুষ অংশ নিয়েছিল উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তবে সফল অভ্যুত্থানের পরপরই নানা ধরনের বিভক্তি তৈরির অপপ্রয়াস চলছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও নাচের শিক্ষক বাতিলের দাবি এ বিভাজনকে আরও জটিল পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে।’
বিবৃতিতে নাগরিকেরা বলেছেন, ‘আমরা মনে করি, শিশুর নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষা যেমন প্রয়োজন রয়েছে, তেমনি মেধা ও মননের বিকাশে সংগীত ও নৃত্যকলার প্রয়োজনও রয়েছে। সংস্কৃতিচর্চার মধ্য দিয়ে শিশুরা আধ্যাত্মিক সৌন্দর্যকে নিজের ভেতরে ধারণ করতে সক্ষম হবে। বিশ্ব সংস্কৃতির পরিসরে বাংলাদেশের হয়ে তারা অংশ নিতে পারবে। পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা গেছে, ইসলামি সভ্যতায় গানের চর্চা ও সাধনার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। গান ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইসলাম তার সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটিয়েছে, যা মানুষকে ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করেছে।’
বাংলাদেশ গান, নাচ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এখানকার শিশুদের অধিকার রয়েছে তার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার। আমরা মনে করি, এ ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার পরিণতি সুখকর হবে না।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষকের যে দাবি উঠেছে, তা মেনে নিয়েও সংগীত শিক্ষক বহাল রাখা ন্যায়সংগত। একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটিকে স্থাপন শিশুর বিকাশের পরিবেশ সংকীর্ণ করবে।’
বিবৃতি দেওয়া ৫১ নাগরিকের মধ্যে আছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌভিক রেজা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি এইচ হাবীব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রায়হান রাইন, মানবাধিকারকর্মী রেজাউর রহমান লেনিন, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, কথাসাহিত্যিক জিয়া হাশান, সালাহ উদ্দিন শুভ্র, গাজী তানজিয়া, এহসান মাহমুদ প্রমুখ।