বয়সভিত্তিক ফিফা বিশ্বকাপ দিয়ে আলোয় আসেন তরুণ ক্লদিও এচেভেরি। আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করে নতুন মেসি খেতাব পান বোকা জুনিয়র্স থেকে উঠে আসা তরুণ। তাকে দলে নিতে উঠে পড়ে লাগে ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবগুলো।

বয়স ১৬ বছরের ঘরে থাকতেই পেপ গার্দিওলার চাওয়ায় ম্যানচেস্টার সিটি তাকে দলে ভেড়ায়। গত শীতকালীন দলবদলের মৌসুমে বয়স ১৮ হওয়ার পরে ম্যানসিটি ক্যাম্পে যোগ দেন আনুষ্ঠানিকভাবে। এক ম্যাচে অল্প একটু খেলার সুযোগও পেয়েছিলেন তিনি।

তবে আলোয় আসলেন ক্লাব বিশ্বকাপে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল আইনের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে। শুরুর একাদশে জায়গা পেয়ে নতুন মেসি খ্যাত এচেভেরি আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসির মতো এক ফ্রি কিক গোলে ম্যানসিটিতে গোলের খাতা খুলেছেন।

ম্যানসিটির ৬-০ গোলের জয়ে এচেভেরি ২৭ মিনিটে জালে বল পাঠান। সেটাও দুর্দান্ত এক ফ্রি কিক থেকে। বক্সের বাহির থেকে তার ডান পায়ে নেওয়া ফ্রি কিক বুঝেই উঠতে পারেননি আল আইনের গোলরক্ষক। শুধু গোল নয় ম্যাচে ৪৫ মিনিট খেলে খুবই সাবলীল ছিলেন তিনি। ম্যাচে রেটিং পেয়েছেন ১০ এর মধ্যে ৯।

যে কারণে ম্যানসিটির নতুন লিগ মৌসুমে শুরুর একাদশে নিয়মিত খেলার দাবিদার বনে গেছেন তিনি। চলতি ক্লাব বিশ্বকাপে মেসিও ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত এক গোল করেছেন। তার গোলে ইউরোপের দল পোর্তর বিপক্ষে জয় পেয়েছে ইন্টার মিলান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক, আন্দোলনরত ‘তথ্য আপা’দের কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান

টানা ৭২ দিন রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় আন্দোলনের পর মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে একটি প্রতিনিধিদলের আলোচনা হয়। এ সময় উপদেষ্টা আন্দোলনরতদের কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান।

ঝালকাঠি সদরের তথ্যসেবা কর্মকর্তা ও আন্দোলন পরিচালনা কমিটির সভাপতি সংগীতা সরকার প্রথম আলোকে বলেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, উপদেষ্টা বলেছেন, আগামী সপ্তাহে তথ্য আপা প্রকল্প রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তাঁদের কাজে ফিরে যেতে বলেছেন উপদেষ্টা।

অবশ্য উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, ‘এই সরকার কোনো প্রকল্প রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করছে না। তাই এ ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। তাঁদের জন্য বিকল্প কী প্রস্তাব নেওয়া যায়, সেটা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। সেই বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে তাঁদের জানিয়েছি।’

২০১১ সালে পাইলট আকারে ১৩টি উপজেলায় তথ্য আপা প্রকল্প শুরু হয়। পরে ২০১৮ সালের শেষ দিকে ৪৯২টি উপজেলায় প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। পরে তা দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুন করা হয়। গত বছর আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন করা হয়।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘জাতীয় মহিলা সংস্থা’র বাস্তবায়ন করা এ প্রকল্পের পুরো নাম ছিল ‘তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন’। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘তথ্য আপা: তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প’।

সম্পর্কিত নিবন্ধ