ফ্রি কিকে ম্যানসিটিতে গোলের খাতা খুললেন নতুন মেসি
Published: 23rd, June 2025 GMT
বয়সভিত্তিক ফিফা বিশ্বকাপ দিয়ে আলোয় আসেন তরুণ ক্লদিও এচেভেরি। আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করে নতুন মেসি খেতাব পান বোকা জুনিয়র্স থেকে উঠে আসা তরুণ। তাকে দলে নিতে উঠে পড়ে লাগে ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবগুলো।
বয়স ১৬ বছরের ঘরে থাকতেই পেপ গার্দিওলার চাওয়ায় ম্যানচেস্টার সিটি তাকে দলে ভেড়ায়। গত শীতকালীন দলবদলের মৌসুমে বয়স ১৮ হওয়ার পরে ম্যানসিটি ক্যাম্পে যোগ দেন আনুষ্ঠানিকভাবে। এক ম্যাচে অল্প একটু খেলার সুযোগও পেয়েছিলেন তিনি।
তবে আলোয় আসলেন ক্লাব বিশ্বকাপে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল আইনের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে। শুরুর একাদশে জায়গা পেয়ে নতুন মেসি খ্যাত এচেভেরি আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসির মতো এক ফ্রি কিক গোলে ম্যানসিটিতে গোলের খাতা খুলেছেন।
ম্যানসিটির ৬-০ গোলের জয়ে এচেভেরি ২৭ মিনিটে জালে বল পাঠান। সেটাও দুর্দান্ত এক ফ্রি কিক থেকে। বক্সের বাহির থেকে তার ডান পায়ে নেওয়া ফ্রি কিক বুঝেই উঠতে পারেননি আল আইনের গোলরক্ষক। শুধু গোল নয় ম্যাচে ৪৫ মিনিট খেলে খুবই সাবলীল ছিলেন তিনি। ম্যাচে রেটিং পেয়েছেন ১০ এর মধ্যে ৯।
যে কারণে ম্যানসিটির নতুন লিগ মৌসুমে শুরুর একাদশে নিয়মিত খেলার দাবিদার বনে গেছেন তিনি। চলতি ক্লাব বিশ্বকাপে মেসিও ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত এক গোল করেছেন। তার গোলে ইউরোপের দল পোর্তর বিপক্ষে জয় পেয়েছে ইন্টার মিলান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমার সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ে বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন জার্মানির সংসদ সদস্য
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছেন জার্মানির গ্রিন পার্টির সংসদ সদস্য বরিস মিজাতোভিচ। চার দিনের এই সফরের সময় তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বুধবার ঢাকায় জার্মান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জার্মানির পার্লামেন্ট বুন্দেসট্যাগের গ্রিন পার্টির সদস্য বরিস মিজাতোভিচ ২৬ থেকে ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জ্বালানি প্রকল্প, বিশেষ করে এই অঞ্চলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। বরিস মিজাতোভিচ মিয়ানমারের সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। যার লক্ষ্য ছিল এই বিষয়গুলোকে আন্তর্জাতিক আলোচনার সূচিতে ফিরিয়ে আনা। এই লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ সফর শেষে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ভ্রমণ করেন।
বাংলাদেশ সফরে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থা, পরিবেশজনিত উদ্বেগ, কর্মপরিবেশ এবং শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতির মতো বিষয়গুলো নিয়ে বরিস মিজাতোভিচ আলোচনা করেন।
বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে সফরকালে মিজাতোভিচ শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সরবরাহ শৃঙ্খল সম্পর্কিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি উপসাগরীয় অঞ্চলে শ্রম অভিবাসন এবং কর্মপরিবেশ নিয়েও আলোচনা করেন তাঁরা। এ ছাড়া বৈঠকে জাহাজভাঙার চ্যালেঞ্জ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।
এ ছাড়া বরিস মিজাতোভিচ বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে জিআইজেড আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত সম্পর্কে অবগত হন এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কর্মপরিবেশ উন্নত করার সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরের সময় বরিস মিজাতোভিচ কক্সবাজারে যান।
সেখানে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির পরিদর্শন করেন এবং এ অঞ্চলে মানবিক চ্যালেঞ্জ এবং চলমান ত্রাণ কার্যক্রম আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই সফর মানবাধিকার, কর্মপরিবেশ এবং মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে সংলাপ, বোঝাপড়া এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।