টিটেনাস সংক্রমণের কারণে রংপুর মেডিকেলে আইসিইউ বন্ধ
Published: 23rd, June 2025 GMT
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডে এক রোগীর শরীরে টিটেনাস সংক্রমণ হওয়ায় অন্যান্য রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সংক্রমিত রোগীকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। এ কারণে হাসপাতালের আইসিইউর সেবা বন্ধ থাকায় সংকটাপন্ন রোগীর পরিবারের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে আইসিইউ এর ইনচার্জ ডা.
তিনি জানান, রোগীশূন্য আইসিইউ জীবাণুমুক্ত করে পুনরায় রোগী ভর্তি করা হবে। ওয়ার্ড জীবাণুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত করোনার জন্য প্রস্তুত রাখা আইসিইউয়ে রোগীদের সেবা চলবে।
ডিউটি ডাক্তার আব্দুল্লাহেল বারী জানান, আইসিইউতে ৯ বেডের মধ্যে ৯টিতেই রোগী থাকে। এর মধ্যে একজনের টিটেনাস সংক্রমণ সোমবার দুপুরে শনাক্ত হয়। এর আগে সার্জারি ওয়ার্ড থেকে ওই রোগীকে সরাসরি আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। টিটেনাস সংক্রমণ শনাক্তের পরপরই রোগীকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। অন্য রোগীদের করোনার জন্য প্রস্তুত রাখা আইসিইউ বেডে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে যাদের অবস্থা একটু ভালো, তাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। দুইজন রোগী এখনও ওয়ার্ডেই আছে। মঙ্গলবার সকালের মধ্যেই অন্য কোথাও তাদের স্থানান্তর করার কথা রয়েছে।
এদিকে, আইসিইউ ওয়ার্ডে টিটেনাস সংক্রমণ হওয়ার খবর জানাজানি হওয়ার পরপরই সংকটাপন্ন রোগীর পরিবারের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর পরেই হাসপাতাল থেকে রোগীদের অবস্থা অনুযায়ী তাদের স্থানান্তর করা হয়।
আইসিইউ ইনচার্জ ডা. এ বি এম মারুফ হাসান জানান, টিটেনাস সংক্রমণের কারণে এই মুহূর্তে আইসিইউ থেকে রোগী সরানো হয়েছে। শূন্য আইসিইউ জীবাণুমুক্ত করে পুনরায় রোগী ভর্তি করা হবে। ওয়ার্ড জীবাণুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত নতুন ভর্তি নেওয়া সম্ভব হবে না বলেও জানান তিনি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ট ট ন স স ক রমণ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিটি পূজা মণ্ডপে মণ্ডপে পাহারায় থাকবে বিএনপির নেতৃবৃন্দরা : মামুন মাহমুদ
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি জেলা। এই জেলায় সকল ধর্মের মানুষ আমরা একসাথে বসবাস করি।
সেই সুবাদে নারায়ণগঞ্জের অনেক ঐতিহ্য রয়েছে। আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবকে সফল করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সব ধরনের সহযোগিতা করবে। জেলার প্রতিটি পূজা মণ্ডপে মণ্ডপে পাহারায় থাকবে বিএনপি'র নেতৃবৃন্দরা।
পূজা মন্ডপ পরিদর্শনের নামে আমাদের নেতাকর্মীরা যাতে হোন্ডা মোহড়া ও পাহারা এই দুটোই যেন কেউ না দেয়। তার জন্য আমাদের সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আর পূজা মন্ডপে অনেক নারী পূজারীরা অংশগ্রহণ করে থাকে।
তাদের আসা-যাওয়ার পথে কেউ যেন ইভটিজিং না করে। তার জন্য আমাদের নিজস্ব ভলেন্টিয়াররা সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। আর তার জন্য মণ্ডপ কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত পরিমাণে আলোর ব্যবস্থা রাখবেন।
শারদীয় দুর্গোৎসবকে আনন্দময় ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের গ্রিন গার্ডেন পার্টি সেন্টারে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে আযান ও নামাজের সময় অন্তত ৩০ মিনিট আপনারা পূজা অর্চনা খানিক খানের জন্য বিরতি রাখবেন। আপনারা ভিতরে আপনাদের পূজা করবেন কিন্তু ঢাকঢোল, গানবাজনা ও সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ রাখবেন। এই বিষয়টি আপনার বিশেষ দৃষ্টিতে দেখবেন।
অনেক সময় দেখা দেয় এক দিকটা আজান হচ্ছে অন্য দিকটা মন্ডপে ঢাকঢোল বাজানো হচ্ছে। এতে করে একটি সিমপিতি তৈরি হতে পারে। সুতরাং এই জিনিসটা আপনারা বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন।
মতবিনিময় সভায় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে তাদের চাহিদা ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন এবং দুর্গোৎসবকে আনন্দময় এবং নিরাপদ করতে মতবিনিময় সভার আয়োজন করায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়কসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানান।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপ্রদ সাহা, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুল বারী ভূঁইয়াসহ জেলা বিএনপিসস, তারাবো, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁ পৌরসভা বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং অঙ্গ সংগঠনের জেলা নেতৃবৃন্দ।