প্রথম ইনিংসে ১৭৮ বলে ১২টি চার ও ৬ ছক্কায় ১৩৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ঋষভ পন্ত। দ্বিতীয় ইনিংসেও পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। এবার ১৪০ বলে ১৫টি চার ও ৩ ছক্কায় খেলেন ১১৮ রানের ইনিংস। তার সঙ্গে লোকেশ রাহুল ২৪৭ বলে ১৮টি চারে করেন ১৩৭ রান।

তাদের দুজনের সেঞ্চুরিতে ভর করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৬ ওভারে ৩৬৪ রান করে অলআউট হয়েছে ভারত। তাতে ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৩৭১ রান।

এই রান তাড়া করে জিততে ইংল্যান্ডের সামনে রয়েছে আজকের (২৩ জুন) ১৭ ওভার ও আগামীকালকের পুরো দিন।

আরো পড়ুন:

ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের একাদশ ঘোষণা

ইংল্যান্ড সফরে ভারতের টেস্ট দলে রানা

ব্যাট হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে রাহুল ও পন্ত ছাড়া ভারতের আর কেউ সুবিধা করতে পারেননি। সাই সুদর্শন করেন ৩০ রান। এছাড়া রবীন্দ্র জাদেজা অপরাজিত ২৫ ও করুন নায়ার করেন ২০ রান।

বল হাতে ইংল্যান্ডের জশ টাং ও ব্রাইডন কার্স ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন শোয়েব বশির।

যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমান গিল ও পন্তের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ভারত ১১৩ ওভারে করে ৪৭১ রান। জবাবে ইংল্যান্ড অলি পোপের ১০৬ ও হ্যারি ব্রুকের ৯৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১০০.

৪ ওভারে ৪৬৫ রান করে। ৬ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত করে ৩৬৪ রান। তাতে ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৩৭১ রান।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ ব ত য় ইন

এছাড়াও পড়ুন:

মহাকাশে বিরল এক ছায়াপথ খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

বাংলা চার সংখ্যার আদলে ভিন্ন আকৃতির একটি ছায়াপথের (গ্যালাক্সি) সন্ধান পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিটার ভ্যান ডোক্কামের নেতৃত্বে এক দল বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীরা এই ছায়াপথকে অসীম বা ইনফিনিটি নামে অভিহিত করেন। তাঁদের ধারণা, দুটি ছায়াপথের সাম্প্রতিক সংঘর্ষের ফলে অদ্ভুত ৪ সংখ্যার মতো দেখতে ছায়াপথটি তৈরি হয়েছে। এর কেন্দ্রে আরও অসাধারণ কিছু লুকিয়ে থাকতে পারে।

পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ও গবেষণার প্রধান ভ্যান ডোক্কাম বলেন, এটি দেখতে কেবল অদ্ভুতই নয়, এর সঙ্গে রয়েছে একটি অতিবৃহৎ কৃষ্ণগহ্বর। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে পদার্থ তৈরি হচ্ছে। সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, কৃষ্ণগহ্বরটি ছায়াপথের দুটি নিউক্লিয়াসের মধ্যে অবস্থিত নয়, মাঝখানে অবস্থান করছে। দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটারসে অদ্ভুত রকমের এই ছায়াপথের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

এমন কৃষ্ণগহ্বর কীভাবে জন্মগ্রহণ করে এবং কীভাবে তারা এত দ্রুত বিশাল আকার ধারণ করে, তা জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা। কৃষ্ণগহ্বর সাধারণত ছায়াপথের কেন্দ্রের গভীরে দেখা যায়। নতুন কাঠামোতে দুটি একত্র ছায়াপথের কেন্দ্রের মধ্যে তৈরি হয়েছে কৃষ্ণগহ্বর। এমন কাঠামো বেশ অপ্রত্যাশিত।

নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে এই ছায়াপথের খোঁজ মিলেছে। এ ছাড়া হাওয়াইয়ের কেক অবজারভেটরি, চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরির আর্কাইভাল ডেটা ও ভেরি লার্জ অ্যারের আর্কাইভাল ডেটা ব্যবহার করে ঘন গ্যাসে বেষ্টিত একটি শক্তিশালী কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ মিলেছে সেখানে। নতুন এই আবিষ্কার জ্যোতির্বিদ্যার বিভ্রান্তিকর একটি রহস্য সমাধানে সহায়তা করবে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ