আকাশসীমা বন্ধ করায় ঢাকা থেকে ৪ দেশে ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা
Published: 24th, June 2025 GMT
চলমান ইরান-ইসরাইল যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যের কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও বাহরাইনের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে নিজ নিজ দেশ। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার (২৩ জুন) থেকে এসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলও আপাতত বন্ধ হয়ে গেছে।
সোমবার রাতে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত এবং বাহরাইন কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে। সংশ্লিষ্ট দেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দোহা, দুবাই, আবুধাবি, কুয়েত এবং বাহরাইন হয়ে আগমন ও বহির্গমনকারী সব বাণিজ্যিক ফ্লাইট বাতিল থাকবে।
এই পরিস্থিতিতে দোহা, দুবাই, আবুধাবি, কুয়েত এবং বাহরাইন রুটে ভ্রমণের পরিকল্পনায় থাকা যাত্রীদের নিজ নিজ এয়ারলাইন্স অফিসের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স অফিসে যোগাযোগ করে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী ভ্রমণের সময়সূচি পুনঃনির্ধারণ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রুটের গন্তব্যে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। তাছাড়া, এসব দেশের আকাশসীমা ব্যবহার করে অন্য দেশের গন্তব্যেও অনেক ফ্লাইট যাতায়াত করে। দেশগুলো নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ায় প্রবাসীরা বিপাকে পড়বেন বলে মনে করেন এভিয়েশন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা/হাসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সেপটিক ট্যাংকে ভাসছিল দুই শিশুর লাশ
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় পৌরসভায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে পৌরসভার পশ্চিম ছাগলনাইয়ার সাতমন্দির রোড এলাকা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
ছাগলনাইয়া থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম এ খবর নিশ্চিত করেছেন। মৃত দুই শিশুর বাবাই প্রবাসে থাকেন।
মৃতরা হল– ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের পূর্ব শিলুয়া গ্রামের কাতার প্রবাসী ইকবাল হোসেনের ছেলে ফয়সাল ফারাবী (৯) ও ঘোপাল ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী সামছুল হকের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (৮)। তাদের পরিবার ছাগলনাইয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাত মন্দির রোড এলাকার শেখ ভবনে ভাড়া বাসায় থাকে। এদের মধ্যে ফারাবী স্থানীয় ইম্পেরিয়াল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির এবং লিহান ছাগলনাইয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত দুই শিশু খেলার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী নির্মাণাধীন ভবনে যায়। সেখানে খেলার সময় অসাবধানতাবশত তারা হয়তো সেপটিক ট্যাংকে পড়ে গিয়ে থাকতে পারে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিকেলে দুই শিশু খেলার জন্য বাসা থেকে বের হয়। সন্ধ্যার পর তারা বাসায় না ফিরলে স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে রাতে স্থানীয় এক যুবক নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের মুখে এক জোড়া জুতা দেখতে পায়। পরে পানিতে ভর্তি ট্যাংকের ভেতরে আলো দিয়ে দুই শিশুকে পড়ে থাকতে দেখে। দ্রুত পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে রাত ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতায় দুই শিশুর নিথর দেহ উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দুই শিশুর এমন মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার দুটির আহাজারিতে ভরে উঠেছে বাতাস। মর্মান্তিক এ ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না কেউই। স্থানীয় লোকজন এটাকে নিছক দুর্ঘটনা বলছেন না। তাদের অভিযোগ, নির্মাণাধীন ভবনের মালিকের অবহেলার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেফটি ট্যাংকটির ঢাকনা খোলা ছিল। এটি বন্ধ রাখলে এ দুর্ঘটনা এড়ানো যেতো।
ছাগলনাইয়া থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দুই শিশু খেলার ছলে অসাবধানতাবশত সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যায়। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।