আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগের ক্ষেত্রে মানদণ্ড থাকতে হবে, যাতে তিনি যথাযথ ও স্বাধীনভাবে ট্রাইব্যুনালের সামনে আসামির প্রতিনিধিত্ব করেন। শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ উপদেষ্টা টবি ক্যাডম্যান এ কথা বলেন।

সম্প্রতি আদালত অবমাননার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ‘স্টেট ডিফেন্স কাউন্সেল’ (রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী) হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনুল গনিকে (টিটু) নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ উঠেছে, আমিনুল গনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়েছিলেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টবি ক্যাডম্যান বলেন, কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে—এটি আদালতের বিষয়, প্রসিকিউশনের নয়। অবশ্যই এ ক্ষেত্রে মানদণ্ড থাকতে হবে। বিচারকদের মানদণ্ডের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে, এটা তাঁদের দায়িত্ব। রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যাতে তিনি ট্রাইব্যুনালের সামনে যথাযথ ও স্বাধীনভাবে যেকোনো আসামির প্রতিনিধিত্ব করেন।

আপনি কি মনে করেন, তিনি (আমিনুল গনি) এই পদের জন্য যথার্থ, এ প্রশ্নের জবাবে টবি ক্যাডম্যান বলেন, এটি প্রসিকিউশনের বিষয় নয়। তিনি কী মনে করছেন, সে বিষয় নয় এটি। এটি বিচারকদের বিষয়। যদি কোনো আসামি রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়ে সন্তুষ্ট না থাকেন, তাহলে ট্রাইব্যুনালের কাছে বিষয়টি তাঁকে উত্থাপন করতে হবে।

যদি কোনো আসামি পলাতক থাকেন, তাহলে তিনি কীভাবে নিজের অসন্তুষ্টির কথা ট্রাইব্যুনালকে জানাবেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে টবি ক্যাডম্যান বলেন, এখানে দুটি বিষয়। প্রথমত, কোনো আসামি ট্রাইব্যুনালে আসতে চান না, কিন্তু তাঁর অধিকার রক্ষায় আইনজীবী নিয়োগ দিতে চান, সেটি একটি বিষয়। আবার যদি কোনো আসামি বিচার প্রক্রিয়া বর্জন করেন, তখন বিচারকদের দায়িত্ব থাকে সেই আসামির অধিকার রক্ষায়, যাতে তিনি ন্যায়বিচার পান। তখন আসামির অধিকার রক্ষায় যোগ্য আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি বিচারকদের বিবেচ্য হয়ে দাঁড়ায়। তিনি এর বেশি বলতে পারবেন না।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব চ রকদ র আস ম র প ম নদণ ড

এছাড়াও পড়ুন:

ছেলেকে ছাড়াতে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজের প্রস্তাবও দেন শাহরুখ

বলিউড তারকা শাহরুখ খানের জীবনের সবচেয়ে কঠিন অধ্যায় ছিল ২০২১ সালের অক্টোবর মাস। তাঁর ছেলে আরিয়ান খানকে মুম্বাইয়ের সমুদ্রতটে ‘ড্রাগস-অন-ক্রুজ’ মামলায় গ্রেপ্তার করে এনসিবি। এ ঘটনায় দেশজুড়ে শুরু হয় হইচই। ছেলেকে জামিনে মুক্ত করতে তখন শাহরুখ মরিয়া হয়ে ওঠেন। সম্প্রতি জানা গেছে, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও প্রবীণ আইনজীবী মুকুল রোহতগিকে রাজি করাতে শাহরুখ শুধু ফোনেই থেমে থাকেননি, তিনি রোহতগির স্ত্রীকেও অনুরোধ করেছিলেন। এমনকি তাঁকে আনার জন্য ব্যক্তিগত জেট ব্যবহারের প্রস্তাবও দেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের

স্ত্রীর কাছে শাহরুখের আবেদন
রিপাবলিক টিভির এক অনুষ্ঠানে মুকুল রোহতগি নিজেই স্মৃতিচারণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি তখন যুক্তরাজ্যে ছুটিতে ছিলাম। হঠাৎ মিস্টার খানের ঘনিষ্ঠ একজন ফোন করে জানালেন, বোম্বে হাইকোর্টে আরিয়ানের মামলায় তিনি চান আমি লড়ি। আমি তখন ছুটি ছেড়ে আসতে চাইনি। পরে শাহরুখ নিজেই ফোন করলেন। একই কথা বললাম। তখন তিনি বললেন, “আমি কি আপনার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারি?”’
রোহতগি জানান, শাহরুখ তাঁর স্ত্রীকে বলেছিলেন, ‘এটা ক্লায়েন্টের মামলা নয়, আমি একজন বাবা।’ এই আবেগঘন অনুরোধে আইনজীবীর স্ত্রী তাঁকে রাজি করান।

আরও পড়ুনজেলে সাড়ে তিন হাজার কয়েদির মধ্যে ছিলেন আরিয়ান২০ মার্চ ২০২৫শাহরুখ খান। এএফপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মা-মেয়ে হত্যার বিচার দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মোমবাতি প্রজ্বালন
  • খুলনায় কারাগার থেকে সেই প্রসূতি ও নবজাতককে হাসপাতালে ভর্তি, জামিন নামঞ্জুর
  • আমিনুলের চিঠি হাইকোর্টে স্থগিত, দেড় ঘণ্টা পর আবার বহাল
  • আইনজীবীর জেরায় জুনায়েদ বললেন, জুলাই আন্দোলনে ষড়যন্ত্রকারী ছিলাম, সত্য নয়
  • গণ–অভ্যুত্থানে বিদেশি শক্তির ইন্ধন ছিল না: নাহিদ ইসলাম
  • সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল সালাহ উদ্দীন আহমাদ আর নেই
  • ৯ বছর পর কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন, পুরোনো নেতৃত্বেই আস্থা কাউন্সিলরদের
  • ঝালকাঠিতে আইনজীবীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পাশে পড়েছিল চিরকুট
  • ঝালকাঠিতে আইনজীবীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, মিলল চিরকুট
  • ছেলেকে ছাড়াতে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজের প্রস্তাবও দেন শাহরুখ