চীন সবসময় বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু, প্রতিবেশী ও অংশীদার হিসেবে থাকতে চায় জানিয়ে পানি ব্যবস্থাপনা, মেডিকেল টুরিজমসহ অন্যান্য অগ্রাধিকারখাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে বেইজিং বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। 

বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কুয়ালালামপুরে ৩২তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) ফাঁকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করেন। বৈঠকে উভয় পক্ষই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভবিষ্যতের সম্ভাবনার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কার উদ্যোগের প্রতি চীনের সম্পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশে চীনের সাম্প্রতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের কথা স্মরণ করে তিনি টেক্সটাইল, জ্বালানি, হালকা প্রকৌশল ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য চীনের আগ্রহ প্রকাশ করেন। ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে চীনের রাজনৈতিক ও উন্নয়ন সহায়তার জন্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি রোহিঙ্গা সংকটের জরুরি ও তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য বাংলাদেশের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত এবং এই বিষয়ে চীনের সমর্থন কামনা করেন। এছাড়া জাতিসংঘসহ আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানান।

চীনের পাশাপাশি বিকেলে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও আলাদা বৈঠক করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। দুই দেশই বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৈচিত্র্য ও বিনিয়োগে নিবিড় সহযোগিতার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেয়। কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনিতা আনন্দের সঙ্গে বৈঠকে উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় কানাডার সমর্থনও ব্যক্ত করেন।

বৈঠকগুলোতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার শামীম আহসান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. ফরহাদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩২তম এআরএফ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র পরর ষ ট রমন ত র পরর ষ ট র উপদ ষ ট র পরর ষ ট র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ