Samakal:
2025-10-16@19:59:49 GMT

ছোটদের সাফেও জয়ের আশা

Published: 10th, July 2025 GMT

ছোটদের সাফেও জয়ের আশা

এই কয়েক দিন আগে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরেছিলেন আফঈদা খন্দকার। তাঁর নেতৃত্বে মিয়ানমারে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ নারী দল। প্রথমবার উঠে যায় এএফসি এশিয়ান কাপে; যে আসরটি অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায়। আবারও নেতৃত্বের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। এবার ছোটদের সাফে বাংলাদেশের অধিনায়ক আফঈদা। সিনিয়রদের দলের অধিনায়ক হলেও শুধু বয়সসীমার কারণে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফে অনায়াসে খেলতে পারছেন এ ডিফেন্ডার। 

জাতীয় দলের মতো আগামীকাল বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুরু হতে যাওয়া ছোটদের সাফেও জয়ের আশা আফঈদার। স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ভুটান, শ্রীলঙ্কা এবং নেপাল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। সর্বোচ্চ পয়েন্টধারী দল হবে চ্যাম্পিয়ন। ভারত না থাকায় টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট স্বাগতিক বাংলাদেশ। উদ্বোধনী দিনে বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কার মেয়েদের বিপক্ষে।

মিয়ানমারে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে খেলা দলের ১১ ফুটবলার বয়সের কারণে অনূর্ধ্ব-২০ সাফে খেলার সুযোগ পাবেন। তবে কোচ পিটার বাটলার জাতীয় দল থেকে নিয়েছেন আট ফুটবলার– আফঈদা খন্দকার, মোসাম্মৎ সাগরিকা, মুনকি আক্তার, স্বপ্না রানী, স্বর্ণা রানী মণ্ডল, জয়নব বিবি রিতা, মিলি আক্তার ও উমহেলা মারমা। নবিরন খাতুন, সুরমা জান্নাত, কানান রানী বাহাদুর, অয়ন্ত বালা মাহাতো, পূজা দাসের মতো নতুন কিছু প্রতিভাবান আছেন, যারা কিনা নজর কাড়তে পারেন। 

একসঙ্গে অনুশীলন করার সুযোগ খুব একটা না পেলেও এই দল নিয়ে আশাবাদী অধিনায়ক আফঈদা। গতকাল বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়কের কণ্ঠে ছিল আত্মবিশ্বাসের সুর, ‘এশিয়ান কাপ কোয়ালিফাই করার পর আমরা যদিও এই দলের সঙ্গে অনুশীলন করার বেশি সময় পাইনি। যে কদিন অনুশীলন করেছি, কোচ আমাদের যেভাবে বলেছেন, সেভাবে অনুশীলনের চেষ্টা করেছি। ২০২৩ সালে এই টুর্নামেন্টে আমরা চ্যাম্পিয়ন। এখানে ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা কাউকে ছোট করে দেখার উপায় নেই। ওরাও ভালো খেলে। তবে আমরাও ম্যাচ বাই ম্যাচ জিতে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পেতে চাই। যেন চ্যাম্পিয়ন হতে পারি আমরা।’

দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের নারী ফুটবলে পরিবর্তন এনেছেন কোচ পিটার বাটলার। গত বছর নেপালে সাফ,  মিয়ানমারে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে গ্রুপ সেরা হওয়ার পর বাটলার আশাবাদী অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে, ‘এই মেয়েরা সবাই দায়িত্ববান। এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে দুর্দান্ত খেলেছে। তাদেরই বেশির ভাগ এখানে খেলবে। সাত ফুটবলার এই দলে খেলার যোগ্য। মেয়েরা প্রস্তুত। গত কিছুদিন ওরা দারুণ অনুশীলন করেছেন। আশা করি, এখানে আমরা ভালো কিছুই উপহার দেব।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ফ টবল ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

ওসমানী উদ্যানে আবার স্থাপনার পেছনে লক্ষ্য ‘টাকা কামানো’: বাপা

রাজধানীর ঐতিহাসিক ওসমানী উদ্যান উন্নয়নের নামে ধ্বংস করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) নেতারা। তাঁদের ভাষায়, পুরান ঢাকার ফুসফুসখ্যাত এই উদ্যানকে ঘিরে চলছে ‘অর্থ কামাইয়ের উন্নয়ন’, যার সঙ্গে জুলাইয়ের গণ–অভ্যুত্থানের ইতিহাস বা চেতনার কোনো সম্পর্ক নেই।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসমানী উদ্যান পরিদর্শন করেন বাপার নেতারা। পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথাগুলো বলেন সংগঠনটির নেতারা।

বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের নেতৃত্বে উদ্যান পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বাপার সহসভাপতি মহিদুল হক খান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতা রুহিন হোসেন, বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর, ফরিদুল ইসলাম ও হুমায়ুন কবির, নির্বাহী কমিটির সদস্য জাভেদ জাহান, জাতীয় কমিটির সদস্য শেখ আনছার আলী প্রমুখ। তাঁদের সঙ্গে গ্রীন ভয়েসের নেতা–কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

২০১৮ সাল থেকে ওসমানী উদ্যান সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ। এই সময়ে উদ্যান উন্নয়নের নামে ব্যয় হয়েছে প্রায় শতকোটি টাকা। এখন সেখানে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণে আরও প্রায় ৪৭ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। পরিবেশবিদদের অভিযোগ, এই উদ্যানের আইনগত মর্যাদা উপেক্ষা করে বারবার অবকাঠামো নির্মাণই এখন মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘উন্নয়ন’ নামে উদ্যানের ভেতরে নতুন স্থাপনা নির্মাণ করে আসলে জনগণের সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে।

বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, ‘এখানে যেটা করা হইতেছে, এটা টাকা বানানো। এর সঙ্গে জুলাই ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। প্রমাণটা হলো, এখানে যে ওয়াটার বডিজ আছে, ওখানে গেলেই দেখা যায়, ওখান থেকেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হচ্ছে। এই স্মৃতি করে লাভটা কী? এই প্ল্যানটা আমি স্মৃতিস্তম্ভ বলি না, এটা স্রেফ মানি মেকিং প্রজেক্ট। আজকে যারা এগুলা (জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ) করছে, এগুলো কিছু মানি মেকিংয়ের জন্য করছে। এর মধ্যে আমি কোনো সঠিক প্ল্যানও দেখছি।’

ওসমানী উদ্যানকে তথাকথিত উন্নয়নের নামে ধ্বংস করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন। তিনি বলেন, ‘যেই সরকারই আসুক, তাদের মাথায় থাকে শুধু উন্নয়নের নামে টাকা কামানোর চিন্তা। বহুদিন ধরে উদ্যানটা ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা, জনগণ ঢুকতেই পারে না। এই প্রকল্পে জনগণের টাকা লুটপাট ছাড়া অন্য কোনো কর্মকাণ্ড আমি দেখি না। ওসমানী উদ্যান জনগণের সম্পদ। এই উদ্যান উন্মুক্ত থাকা দরকার। বিশেষ করে মেহনতি, সাধারণ মানুষের হাঁটাচলার ও বিশ্রামের জায়গা হিসেবে। অথচ আজ সেটাকে দখল করে তথাকথিত উন্নয়ন দেখানো হচ্ছে। আসলে এটা পরিবেশ ধ্বংসেরই আরেক নাম।’

ওসমানী উদ্যান পরিদর্শন শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে গিয়ে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ক্ষোভের কথা জানান বাপার নেতারা। এ সময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বাপা নেতাদের বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তে ওসমানী উদ্যানে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না।

আরও পড়ুনওসমানী উদ্যান: ঢাকার ‘ফুসফুসে’ আবার স্থাপনা ১১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ