দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে রাতের আঁধারে ৯টি চালকল থেকে বিদ্যুতের মিটার চুরি হয়েছে। তবে সেখানে বিদ্যুতের খুঁটির নিচে চিরকুটে মুঠোফোন নম্বর দিয়ে গেছে চোর চক্র। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের মনিরামপুর গ্রাম ও নবাবগঞ্জ উপজেলা সদরে হাসপাতাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে মেসার্স তামিজ হাসকিং মিলের স্বত্বাধিকারী মো.

মনিরুজ্জামানসহ ভুক্তভোগীরা নবাবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে তাঁরা বলেন, চিরকুটে লেখা নম্বরে যোগাযোগ করেছিলেন। মিটার ফিরে পেতে তিন হাজার থেকে আট হাজার টাকা দাবি করেছে চোর চক্র।

ভুক্তভোগী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাত দেড়টা পর্যন্ত চালকল মিলে বিদ্যুতের সংযোগ ছিল। পরে ওই রাতে বৃষ্টি শুরু হয়। তখন বাড়িতে শুয়েছিলাম। রাত তিনটার দিকে চালকল চালু করতে গিয়ে দেখি, কারেন্টের লাইন নেই। কারেন্টের পোলে গিয়ে দেখি মিটার নেই।’

মো. মনিরুজ্জামান আরও বলেন, ‘পরে গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, মঙ্গলবার রাতে মনিরামপুর গ্রাম থেকে সাতটি ও উপজেলা শহরে হাসপাতালের সামনে একটি মহল্লার দুটিসহ বিদ্যুতের মোট নয়টি মিটার চুরি হয়েছে। আর বিদ্যুতের মিটার চুরির পর বিদ্যুতের প্রতিটি খুঁটির নিচে একটি চিরকুটে বিকাশ নম্বর দেওয়া ছিল। বিদ্যুতের খুঁটির নিচে রেখে যাওয়া চিরকুটে দেওয়া মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করেছি। মিটার ফেরত দিতে চোর চক্র আমার কাছে আট হাজার টাকা দাবি করেছে।’

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল মতিন প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলার দুটি এলাকায় বিদ্যুতের মিটার চুরির ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করা গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ রক ট উপজ ল চ লকল

এছাড়াও পড়ুন:

ইভিএম কেনায় তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ 

বাজারমূল্যের চেয়ে দশ গুণ বেশি দামে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। দেড় লক্ষ নিম্নমানের ইভিএম কেনায় সরকারের প্রায় ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকা ক্ষতি বা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। 

বুধবার যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তারা হলেন– নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (চলতি দায়িত্ব) মো. ফরহাদ হোসেন, সিনিয়র মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন ও  সিস্টেম অ্যানালিস্ট ফারজানা আখতার। এ ছাড়া আরও তিন কর্মকর্তাকে ডাকা হলেও গতকাল হাজির হননি। তারা হলেন– নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপপ্রধান মো. সাইফুল হক চৌধুরী, সহকারী প্রধান মো. মাহফুজুল হক ও আইটি সিস্টেম কনসালট্যান্ট এ এইচ এম আব্দুর রহিম খান।

কে এম নূরুল হুদাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম, সরকারি আর্থিক বিধিবিধান লঙ্ঘন, কোনো সমীক্ষা ও টেন্ডার ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণ করে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ইভিএম মেশিন ক্রয়ের অভিযোগ করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

নির্বাচন কমিশনে গুণগত মানসম্পন্ন ইভিএম সরবরাহ করা হয়েছে কিনা এবং প্রতিটি ইভিএমের মূল্য সঠিক ছিল কিনা– দুদক এ-সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ বের করে প্রতিবেদন তৈরি করবে। পরে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২০ মার্চ থেকে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রাকিবুল হায়াতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ টিম এই অভিযোগ অনুসন্ধান করছে। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গতকাল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ছয় কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। এর মধ্যে তিন কর্মকর্তা ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে অভিযোগ সম্পর্কে তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে ইসি ও মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ