ন্যাটোর মাধ্যমে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র
Published: 12th, July 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করা হবে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মাধ্যমে। গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া নিয়ে তিনি সোমবার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেবেন। তবে কী ঘোষণা, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রাশিয়ার
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে অগ্রগতির ঘাটতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এনবিসি নিউজকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, সোমবার রাশিয়া নিয়ে বড় একটা ঘোষণা দেব।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি নতুন চুক্তি হয়েছে, যাতে যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোকে অস্ত্র সরবরাহ করবে এবং ন্যাটো পুরো খরচ বহন করবে।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ন্যাটোকে অস্ত্র পাঠাচ্ছি এবং ন্যাটো শতভাগ মূল্য দিচ্ছে। তারপর ন্যাটো সেই অস্ত্র ইউক্রেনকে দেবে।’
বিষয়টি সম্পর্কে জানা দুটি সূত্র বলেছে, প্রথমবারের মতো ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ‘প্রেসিডেনশিয়াল ড্রডাউন অথরিটি’ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে অস্ত্র পাঠাবেন। এই ক্ষমতা অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রভান্ডার থেকে জরুরি অবস্থায় মিত্র দেশকে সরাসরি অস্ত্র দিতে পারেন। এক সূত্র জানিয়েছে, এ প্যাকেজের সম্ভাব্য মূল্য হতে পারে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার।
মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেন, রুশ আগ্রাসনের মুখে ইউক্রেনের আত্মরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আরও অস্ত্র পাঠাবে। প্যাকেজে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের মতো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং মাঝারি পাল্লার আক্রমণাত্মক রকেট অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
এখন পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন শুধু জো বাইডেনের অনুমোদিত অস্ত্রই পাঠিয়েছে। হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগন এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ট র ম প বল ন ইউক র ন
এছাড়াও পড়ুন:
গ্যাস সংকটে উৎপাদন বন্ধ ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে
নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের অবস্থা নাজুক। গ্যাস সংকটের কারনে কেন্দ্রের সাতটি ইউনিটের মধ্যে সব ইউনিটেরই উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. এনামুল হক সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত দুই বছর ধরেই এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সংকট চলছে। কিন্তু ঈদুল আজহার পর থেকে গ্যাস সংকটের কারনে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪ নম্বর ইউনিট, ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫ নম্বর ইউনিট ও ৩৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৭ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন একেবারে বন্ধ রয়েছে। সরকার সারখানায় গ্যাস সরবরাহ করার কারনে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্যাস বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি, বিকল্পভাবে আমাদের গ্যাস সরবরাহ করার জন্য। গ্যাস সরবরাহ করলেই আমরা পুরো দমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হব।
তিনি আরও বলেন, এ তিনটি ইউনিট পুরোপুরি চালু করার মতো রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩ নম্বর ইউনিটটি অনেক দিন ধরে টারবাইনের রোটারের ব্লেডে সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে এটি মেরামত চলছে, এখন তা শেষ পর্যায়ে। গ্যাস সংযোগ দিলে এটাও উৎপাদনে চলে আসবে।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের জুন মাসে ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৬ নম্বর ইউনিটে আগুন লেগে এর টারবাইন পুড়ে যায়। সেই থেকে এই ইউনিটটি বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরো বন্ধ হয়ে যায়। অপরদিকে ১৯৬৭ সালে ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটটি রাশিয়া টেকনোপ্রম এক্সপার্ট নির্মাণ কাজ শেষ করলে ১৯৭৪ সালের জানুয়ারি মাসে মাত্র ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে এর যাত্রা শুরু করা হয়। পরে ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার অপর ২ নম্বর ইউনিটটি ১৯৭৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে উৎপাদনে আসে। এ দুটি ইউনিটে বার বার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এ দুটি ইউনিটেরও উৎপাদন বন্ধ করে দিযেছে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
সূত্রে জানা যায়, ১ ও ২ নম্বর ইউনিট দুটি ভেঙে নতুন করে অপর নতুন ইউনিট স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে।