গুগলের ‘এআই ওভারভিউ’-সুবিধায় সার্চ ফলাফলের ওপরের অংশেই এআইয়ের মাধ্যমে তৈরি সংক্ষিপ্ত তথ্য দেখা যায়। ফলে কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ না করেই অনলাইন থেকে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য জানতে পারেন ব্যবহারকারীরা। গত বছর এই সুবিধা চালুর পর থেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের অরগানিক ট্রাফিক কমে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক ওয়েবসাইটের মালিক ও কনটেন্ট নির্মাতারা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে গুগল জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর এআই ওভারভিউ সার্চ–সুবিধার কারণে ওয়েবসাইটের ভিজিটর কমছে না। ব্যবহারকারীরা এখন আগের চেয়ে বেশি সময় নিয়ে নির্দিষ্ট বিষয়ের গভীরে যেতে উৎসাহী হচ্ছেন বলেও দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষণায় বলা হয়েছে, গুগল সার্চে ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের ওপর ভিত্তি করে শীর্ষে যে এআই সারাংশ দেখানো হয়, সেখানে অনেকেই প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যান। ফলে তাঁরা আর মূল উৎস; অর্থাৎ ওয়েবসাইটে ক্লিক করে প্রবেশ করেন না। ফলে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটগুলোর ট্রাফিক সংখ্যা কমছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে গুগলের সার্চ বিভাগের প্রধান লিজ রিড এক ব্লগ বার্তায় জানিয়েছেন, অনেক সময় ভুল পদ্ধতিতে তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। গুগলের নিজস্ব তথ্য বিশ্লেষণে এ ধরনের প্রবণতার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গুগল সার্চ থেকে ওয়েবসাইটে ক্লিকের হার গত বছরের তুলনায় প্রায় একই রয়েছে। কিছু ওয়েবসাইটে ভিজিটর বেড়েছে, আবার কিছু ওয়েবসাইটে কমেছে। সামগ্রিকভাবে ক্লিকের পরিমাণ স্থিতিশীল রয়েছে।

আরও পড়ুনগুগল সার্চে নতুন এআই সুবিধা২৭ জুলাই ২০২৫

গুগলের এআই ওভারভিউ-সুবিধার কারণে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক কমার অভিযোগ গুগল অস্বীকার করলেও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সম্প্রতি জানিয়েছে, এআই সার্চের প্রভাবে অনেক সংবাদমাধ্যম ওয়েব ট্রাফিক হারাচ্ছে। বিজনেস ইনসাইডার, ওয়াশিংটন পোস্ট ও হাফপোস্ট–এর মতো কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ট্রাফিক কমে যাওয়ায় কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া গুগলের অ্যালগরিদমে পরিবর্তনের ফলে অনেক স্বাধীন ও ছোট ওয়েবসাইট সার্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে পড়ছে। এতে এসব ওয়েবসাইটে আগের মতো ভিজিটর পাওয়া যাচ্ছে না।

কিছু ওয়েবসাইটের ট্রাফিক কমে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে রিড জানিয়েছেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের আচরণ পরিবর্তনের কারণেই এমনটি হচ্ছে। তাঁর মতে, ব্যবহারকারীদের সার্চ অভ্যাসে পরিবর্তনের ফলে কিছু ওয়েবসাইটে ভিজিটর কমেছে, আবার কিছু সাইটে বেড়েছে। বিশেষ করে যেসব ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতানির্ভর আলোচনা, ভিডিও, পডকাস্ট রয়েছে—সেগুলো বেশি ট্রাফিক পাচ্ছে।

সূত্র: দ্য ভার্জ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট র ফ ক কম স ব ক র কর গ গল র

এছাড়াও পড়ুন:

১০০০ গোল থেকে আর কত দূরে রোনালদো ও মেসি

একজনের বয়স ৪০, অন্যজনের ৩৮।

কিন্তু খেলা দেখে বোঝার উপায় নেই তাঁরা বুটজোড়া তুলে রাখার সময় পেরিয়ে এসেছেন। এখনো দুজনই ম্যাচের পর ম্যাচ গোল করে যাচ্ছেন, গোল করাচ্ছেন।
বলা হচ্ছে দুই চির তরুণের কথা। একজন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, অন্যজন লিওনেল মেসি।

এই তো শনিবারও রোনালদো জোড়া গোল করেছেন আল নাসরের হয়ে, সৌদি প্রো লিগে আল রিয়াদের বিপক্ষে ৫-১ ব্যবধানের দাপুটে জয়ে। অন্যদিকে মেজর লিগ সকারে মেসি দুই গোল তো করেছেনই, সতীর্থকে দিয়ে করিয়েছেন আরও একটা। তাঁর ম্যাজিকেই ইন্টার মায়ামি ৩-২ গোলে হারিয়েছে ডিসি ইউনাইটেডকে।

দুজনেই এগোচ্ছেন অবিশ্বাস্য এক মাইলফলকের দিকে—ক্যারিয়ারে ১০০০ গোল। রোনালদো কিছুটা এগিয়ে, মেসি তাঁর পিছু পিছু।

কার কত গোল

শনিবার রাতের জোড়া গোলের পর আপাতত রোনালদোর ক্যারিয়ার গোল সংখ্যা ৯৪৫। ১০০০ গোলের মাইলফলক থেকে তিনি আর মাত্র ৫৫ গোল দূরে। আল নাসরের হয়ে এই মৌসুমে ৫ ম্যাচ খেলে রোনালদো করেছেন ৪ গোল। এভাবে এগোতে থাকলে হয়তো এই মৌসুমেই তিনি সেই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন পর্তুগিজ কিংবদন্তি। আর তা না হলেও পরের মৌসুমে তো প্রায় নিশ্চিত।

মেসির জন্য এই পথ এখনো কিছুটা দীর্ঘ। আপাতত তাঁর মোট গোল ৮৮২। ১০০০-এর মাইলফলক ছুঁতে তাঁকে আরও ১১৮টি গোল করতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে, আরও প্রায় আড়াই মৌসুমে তিনি এই মাইলফলক ছুঁতে পারেন। এখন দেখার অপেক্ষা, মেসি কি ইন্টার মায়ামিতে থেকেই সেই কীর্তি গড়েন, নাকি তাঁর নিজ দেশ আর্জেন্টিনায় ফিরে গিয়ে!

আরও পড়ুনবার্সেলোনা যেভাবে ‘দেশি’, রিয়াল মাদ্রিদ ‘বিদেশি’২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোল

ফুটবলের ঐতিহাসিক তথ্য ও পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্টোরি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকস (আইএফএফএইচএস)। তাদের গবেষণা অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত শীর্ষ পর্যায়ের পেশাদার ফুটবলে ৫০০ বা এর বেশি গোল করেছেন এমন খেলোয়াড়ের সংখ্যা ২৬ জন। তাঁদের মধ্যে এক ও দুই নম্বর নামটা তো খুবই অনুমিত—রোনালদো ও মেসি।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি যখন জাতীয় দলের জার্সিতে মুখোমুখি

সম্পর্কিত নিবন্ধ