যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যে নতুন শুল্কহার কার্যকর আজ থেকে
Published: 7th, August 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশে আজ থেকে নতুন শুল্কহার কার্যকর হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, এ নতুন শুল্ক হার বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের ওপর প্রযোজ্য হবে।
সংশোধিত হারে বাংলাদেশকে এখন থেকে ২০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হবে, যার ফলে মোট শুল্কহার দাঁড়াচ্ছে ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) থেকে কার্যকর হওয়া শুল্ক হারের কারণে তৈরি পোশাক খাতসহ রপ্তানিনির্ভর শিল্পে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ওপর চূড়ান্ত শুল্কহার ঘোষণা করেন।
গত এপ্রিলে বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প, পরে জুলাইতে তা ৩৫ শতাংশে নামিয়ে আনেন। মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত ২০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কে এসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সম্প্রতি তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, এর আগে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হতো। এখন যে ২০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক নির্ধারিত হয়েছে তার ফলে বাংলাদেশের মোট শুল্কের হার দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশে, যা সুনির্দিষ্টভাবে বিভিন্ন পণ্যের জন্য বিভিন্ন হারে প্রযোজ্য হবে।
বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রই বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের একক বৃহত্তম বাজার। আবার যত পণ্য দেশটিতে বাংলাদেশ রপ্তানি করে তার ৮৬ শতাংশের বেশি হলো তৈরি পোশাক।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ৭ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন বা ৭৫৪ কোটি ডলারের গার্মেন্ট পণ্য।
এদিকে, ট্রাম্প মধ্যরাতে তার সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “এখন মধ্যরাত! বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের শুল্ক আমেরিকায় ঢুকছে!”
একইদিনে যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক আরও বাড়িয়ে মোট ৫০ শতাংশে উন্নীত করেছে। হোয়াইট হাউস বলছে, এটি মূলত ভারতের রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনা বন্ধে চাপ সৃষ্টির একটি কৌশল। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তকে ‘অন্যায়, অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। ভারতের জন্য এই শুল্ক কার্যকর হবে ২৭ আগস্ট থেকে।
এদিকে, প্রযুক্তি খাতে নতুন করে হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি সতর্ক করে বলেন, যেসব টেক কোম্পানি আমেরিকায় বিনিয়োগ করবে না, তাদের বিদেশে তৈরি চিপসেটের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এরপর প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল আমেরিকায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পরিকল্পনার ঘোষণা দেয়।
ঢাকা/কেএন/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ক র যকর র ওপর দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জকসু নির্বাচন চায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে করার দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা বলেন, বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহুল প্রতীক্ষিত জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে একধরনের উত্তেজনা ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তফসিলে নির্বাচনের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অনেকাংশে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।
সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা অভিযোগ করেন, জকসু নির্বাচনের যে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। ডিসেম্বর বছরের শেষ মাস। এ সময় শিক্ষার্থীরা সারা বছরের একাডেমিক চাপ শেষে ছুটি কাটাতে বাড়ি যায়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ সময় ক্যাম্পাসে থাকে না। নির্বাচনের জন্য এমন সময় নির্ধারণের একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে ভোটারদের অংশগ্রহণ সীমিত করা।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা আরও বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষার্ধে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করতে পারে। এমন সময়ে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ থাকতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীভ বলেন, ‘একটি সুস্থ ও সর্বোচ্চ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হয়ে থাকবে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন, যা সংকটে জর্জরিত এই ক্যাম্পাসের ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা রাখে।’