মানুষের সহায়তা ছাড়াই সফটওয়্যার বিশ্লেষণ করে সেগুলোতে ম্যালওয়্যার রয়েছে কি না, তা শনাক্ত করতে সক্ষম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) তৈরি করেছে মাইক্রোসফট। ‘প্রজেক্ট আয়ার’ নামের এই এআই সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার ফাইলের কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করে সেটি ঝুঁকিপূর্ণ কি না, তা শনাক্ত করতে পারে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

মাইক্রোসফটের তথ্যমতে, প্রচলিত নিরাপত্তা সফটওয়্যারে ম্যালওয়্যার শনাক্তের পদ্ধতির তুলনায় প্রজেক্ট আয়ারের কাজের ধরন আলাদা। এআইভিত্তিক এই সিস্টেম কোনো ফাইলের উৎস, কাঠামো বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোনো তথ্য না জেনেই সেটিকে সম্পূর্ণভাবে রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং করতে পারে। সফটওয়্যার বিশ্লেষণে এটি বর্তমানে সর্বোচ্চ মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত পদ্ধতি। বর্তমানে সাইবার হামলা ও প্রতিরোধ—উভয় ক্ষেত্রেই এআই ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। এ বাস্তবতায় স্বয়ংক্রিয় ও গভীর বিশ্লেষণে সক্ষম, এমন প্রযুক্তি নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

প্রজেক্ট আয়ার নিয়ে চালানো এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, জটিল ম্যালওয়্যারও শনাক্ত করতে পারে মাইক্রোসফটের এআই। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ম্যালওয়্যার হামলা ঠেকানো সম্ভব। মাইক্রোসফট জানিয়েছে, পরীক্ষামূলক পর্যায়ে এই প্রযুক্তি ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রে সঠিকভাবে ক্ষতিকর সফটওয়্যার শনাক্ত করতে পেরেছে। ভুলভাবে নিরাপদ ফাইলকে হুমকির উৎস হিসেবে শনাক্ত করার হার ছিল মাত্র ২ শতাংশ।

পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া প্রজেক্ট আয়ার মাইক্রোসফটের বৃহত্তর নিরাপত্তা পরিকল্পনা ‘সিকিউর ফিউচার ইনিশিয়েটিভ’–এর অংশ। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক নিরাপত্তার ত্রুটি ও তথ্য ফাঁসের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর প্রতিষ্ঠানটি তাদের পণ্যে নিরাপত্তা জোরদারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মাইক্রোসফট রিসার্চ, মাইক্রোসফট ডিফেন্ডার ও মাইক্রোসফট ডিসকভারি অ্যান্ড কোয়ান্টামের মতো মাইক্রোসফটের একাধিক ইউনিট এই প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করেছে। প্রজেক্ট আয়ার মূলত মাইক্রোসফটের নিজস্ব নিরাপত্তা পণ্য ও সেবার অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে ব্যবহার করা হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম য লওয

এছাড়াও পড়ুন:

সফটওয়্যারে থাকা ম্যালওয়্যার শনাক্ত করতে সক্ষম এআই তৈরি করেছে মাইক্রোসফট

মানুষের সহায়তা ছাড়াই সফটওয়্যার বিশ্লেষণ করে সেগুলোতে ম্যালওয়্যার রয়েছে কি না, তা শনাক্ত করতে সক্ষম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) তৈরি করেছে মাইক্রোসফট। ‘প্রজেক্ট আয়ার’ নামের এই এআই সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার ফাইলের কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করে সেটি ঝুঁকিপূর্ণ কি না, তা শনাক্ত করতে পারে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

মাইক্রোসফটের তথ্যমতে, প্রচলিত নিরাপত্তা সফটওয়্যারে ম্যালওয়্যার শনাক্তের পদ্ধতির তুলনায় প্রজেক্ট আয়ারের কাজের ধরন আলাদা। এআইভিত্তিক এই সিস্টেম কোনো ফাইলের উৎস, কাঠামো বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোনো তথ্য না জেনেই সেটিকে সম্পূর্ণভাবে রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং করতে পারে। সফটওয়্যার বিশ্লেষণে এটি বর্তমানে সর্বোচ্চ মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত পদ্ধতি। বর্তমানে সাইবার হামলা ও প্রতিরোধ—উভয় ক্ষেত্রেই এআই ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। এ বাস্তবতায় স্বয়ংক্রিয় ও গভীর বিশ্লেষণে সক্ষম, এমন প্রযুক্তি নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

প্রজেক্ট আয়ার নিয়ে চালানো এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, জটিল ম্যালওয়্যারও শনাক্ত করতে পারে মাইক্রোসফটের এআই। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ম্যালওয়্যার হামলা ঠেকানো সম্ভব। মাইক্রোসফট জানিয়েছে, পরীক্ষামূলক পর্যায়ে এই প্রযুক্তি ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রে সঠিকভাবে ক্ষতিকর সফটওয়্যার শনাক্ত করতে পেরেছে। ভুলভাবে নিরাপদ ফাইলকে হুমকির উৎস হিসেবে শনাক্ত করার হার ছিল মাত্র ২ শতাংশ।

পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া প্রজেক্ট আয়ার মাইক্রোসফটের বৃহত্তর নিরাপত্তা পরিকল্পনা ‘সিকিউর ফিউচার ইনিশিয়েটিভ’–এর অংশ। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক নিরাপত্তার ত্রুটি ও তথ্য ফাঁসের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর প্রতিষ্ঠানটি তাদের পণ্যে নিরাপত্তা জোরদারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মাইক্রোসফট রিসার্চ, মাইক্রোসফট ডিফেন্ডার ও মাইক্রোসফট ডিসকভারি অ্যান্ড কোয়ান্টামের মতো মাইক্রোসফটের একাধিক ইউনিট এই প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করেছে। প্রজেক্ট আয়ার মূলত মাইক্রোসফটের নিজস্ব নিরাপত্তা পণ্য ও সেবার অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে ব্যবহার করা হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ