পুঁজিবাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে তালিকাভুক্ত আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট পিএলসির ব্যবস্থপানায় ৮ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি কমিটি ইউনিটহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

ফান্ডগুলো হলো-আইসিবি থার্ড এনআরবি, আইসিবি এএমসিএল অগ্রণী, আইসিবি এএমসিএল সোনালী, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, আইএফআইএল ইসলামিক, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড, আইসিবি এমপ্লয়ীজ প্রভিডেন্ট এবং প্রাইম ব্যাংক ফাস্ট আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ইউনিটহোল্ডারদের জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর ট্রাস্টি কমিটি।

আরো পড়ুন:

৯ মাসে লোকসান থেকে মুনাফায় কাট্টালি টেক্সটাইল

 শেষ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে বড় পতন

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আইসিবি থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড: ফান্ডটির ওই বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (০.

০২) টাকা। আর গত ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট দায়মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭.২৬ টাকায়।

আইএফআইএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান: ফান্ডটির ওই বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (০.৩২) টাকা। আর গত ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট দায়মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬.৮০ টাকায়।

প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড: ফান্ডটির ওই বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (০.২৮) টাকা। আর গত ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট দায়মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭.৬২ টাকায়।

আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড: ফান্ডটির ওই বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (০.১৫) টাকা। আর গত ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট দায়মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮.০৮ টাকায়।

আইসিবি সোনালী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড: ফান্ডটির ওই বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (০.০৪) টাকা। আর গত ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট দায়মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮.২৩ টাকায়।

আইসিবি ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড: ফান্ডটির ওই বছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৩৬ টাকা। আর গত ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট দায়মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯.০০ টাকায়।

প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড: ফান্ডটির ওই বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (০.১৭) টাকা। আর গত ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট দায়মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭.২০ টাকায়।

আইসিবি ইমপ্লোয়েস প্রভিডেন্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান- স্কিম ওয়ান: ফান্ডটির ওই বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (০.২৩) টাকা। আর গত ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট দায়মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭.৩৮ টাকায়।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর ‘নো ডিভিডেন্ডসহ’ অন্যান্য আলোচ্য বিষয়সমূহ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে আগামী ২৭ আগস্ট রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঢাকা/এনটি/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইস ব

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলো এনআরবিসি ব্যাংক

টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক ও পরিবেশবান্ধব অর্থায়নকে গুরুত্ব দিয়ে প্রথমবারের মতো ‘সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট-২০২৪’ প্রকাশ করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রণীত প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়নে সবুজ আগামী’।

বুধবার (৫ নভেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদনের মোড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান। এসময় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও হারুনুর রশীদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খানসহ সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ড. তৌহিদুল আলম খান বলেন, “জিআরআই গাইডলাইন্স অনুসরণ করে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ এনআরবিসি ব্যাংকের আর্থিক স্থিতি, পরিবেশগত দায়িত্ববদ্ধতা এবং সামাজিক ন্যায়ের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”

তিনি আরো বলেন, “ভবিষ্যতে গ্রিন ব্যাংকিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত, সামাজিক কল্যাণে অতিক্ষুদ্র খাত এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সহযোগিতা ও অর্থায়ন বাড়ানো হবে।”

রিপোর্টে বলা হয়েছে, এনআরবিসি ব্যাংক পরিবেশ, সামাজিক উন্নয়ন ও সুশাসনকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০২৪ সালে ব্যাংকটি গ্রিন ও সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি-দক্ষ প্রযুক্তি, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজ স্থাপনা এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্যোগে অর্থায়নের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক কৃষক ও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখছে।

রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, টেকসই ব্যাংকিং মানেই শক্তিশালী ও ভালো ব্যাংকিং। এনআরবিসি ব্যাংকের এই পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সুফল গ্রাহক, ঋণগ্রহীতা ও শেয়ারহোল্ডাররা পাবেন। স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিং সেবার কারণে সবুজ অর্থায়ন প্রকল্পগুলো গুরুত্ব পাবে, এতে উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমবে এবং মুনাফা বাড়বে। আমানতকারী এবং শেয়ারহোল্ডাররা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন যে, তাদের জমানো অর্থ ও বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে না।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলো এনআরবিসি ব্যাংক
  • বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় বিশেষ বিবেচনা করতে পারে সরকার