ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহ–উপাচার্য হিসেবে যোগ দিলেন মাসুম ইকবাল
Published: 7th, August 2025 GMT
অধ্যাপক মুহাম্মদ মাসুম ইকবাল বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সহ-উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের অনুমোদনক্রমে গত ৩১ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেরিত পত্রের আলোকে তিনি এ পদে যোগ দেন। আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো.
অধ্যাপক মাসুম ইকবাল ২০০১ সালে ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটিতে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরে ২০০২ সালে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি সেখানে প্রভাষক পদে যোগ দেন। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে একাডেমিক ও প্রশাসনিক নেতৃত্বের মাধ্যমে তিনি বিভাগীয় প্রধান, সহযোগী ডিন এবং ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অধ্যাপক মাসুম ইকবাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাংকিং এবং বিমা বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিংয়ে এমবিএ এবং বিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তাঁর একাডেমিক দক্ষতা মার্কেটিং, সার্ভিসেস মার্কেটিং, গ্রাহক সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা এবং সামাজিক ব্যবসার ক্ষেত্রে বিস্তৃত। তিনি মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক এবং তুরস্কের আনাদোলু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইরাসমাস+ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি স্কোপাস এবং ওয়েব অব সায়েন্সে সূচিবদ্ধ ৫০টিরও বেশি গবেষণা প্রকাশনা লিখেছেন এবং সম্প্রতি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সেবা বিপণনের ওপর একটি পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করেছেন।
মাসুম ইকবাল ডিআইইউর ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং পাঠ্যক্রম উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম স ম ইকব ল কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জকসু নির্বাচন চায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে করার দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা বলেন, বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহুল প্রতীক্ষিত জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে একধরনের উত্তেজনা ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তফসিলে নির্বাচনের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অনেকাংশে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।
সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা অভিযোগ করেন, জকসু নির্বাচনের যে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। ডিসেম্বর বছরের শেষ মাস। এ সময় শিক্ষার্থীরা সারা বছরের একাডেমিক চাপ শেষে ছুটি কাটাতে বাড়ি যায়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ সময় ক্যাম্পাসে থাকে না। নির্বাচনের জন্য এমন সময় নির্ধারণের একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে ভোটারদের অংশগ্রহণ সীমিত করা।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা আরও বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষার্ধে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করতে পারে। এমন সময়ে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ থাকতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীভ বলেন, ‘একটি সুস্থ ও সর্বোচ্চ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হয়ে থাকবে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন, যা সংকটে জর্জরিত এই ক্যাম্পাসের ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা রাখে।’