নতুন এআই মডেল ‘জেনি ৩’ উন্মুক্ত করেছে গুগল। গুগল ডিপমাইন্ডের তৈরি নতুন এআই মডেলটির মাধ্যমে সাধারণ টেক্সট প্রম্পট ব্যবহার করে তৈরি করা যাবে থ্রি–ডি ভার্চ্যুয়াল জগৎ, যেখানে এআই ও মানুষ উভয়েই বাস্তবের মতো মিথস্ক্রিয়া করতে পারবে। নতুন এই মডেলের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) প্রযুক্তির বিস্তারে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল গুগল।

গুগলের দাবি, নতুন এই এআই মডেল থ্রি–ডি পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি সেখানে থাকা বস্তু বা চরিত্রকে মেমোরিতেও সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। ব্যবহারকারী কোনো নির্দিষ্ট পথে হাঁটার পর আবার সেখানে ফিরে গেলে জেনি ৩ সেই পথ চিনে নিতে পারে। এটি আগের সংস্করণ ‘জেনি ২’–এর তুলনায় প্রযুক্তিগত দিক থেকে উল্লেখযোগ্য উন্নতি বলেই ধরা হচ্ছে। জেনি ৩ সংস্করণে এখন ৭২০পি রেজল্যুশনের থ্রি–ডি গ্রাফিকস তৈরি সম্ভব হচ্ছে। আগের সংস্করণে মিথস্ক্রিয়া মাত্র ২০ সেকেন্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। নতুন সংস্করণে মিথস্ক্রিয়ার সময়সীমা অনেক দীর্ঘ। ফলে আরও বাস্তবধর্মী অনুভূতি পাওয়া যায়। ব্যবহারকারী চাইলে টেক্সট কমান্ডের মাধ্যমেই পরিবেশে আবহের পরিবর্তন ঘটাতে পারেন। নতুন চরিত্র বা বস্তু যোগ করতে পারেন।

গুগলের ভাষ্য অনুযায়ী, জেনি ৩ ভবিষ্যতে ভার্চ্যুয়াল গেম তৈরির পদ্ধতিকে আমূল পাল্টে দিতে পারে। এতে গেম ডেভেলপারদের ভূমিকা নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রযুক্তিটি শিশুদের শিক্ষা ও ভার্চ্যুয়াল থেরাপির মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতেও ব্যবহারযোগ্য হতে পারে বলে মনে করছে গুগল। নিরাপত্তা ও সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব মূল্যায়নের লক্ষ্যে জেনি ৩–এর ব্যবহার আপাতত গবেষক ও কনটেন্ট নির্মাতাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।

সূত্র: নিউজ১৮

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র স স করণ

এছাড়াও পড়ুন:

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জকসু নির্বাচন চায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে করার দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা বলেন, বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহুল প্রতীক্ষিত জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে একধরনের উত্তেজনা ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তফসিলে নির্বাচনের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অনেকাংশে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা অভিযোগ করেন, জকসু নির্বাচনের যে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। ডিসেম্বর বছরের শেষ মাস। এ সময় শিক্ষার্থীরা সারা বছরের একাডেমিক চাপ শেষে ছুটি কাটাতে বাড়ি যায়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ সময় ক্যাম্পাসে থাকে না। নির্বাচনের জন্য এমন সময় নির্ধারণের একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে ভোটারদের অংশগ্রহণ সীমিত করা।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা আরও বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষার্ধে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করতে পারে। এমন সময়ে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ থাকতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীভ বলেন, ‘একটি সুস্থ ও সর্বোচ্চ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হয়ে থাকবে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন, যা সংকটে জর্জরিত এই ক্যাম্পাসের ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা রাখে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ