আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সক্ষমতা বহুগুণ বেড়েছে। রুপালি জগতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ফলে মানুষের চাহিদাও খানিকটা কমেছে। যার প্রভাব হলিউডে দৃশ্যমান হয়েছে। ফলে ২০২৩ সালের মে মাসে ধর্মঘটের ডাক দেয় হলিউডের রাইটার্স গিল্ড। 

এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের ডিপফেক ভিডিও তৈরি করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা কম নেই। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। দেশের অনেক তারকার ছবি বিকৃত করে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে এবার সোচ্চার হলেন ছোট ও বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী।  

এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ একটি পোস্ট দিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। তাতে এ অভিনেত্রী বলেন, “প্রযুক্তি আজ আমাদের জীবনের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা অনেকেই এর ভালো দিকগুলো নিয়ে আশাবাদী, কিন্তু এর অন্ধকার দিকটা আর অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রযুক্তি। কিন্তু এটা যখন ভুল মানুষের হাতে পড়ে, তখন তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেই এখন এআই ব্যবহার করে সেলিব্রিটিদের বা নারীদের ছবি ও ভিডিও বিকৃত করছে। এগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ছে, আর যারা বুঝতে পারে না এগুলো ভুয়া, তারা বিশ্বাস করে, মন্তব্য করে, অপমান করে।” 

আরো পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় ‘ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে’ বাংলাদেশ

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: তারকাদের প্রার্থনা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে খারাপভাবে ব্যবহার করাকে ‘অপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছেন মেহজাবীন। তার মতে, “এটা এখন নিত্যদিনের ঘটনা। এমন মানুষদের সংখ্যা বাড়ছে, যারা সারাদিন ধরে শুধুই এসব করে বেড়ায়। তারা ভুল তথ্য ছড়ায়, বিভ্রান্তি তৈরি করে, মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে। এটা শুধু অনৈতিক না, এটা একেবারে অপরাধ।” 

আইনি পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, “এই ধরণের কর্মকাণ্ডকে ডিজিটাল সহিংসতা বলা যায়। এআই থামানো যাবে না, কিন্তু এর অপব্যবহার রোধ করা দরকার। আমাদের দরকার কঠোর আইন, শক্ত প্রতিরোধ, আর জনসচেতনতা। যারা এসব করে, তাদের চিহ্নিত করে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।” 

আশা ব্যক্ত করে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, “আমি আশা করি, আমাদের দেশে দ্রুত এমন নিয়ম-কানুন ও শাস্তির ব্যবস্থা হবে, যা সবাই বিশেষ করে নারীদের জন্য—একটি নিরাপদ ও সম্মানজনক পরিবেশ তৈরি করবে।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হজ ব ন চ ধ র ট ভ ন টক চলচ চ ত র ক ত র ম ব দ ধ মত ত ম হজ ব ন চ ধ র ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জকসু নির্বাচন চায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে করার দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা বলেন, বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহুল প্রতীক্ষিত জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে একধরনের উত্তেজনা ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তফসিলে নির্বাচনের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অনেকাংশে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা অভিযোগ করেন, জকসু নির্বাচনের যে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। ডিসেম্বর বছরের শেষ মাস। এ সময় শিক্ষার্থীরা সারা বছরের একাডেমিক চাপ শেষে ছুটি কাটাতে বাড়ি যায়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ সময় ক্যাম্পাসে থাকে না। নির্বাচনের জন্য এমন সময় নির্ধারণের একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে ভোটারদের অংশগ্রহণ সীমিত করা।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা আরও বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষার্ধে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করতে পারে। এমন সময়ে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ থাকতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীভ বলেন, ‘একটি সুস্থ ও সর্বোচ্চ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হয়ে থাকবে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন, যা সংকটে জর্জরিত এই ক্যাম্পাসের ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা রাখে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ