বয়স যে কেবল একটি সংখ্যা, তা যেন প্রতিটি ম্যাচে নতুন করে প্রমাণ করে যাচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। চল্লিশের কোঠা পেরিয়েও তার গতি, দক্ষতা ও গোলের ক্ষুধা যেন আরও তীব্র হয়েছে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) এস্তাদিও আলগার্ভে প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচে সেই পুরনো রোনালদোকে দেখা গেল আবারও। তিনটি অসাধারণ গোল করে তিনি পেলেন হ্যাটট্রিকের স্বাদ, আর আল-নাসর পেল দাপুটে জয়।

রোনালদোর নিজ দেশের ক্লাব রিও অ্যাভের বিপক্ষে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল আল-নাসর। ম্যাচের মাত্র ১৫ মিনিটে ফরাসি ডিফেন্ডার মোহাম্মদ সিমাকেনের গোলে লিড নেয় সৌদি জায়ান্টরা। বিরতির ঠিক আগে ৪৪ মিনিটে রোনালদোর নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়।

দ্বিতীয়ার্ধে আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। ৬৩ মিনিটে জোড়া গোল পূর্ণ করার পর মাত্র পাঁচ মিনিট পর পেনাল্টি থেকে হ্যাটট্রিকের মুকুট পরেন তিনি। তার সেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৪-০ গোলের নিরঙ্কুশ জয় পায় আল-নাসর। 

আরো পড়ুন:

খুবিতে শহীদ মীর মুগ্ধ আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু

জাবিতে আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

রাকসু সম্পন্ন করতে সক্রিয় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত শিক্ষক পরিষদের

শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচনে শিক্ষকদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিষদ।

পরিষদ জানিয়েছে, রাকসু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে শিক্ষকদের সক্রিয় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:

নিখোঁজের ২ দিন পর নদীতে মিলল কলেজছাত্রের লাশ

রাবি উপ-উপাচার্যসহ শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিষদের জরুরি সভা শেষে এক সংবাদ বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

পরে সিদ্ধান্তের বিষয়ে বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিষদ রাবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. জে এ এম সাকিলউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিষদের রাবি শাখার উদ্যোগে একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থীদের বহুল প্রত্যাশিত রাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত অফিসিয়াল কার্যক্রমে শিক্ষকদের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

একইসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জড়িত দোষীদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জোর দাবি জানানো হয়।

গণমাধ্যমের সামনে সিদ্ধান্তের বিষয়ে সংবাদ বিবৃতি প্রদানের সময় অন্তত ১০ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় কতজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন এবং এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষকের মতামত কি না- এমন প্রশ্ন করলে কোনো উত্তর মেলেনি।

এর আগে, রাবিতে কর্মরতদের সন্তানদের ভর্তির জন্য আগে থেকেই ৪ শতাংশ পোষ্য কোটা ছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। এরপর থেকেই শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পোষ্য কোটাকে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা দাবি করে একের পর এক আন্দোলন শুরু করেন।

সর্বশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর এক চিঠিতে ১৮ তারিখের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দেন তারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে জরুরি অ্যাকাডেমিক কমিটির সভা ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় ১০ শর্তে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু এর বিরুদ্ধে আবার টানা আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মাঈন উদ্দিনসহ প্রশাসনে থাকা তিনজন কর্মকর্তা জুবেরী ভবনে শিক্ষার্থীদের হাতে লাঞ্ছিত হন। পরে জুবেরী ভবনে উপ-উপাচার্যসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে সেখানে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করতে থাকেন। রাতে জুবেরী ভবনের সামনে থেকে অবরোধ উঠিয়ে নিয়ে শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হন। পরে গভীর রাতে হল থেকে বের হয়ে এসে ছাত্রীরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। তারা মাঝরাত পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

পরে উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব মধ্যরাতে বাসার প্রধান ফটকের সামনে এসে ঘোষণা দেন, প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় ভর্তি আপাতত স্থগিত। এ নিয়ে রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শনিবার রাতেই কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এদিন তারা ঘোষণা দেন, প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় সন্তানদের ভর্তির সুযোগ না দিলে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে যাচ্ছেন তারা। তবে ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রাকসু নির্বাচন এ কর্মসূচির বাইরে থাকবে।

এ ঘোষণা পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত আছে।

অন্যদিকে, সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, রাকসু ফর র‍্যাডিকাল চেঞ্জ, সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ ও ইউনাইটেড ফর রাইটস প্যানেলের প্রার্থীরা দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মাকেটে সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে তারা পোষ্য কোটা ইস্যুতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলমান আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না দাবি করে নির্বাচনের তারিখ পেছানোর দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ